বিভিন্ন রোগের ঘরোয়া টোটকা ও চিকিৎসা

আমরা সাধারনত বাড়িতে এবং বাড়ির আসে পাসে নানান গাছ পালা, ফল, ফুল, মূল, পশুপাখি ইত্যাদি দেখে থাকি। এইসব আমাদের পরিবেশকে আরও সুন্দর করে তলে। এইসব আমাদের নানা দিক থেকে সাহায্য করে থাকে। এমনকি আমাদের শরীরের নানা রোগের ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার হয়। যেমন-
গর্ভ ধারনেঃ প্রথমে শারীরিক কোন অসুবিধা থাকলে তা দূর করতে হবে। তারপর বেরেলাগাছের পাতা ২০-২৫ গ্রাম ৫০০ গ্রাম জলে সিদ্ধ করে ১২৫ গ্রাম হলে নামিয়ে ছেকে নিয়ে ৮-১০ টি কিসমিস বেটে নিয়ে ওই জলসহ সরবতের মতো দুজনকেই খেতে হবে ১ মাস। এই একমাস সহবাস বন্ধ রাখতে হবে। তারপর দুমাসের মধ্যেই সুফল পাওয়া যাবে। যাদের কোনও কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তাদের ক্ষেত্রে ২৫ গ্রাম অশোক ছাল ৪ কাপ জলে সিদ্ধ করে ১ কাপ হলে নামিয়ে ছেকে গরম দুধে মিশিয়ে ১ মাস খেতে হবে রোজ সকালে।
ভোররাত্রে স্বপ্নদোষঃ নিমছালের রস ১ চামচ কাঁচা দুধে মিশিয়ে ১ মাস রোজ সকালে খেতে হবে।
পাতলা ধাতেঃ অল্প উত্তেজনায় ক্ষরিত হয়। ১টা সাদা বাতাসার মধ্যে ১০/১২ ফোটা বটের আঠা নিয়ে খেতে হবে রোজ সকালে টিফিনের পর ১ বার করে ১ মাস।
হাই প্রেসারঃ কলা গাছের থোর থেঁতো করে ১৫ রোজ হাফকাপ করে সকালে খালি পেটে খেতে হবে।
আগুনে পোড়াঃ পুরনো তেঁতুল ভালো করে জলে গুলে ওই জল লাগালে ফোস্কা পড়ে না ও ঘা হয় না। পোড়া জায়গায় সঙ্গে সঙ্গে কেরোসিন তেল লাগালে জ্বালা কমে ও ফোস্কা পড়ে না। পুই শাকের রস দিলে ঘা তারাতারি শুকিয়ে যায়। পোড়া জায়গায় আলু থেঁতো করে লাগালেও জ্বালা যন্ত্রণা কমে।
অর্শঃ একটা জলপদ্ম পাতার অর্ধেকটা বেটে গরম ভাতের সঙ্গে খেলে অর্শের রক্ত পড়া বন্ধ হয়।
বাতের ব্যাথাঃ বড় এলাচের গুড়ো আধচামচ পরিমাণ মধু সহ ১ মাস খেতে হবে একবার করে।
উকুনঃ ১ টা মতিহার তামাক পাতার চার ভাগের এক ভাগ আধকাপ জলে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে। ওই জল স্নানের আধ ঘণ্টা আগে মাথায় মাখতে হবে। পর পর ৩-৪ দিন ব্যবহার করলে আর উকুন হবে না।