
দই বানানোর সহজ উপায় মিষ্টি/ টক, Latest Tips, দই বানানোর রেসিপি, জেনে নিন দই বানানোর সহজ উপায় মিষ্টি/ টক, লেটেস্ট দই বানানোর সহজ উপায় মিষ্টি/ টক
দই বা দধি হল এক প্রকারের দুগ্ধজাত খাদ্য। এটি দুধের ব্যাক্টেরিয়া গাঁজন হতে তৈরি করা হয়। ল্যাক্টোজের গাঁজনের মাধ্যমে ল্যাক্টিক এসিড তৈরি হয়, যা দুধের প্রোটিনের ওপর কাজ করে দইয়ের স্বাদ এবং এর বৈশিষ্ট্যপূর্ণ গন্ধ প্রদান করে। জানা যায় দই এ প্রোটিন, ফ্যাট, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, রাইবোফ্ল্যাভিন, ভিটামিন B6 এবং ভিটামিন B12 ইত্যাদি নানা উপাদান থাকে। এক গবেষণা প্রতিবেদনে ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অনটারিও ( University of Western Ontario, UWO])-এর মাইক্রোবায়োলজিস্ট ও লৌসন হেলথ রিসার্চ ইনস্টিটিউট (Lawson Health Research Institute)-এর হিউম্যান মাইক্রোবায়োলজি এন্ড প্রোবায়োটিকসের সভাপতি গ্রেগর রেইড দাবী করেছেন, গাঁজন প্রক্রিয়ায় প্রস্তুত খাদ্য যেমন দই খেলে মানব দেহে পাকস্থলীর উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বা প্রোবায়োটিক্স-এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, ফলে বিষাক্ত রাসায়নিকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীর থাকে সুরক্ষিত ।
দই বানানোর সহজ উপায় মিষ্টি/ টক
ভারী কোন খাবারের পর অনেকেই দই খেতে পছন্দ করেন, বিশেষ করে মিষ্টি দই। এটি স্বাস্থ্যের জন্য যেমন বেশ উপকার খাবার হজম করে বেশ। একটু ইচ্ছে করলেই বাড়ীতেই জমিয়ে ফেলতে পারেন দোকানের মতো সুস্বাদু ও পারফেক্ট মিষ্টি অথবা টক দই। ভাবছেন কীভাবে? কেননা বাড়ীর দই আর বাইরের কেনা দইয়ের স্বাদে রয়েছে আকাশ পাতাল পার্থক্য, ঘরের দইয়ের মত সুস্বাদু আর নির্ভেজাল দই হয়না আসুন জেনে নিন বাড়ীতে বসে মিষ্টি দই বানানোর ঝটপট সহজ উপায়।
দই বানানোর উপকরনঃ
দুধ – ১ লিটার
চিনি – আপনার পছন্দ মতো
পুরনো (দইয়ের বীজ) দই (টক বা মিষ্টি) – ৩ টেবিল চামচ
পাউডার দুধ – ২/৩ টেবিল চামচ (দিতে পারেন নাও দিতে পারেন, আমি দেই)
দই বানানোর পদ্ধতিঃ
প্রথমে দুধ ও পাউডার দুধ একটি পাত্রে নিয়ে অল্প আঁচে জ্বাল দিতে থাকুন। দুধ জ্বাল দিয়ে অর্ধেক (1/2) পরিমাণে হয়ে এলে এতে চিনি দিয়ে ভালো করে নেড়ে দিন। আপনার ইচ্ছানুযায়ী, মাঝে মাঝে চামচ দিয়ে নাড়তে হবে, নইলে দুধ পাতিলের নিচে জমা হয়ে পুড়ে যেতে পারে। দুধ আরও ঘন হয়ে এলে উনুন থেকে নামিয়ে কিছুক্ষণ ঠাণ্ডা হতে দিন। আঙুল ডুবিয়ে দেখুন গরম সহ্য করা যায় কিনা। এই ধরণের গরম থাকতে দুধে দইয়ের বীজ (পুরনো দই ) দিয়ে ভালো করে নেড়ে (হ্যান্ড বিটার বা কাটা চামচ দিয়ে) মিশিয়ে নিন। মিক্স করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন বেশি ফেনা না উঠে যায় এরপর মাটির পাত্রে ঢেলে ভারী মোটা কাপড় বা চটের কিছু (মোটা টাওয়াল/কাপড়) দিয়ে ঢেকে অন্ধকার ও ঠাণ্ডা জায়গায় রেখে দিন ৮-১০ ঘণ্টা। ৮- ১০ ঘণ্টার মধ্যে দই জমে যাবে। যদি ঠাণ্ডা দই খেতে চান তবে ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করুন। এরপর ফ্রিজ থেকে বের করে পরিবেশন করুন দোকানের মতোই সুস্বাদু ঘরে জমানো পারফেক্ট ‘মিষ্টি দই’