কচু শাকের উপকারিতা, না জানলে জেনে নিন

কচু শাকের উপকারিতা, না জানলে জেনে নিন, জেনে নিন কচু শাকের উপকারিতা, কচু শাকের হাজার উপকারিতা, জেনে রাখা ভাল কচু শাকের উপকারিতা। শরীর সুস্থ রাখতে কচু শাকের উপকারিতা।
কচু শাকের উপকারিতা
আমাদের চারধারে রয়েছে অনেক চেনা ও অচেনা গাছ, রয়েছে তাদের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য। কোনটা উপকারী আবার কোনটা বিষাক্ত। তেমনি একটি শাকের উপকারী কথা নিয়ে এই পোষ্ট, কচু শাকের উপকারিতা। আমাদের বাড়ির আনাচে কানাচে এই শাক জন্মাতে দেখা জায়, আবার চাষ ও করা হয়।
কচু অবহেলার পাত্র হলেও, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর সবজি। এ শাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’, ক্যালসিয়াম, লৌহ ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। কচুশাক দুই ধরনের হয়ে থাকে- সবুজ কচুশাক ও কালো কচুশাক। সবুজ কচুশাকের চেয়ে কালো কচুশাক অনেক বেশি পুষ্টিকর। সহজে পাওয়া যায় এই সবজির রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগুণ।
এটিও পড়ুন – মদ্য পান করে নেশা হলে তার প্রতিকার
বিভিন্ন পেপার পত্রিকায় এবং সংবাদ মাধ্যমে কচু শাকের গুণের কথা তুলে ধরা হয়েছে। কচু শাকে ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’, ক্যালসিয়াম, লৌহ ছারাও প্রচুর পরিমাণে রয়েছে প্রোটিন, চর্বি, শর্করা, আয়রন, খাদ্যশক্তি। সাধারণ কচুর ডগা এবং কালো রংয়ের কচুশাকে আয়রন থাকে প্রচুর পরিমাণে। রক্তশূন্যতায় ভোগা রোগীদের জন্য কচুশাক খাওয়া একরকম আবশ্যক।
যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তারা প্রচুর কচুশাক খেতে পারেন। কারণ কচুতে আছে অনেক আঁশ। যা খাবার সহজে হজম করতে সাহায্য করে। কচুশাক সারাদেহে অক্সিজেনের সরবরাহ বজায় রাখতে জুড়ি নেই। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে এমনিতেই শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ কমে যায়। সেই সরবরাহ সচল রাখতে কচুশাক অনেক বেশি কার্যকর। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কচুশাক দারুণ ভূমিকা রাখে। এককভাবে কোনো নির্দিষ্ট অঙ্গপ্রত্যঙ্গের রোগের জন্য এই শাক কাজ না করলেও অন্যভাবে পুরো শরীরেরই উপকার করে। মাঝে মাঝে সামান্য গলা চুলকানো ছাড়া কচু শাকের কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। শাকে যতটুকু ক্ষতিকর অক্সালিক অ্যাসিড থাকে তা এক রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখলেই চলে যায়।