অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

চুল আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হয়ে উঠেছে। কিছু কিছু মানুষের চুল খুবই ঘন এবং মানুষের অল্প বয়স থেকে চুল পরা ও পাকতে শুরু করে।
এই ছুল পরা বা ছুল পেকে যাওয়ার কারণ- পাকাশয়ের গণ্ডগোল, দুর্বলতা, প্রচুর ঘাম, কুইনাইনের অপব্যবহার, দুঃখ, যন্ত্রণা, মানসিক চিন্তা প্রভৃতি কারনে চুল ওঠে।
কারণঃ চুল পড়ার একটি কারণ হল বংশগত।যা বাড়ির কোন পুরুষ কিংবা মহিলার একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরেই চুল পড়ার সমস্যা লক্ষ্য করা যায় ও তাদের বংশে সেই বিষয়টি ক্রমান্বয়ে দেখা যায়,তখন সেটিকে বংশগত কারণ হিসেবে দেখা হয়।
আরেকটি কারন হল অনেক সময় সন্তান জন্ম দেওয়ার পরে মহিলাদের চুল পড়ার সমস্যার সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এরকম সমস্যার সম্যুখিন হতে হয়। এই সমস্যা অত্যধিক বৃদ্ধি পেলে ডাক্তারের সাহায্য নিতে হয়।
চিকিৎসাঃ ১ চামচ কালোমেঘের রস, ১ চামচ নিমপাতার রস, ১ চামচ কমলি শাকের রস একত্রে মিশিয়ে রোজ সকালে খালি পেটে ১মাস খেতে হবে। এছাড়া ১০০ গ্রাম নারকেল তেলের সঙ্গে ৫০ গ্রাম কাচা আমলকী ভালো করে ফুটিয়ে সেটা ছেকে নিয়ে ঠাণ্ডা করে কোন একটা শিশিতে রেখেদিন। রোজ স্নানের আগে মাথায় ভালো করে মাখতে হবে। অল্প বয়সে চুল পাকলে কবরী গাছের মূলের ছাল দুধের সঙ্গে বেটে মাসে ৭ দিন মাথায় মাখতে হবে ও রিঠা ফল দিয়ে মাথা পরিষ্কার রাখতে হবে। জবা ফুলের কুঁড়ি বেটে মাথায় মাখতে হবে। মাথায় মাখার আধ ঘণ্টা পর স্নান করার সময় ভালো করে মাথা ধুয়ে নিতে হবে। অন্তত ১ মাস এইভাবে সপ্তাহে দু দিন করে মাথা ভালো করে ধুতে হবে। তাতে মাথার অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
পথ্যঃ পিত্ত রাখে এমন খাবার খেতে হবে।