প্রাচীরের গায়ে এক নামগোত্রহীন ফুটিয়াছে … ভাবস্মপ্রসারন 300 শব্দের মধ্যে
প্রাচীরের গায়ে এক নামগোত্রহীন ফুটিয়াছে ছোটো ফুল অতিশয় দীন।ধিক ধিক করে তারে কাননে সবাই

প্রাচীরের গায়ে এক নামগোত্রহীন ফুটিয়াছে ছোটো ফুল অতিশয় দীন … ভাবস্মপ্রসারন এবং মূলভাব শেয়ার করা হল। আশা করি শিক্ষার্থী বন্ধুদের, বিভিন্ন স্কুল কলেজ পরীক্ষা এবং প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় কাজে আসবে।
প্রাচীরের গায়ে এক নামগোত্রহীন
প্রাচীরের গায়ে এক নামগোত্রহীন
ফুটিয়াছে ছোটো ফুল অতিশয় দীন।
ধিক ধিক করে তারে কাননে সবাই-
সূর্য উঠি বলে তারে, ভালো আছ ভাই?
মূলকথাঃ
কাউকে তুচ্ছ জ্ঞান বা অবজ্ঞা করতে নেই। পরিপূর্ণ মহান ব্যাক্তি কখনো তাঁর চেয়ে নিম্নস্তরের কোন ব্যাক্তিকে অবহেলা করেন না। এইখানেই মহত্ত্বের পরিচয় পরিস্ফুট। অমানীকে ব্যাক্তিকে মান দান এবং অবহেলিতকে মর্যাদা দান করে মহৎ মানুষ নিজে আরো মহত্তর হয়ে ওঠেন।
ভাবসম্প্রসারণ :
জগতে কোন বস্তুই তুচ্ছ নয়। কোন মানুষই অবহেলার পাত্র নয়। অথচ সাংসারিক বিভেদবুদ্ধিতে চালিত হয়ে আমরা অনেক সময়ই ক্ষুদ্র, অখ্যাত, আভিজাত্যহীন মানুষকে অবজ্ঞা করি। সেই অবজ্ঞা আমাদের সংকীর্ণতাকেই প্রকট করে তোলে। দীনহীনকে মর্যাদা না দিয়ে যারা আভিজাত্যের অহমিকা প্রদর্শন করে, তারাই প্রকৃতপক্ষে অত্যন্ত দীন। কিন্তু যথার্থ মহৎ মানুষ কখনো তাঁর চেয়ে নিম্নস্তরের কোন মানুষকে অবহেলা করেন না। এইখানেই মহত্ত্বের পরিচয় পরিস্ফুট। অমানীকে মান দান, অবহেলিতকে মর্যাদা দান করে মহৎ মানুষ নিজে আরো মহত্তর হয়ে ওঠেন। কিন্তু ক্ষুদ্রাশয় ব্যক্তিরাই নামগোত্রহীন কোন লোককে সম্মান এবং আদর জানালে নিজেদের গৌরব নষ্ট হবে বলে মনে করে। এ জগতে তৃণ থেকে আরম্ভ করে বৃহৎ বনস্পতি, ক্ষুদ্রতম মানুষ থেকে মহত্ত্বের শীর্ষে অবস্থিত মানুষ—সকলেরই একটি পৃথক সত্তা রয়েছে। কোন ক্ষেত্রেই তারা বর্জনীয় বা অপ্রয়োজনীয় নয়। প্রকৃত অন্তর্দৃষ্টি থাকলে, চিত্তের উদারতা থাকলে আপাততুচ্ছ বস্তুর মধ্যে সৌন্দর্যের অস্তিত্ব দেখা সম্ভব। অজ্ঞাত, অখ্যাত মানুষের মধ্যে মহিমার বিদ্যুদাভাস প্রত্যক্ষ করা যায়। এই সুগভীর দৃষ্টিসম্পন্ন মানুষেরাই তো জগতে আলোকের বার্তাবহ। সূর্যের কাছে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র নাম-না-জানা পুষ্পেরও মূল্য আছে, তার আলোকস্পর্শে সেও ধন্য হয়। এই কারণেই সূর্য আলোকের উৎস। মহত্ত্বই আলোকের অন্য অভিধারূপে চিহ্নিত হতে পারে।
এটিও পড়ুন- জীবে প্রেম করে যেইজন সেইজন সেবিছে ঈশ্বর রচনা 600 শব্দের মধ্যে