ক্ষমা যেথা ক্ষীণ দুর্বলতা ……… তােমার আদেশে ভাবস্প্রসারন
![ভাব সম্প্রসারণ](https://agomonibarta.com/wp-content/uploads/2019/08/Banga-Grammer.jpg)
ক্ষমা যেথা ক্ষীণ দুর্বলতাঃ এই পোষ্টে ক্ষমা যেথা ক্ষীণ দুর্বলতা হে রুদ্র, নিষ্ঠুর যেন হতে পারি তথা, তােমার আদেশে ভাব সম্প্রসারণ শেয়ার করা হল। এর আগের পোষ্টে ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি “ শেয়ার করা হয়েছে চাইলে দেখে নিতে পারেন।
ক্ষমা যেথা ক্ষীণ দুর্বলতা
হে রুদ্র, নিষ্ঠুর যেন হতে পারি তথা
তােমার আদেশে।
ভাবসম্প্রসারণ:
ক্ষমা মানব জীবনের মহৎ ও শ্রেষ্ঠ গুণ। তবে এই পরম ধর্ম প্রকাশে কখনাে কখনাে দুর্বলতা ধরা পড়ে। তখন তা গুণ না হয়ে দোষ বলে পরিগণিত হয়। ক্ষমার এই সুমহান আদর্শ নির্বিচার প্রকাশে মহত্ত্ব নেই, তা চারিত্রিক ত্রুটি বা দোষ হিসাবে চিহ্নিত হয়। দয়া ও ক্ষমা ধর্মের সুমহান বাণী, সাৰ্বজনীন আদর্শ বহুল প্রচারিত। দেশে দেশে যুগে যুগে ঋষি ও মহাপুরুষগণ তাদের জীবন চর্চার মধ্য দিয়ে এই আদর্শ ও নীতি প্রচার করে গেছেন। যীশু খ্রিস্টের ক্ষমা নীতি সর্বজন বিদিত। ক্রুশবিদ্ধ রক্তাক্ত যীশু মৃত্যুকালে পরম পিতা ঈশ্বরের কাছে ঘাতকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে গেছেন। ক্ষমা ধর্মের এ এক চরম আদর্শ। ক্ষমা পরম ধর্ম ও সুমহান আদর্শ তাতে কোনাে সন্দেহ নেই। তা সত্ত্বেও ক্ষমা নীতি নির্বিচার নয়, ক্ষেত্র বিশেষে তা বর্জনীয়। ক্ষমা পরম ও মহৎ ধর্ম হলেও ক্ষমা যেখানে ক্ষীণ দুর্বলতার নামান্তর, সেখানে বিশ্ববিধাতার ভয়াবহ রূপ কল্পনা করে নিজ নিজ কর্তব্য পালন করার জন্য মানুষের নিষ্ঠুর ও কঠোর হওয়া বাঞ্ছনীয়। ক্ষমা অপরাধীর অপরাধ স্পৃহা বাড়িয়ে তােলে, সমাজে অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যায়। এইসব ক্ষেত্রে ক্ষমা প্রদর্শন অবিধেয়, অপরাধীর জন্য শাস্তিবিধান করা উচিত। তাতে সমাজের কল্যাণ হয়। শাস্তিবিধান করা নিষ্ঠুরতার পর্যায়ে পড়ে। তবে ক্ষমা করে উপহাসাম্পদ ও দুর্বল হওয়ার চেয়ে নিষ্ঠুর শাস্তিদাতার ভূমিকা পালন শ্রেয়।
এটিও পড়ুন – আমি ভয় করব না, ভয় করব না …. ভাবস্প্রসারন