![ওল কচু](https://agomonibarta.com/wp-content/uploads/2022/06/ওলের-পুষ্টি-গুণ.jpg)
ওল কচু (ইংরেজি: elephant foot yam বা whitespot giant arum বা stink lily) হচ্ছে উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলের একটি অর্থকরী ফসল।
ওলকচু সাধারণত সেদ্ধ বা ভাজা হিসাবে খাওয়া হয়। এর তরকারিও করা হয়। তবে আচারে বা ওল চিপস তৈরি করতে এটি খুব কম ব্যবহৃত হয়। এর সবুজ পাতা ও কাণ্ড সবজি হিসাবে কোন কোন পরিবারে রান্না করা হয়।[
সুস্থ থাকতে ওল কচু এর উপকারিতা
- ওলের ডগার আঠা লাগালে বোলতা বা ভীমরুলের কামড়ের জ্বালা দূর হয়।
- নিয়মিত ওলের ডালনা বা ওলভাতে বা শুধুই ওলসেদ্ধ খেলে অর্শ অবশ্যই সারবে।
- ওল খাওয়ার রুচি উৎপন্ন করে।
- মিষ্টি ওল তীক্ষ্ম, উষ্ণ, রুক্ষ ছেদক ও কষযুক্ত। অর্থাৎ ওর স্বাদ তীব্র, শরীর গরম করে এবং ফোড়া ফাটিয়ে দেয়, অর্থাৎ ছেদ সৃষ্টি করে।
- যে ওল কচু খেলে গলা চুলকোয় সেই কুটকুটে বুনো ওলেরও ওষুধ হিসেবে অনেক গুণ আছে। আয়ুর্বেদের মতে বুনো ওল শ্লীপদ (পায়ের গোদ-হাতির মতো ফোলা পা), গোদ, আব, খিদে না পাওয়া, শূন্যব্যথা, দাঁতের ব্যথার শোথ রোগের মহৌষধ।
- তেঁতুল পাতা দিয়ে একটু সেদ্ধ করে জল ফেলে টক দিয়ে রান্না করলে বুনো ওলও খেতে ভাল লাগে।
- যে ওল খেলে চুলকোয় না সেই ভাল জাতের ওল পুরোনো পেটের অসুখ সারিয়ে দেয়। কিন্তু চুলকানি হলে ওল না খাওয়াই ভাল।
- ওলের আছে বায়ু ও কফ নাশ করবার গুণ। হজমও হয় সহজেই। রক্তপিত্তের প্রকোপ বাড়িয়ে দেয়।
- ওলের ডাঁটা ও ওলের কচি শাক দিয়ে তৈরী তরকারি বা ঘন্ট শরীরের পক্ষে খুব উপকারী।
- বুনো ওল মল রোধ করে, ক্যায়, হালকা, তীক্ষ্ণ, রুচিকর। কাশি, বমি, বায় গোলক বা গুল্মরোগ ও শূল ব্যথা সারায়, কৃমি নাশ করে।
- ওল কচু শুকিয়ে গুঁড়ো করে, ঘিয়ে ভেজে চিনি মিশিয়ে খেলে আমাশা সারে।
- ওল টুকরো করে কেটে ঘিয়ে ভেজে খেলে অর্শ সেরে যায়।
এগুলিও পড়তে পারেন -