car techইংরেজিপড়াশোনাপরীক্ষার রুটিনমাধ্যমিকসেরা খবর

মনের মধ্যেকার ভয় দূরকরার উপায় – ভয় দূর হবেই ১০০ %

ভয়মন হল মানুষ এর এমন এক স্বতন্ত্র এবং sensitive area যেখানে যেকোনো আনুভুতি সহজেই ধরা পরে, যেখানে মানুষ নিজেকে কখন weak আবার কখন strong মনে করে। আর এই মনের সবচেয়ে দুর্বল আনুভুতি হল ভয়। হ্যাঁ! ভয় যা মনকে সবসময় গভিরভাবে আঁকড়ে থাকে। যে কোনও বিষয় কাজ করার আগে আমরা ভয়টাকে সবার আগে পাই, যেকোনো কাজে nervousness ভয়ের কারনেই আসে। আর nervousness মানে যেকোন কাজের বিষয়ে আবসাদ আনে,যার কারনে মানুষের মন আরও বেশী weak হয়ে যায়ঃ

মন হল মানুষ এর এমন এক স্বতন্ত্র এবং sensitive area যেখানে যেকোনো আনুভুতি সহজেই ধরা পরে, যেখানে মানুষ নিজেকে কখন weak আবার কখন strong মনে করে। আর এই মনের সবচেয়ে দুর্বল আনুভুতি হল ভয়। হ্যাঁ! ভয় যা মনকে সবসময় গভিরভাবে আঁকড়ে থাকে। যে কোনও বিষয় কাজ করার আগে আমরা ভয়টাকে সবার আগে পাই, যেকোনো কাজে nervousness ভয়ের কারনেই আসে। আর nervousness মানে যেকোন কাজের বিষয়ে আবসাদ আনে,যার কারনে মানুষের মন আরও বেশী weak হয়ে যায়ঃ

 

প্রিয় শ্রোতা, আমাদের প্রিয় জগতে আছে দুঃখ, আছে জরা, আবার এ থেকে নির্বানের উপায়ও আছে। আমাদের চারপাশে এমন অনেকেই আছেন যারা দুঃখ, কষ্ট আর নির্মমতাকে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে জগতের নিরানন্দ আর হতাশাই তার পরম সত্য বলে মেনে নিয়েছেন। কিন্তু এই পৃথিবীতে এমন মানুষের সংখ্যাই বেশি যার সকল দুঃখ, কষ্ট আর নির্মমতাকে জয় করে সুখী ও স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন রচনা করে চলেছেন অবিরত। ভাবুনতো যদি এই সকল মানুষ যদি মনের দিক থেকে অত্যন্ত দৃঢ় না হতো, প্রফুল্ল চিত্তের- আশাবাদী না হতো, তবে কি পারতো তার চারপাশের সকল বাধা দূর করে আনন্দঘন একটি জীবন রচনা করতে। নিশ্চয়ই পারতো না তাই না। হ্যাঁ শ্রোতাবন্ধুরা বিশ্বে এই ধরণের দৃঢ়চেতা, শক্ত মনের মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। আবার এরা কিন্তু আগামীর ভয়ে ভীত নয় বরং নতুনকে জয় করতে সীমাহীন অনুসন্ধানপ্রিয় হয়ে ওঠে। এঁরা নিজের চিন্তা, বিচার-বুদ্ধি-বিবেচনার ওপর আস্থা রাখেন বলেই সর্বক্ষণ প্রফুল্লময়, আনন্দঘন আর বৈচিত্র্যময় একটি জীবনযাপন করতে সক্ষম হন।

শ্রোতাবন্ধুরা, এই মুহুর্তে একবার নিজের দিকে তাকিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করে দেখুনতো- আপনার মন কি সহজেই ভেংগে পড়েনা, দূর্বল হয়না এরকম দৃঢ়, শক্তিশালী? আমি বিশেষ করে আমাদের মহিলা শ্রোতাবন্ধুদের বলছি, ভেবে দেখুনতো আপনাকে ঘরে ও বাইরে সর্বত্রই বিচরণ করতে হয়, কিন্তু এ জন্য আপনি মানে আপনার মন যথেষ্ট তৈরীতো? প্রিয়জনের জন্য সুস্বাদু খাবার তৈরী করতে হলে আপনার মনকে দৃঢ় করলেই চলবে না প্রফুল্লও হতে হবে। আবার বাইরের কাজের ক্ষেত্রে পোশাক-আশাক, সাজ-সজ্জা, আচার-আচরনে নিজের ব্যক্তিত্বকে আকর্ষণীয় করে রাখার মত মনের দৃঢ়তা না থাকলেও তো চলবে না। শ্রোতাবন্ধুরা চলুন তাহলে আজকের এ অনুষ্ঠানে নিজের মন কিভাবে দৃঢ় আর প্রফুল্লচিত্তের করা যায়, এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক। আসুন তাহলে।

এক: কখনো কখনো আপনাকে low profile বা দৃষ্টির অগচরে থাকতে হবে।

কথায় আছে কম কথা বলা মানে বুদ্ধিমানের লক্ষণ। অর্থাত্ যে কোনো ইস্যুতে বা সকল বিষয়ে কথা না বললেও কিন্তু চলে। সকল কিছুতে অন্যের ওপর খবরদারি বন্ধ করুন দেখবেন আপনার মনের প্রফুল্লতা ও দৃঢ়তা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। কেননা আপনি যত কম কথা বলবেন এবং অপ্রয়োজনীয় সকল কিছুতে যতই কম নাকগলাবেন ততই আপনার ভুল করা অথবা বিচ্যুতি ঘটানোর সম্ভাবনা কমে আসবে। যা আপনার মনকে দৃঢ় ও শক্তিশালী সর্বপোরি আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।

দুই: নিজে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন এবং এর পরিণতি ভোগকরার জন্যও তৈরী হোন।

কথায় আছে অন্যের বুদ্ধিতে বিজয় অর্জনের চেয়ে নিজের বুদ্ধিতে হারাও ভাল। আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে সিদ্ধান্ত গ্রহন করার অর্থই হচ্ছে সেখানে সফলতা বা ব্যর্থতা উভয়ের সম্ভাবনা সমান ভাবে সত্য হতে পারে। অর্থাত্ যে কোনোটির জন্য আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে। এ জন্য অনুতাপ করা যাবে না। মনে রাখবেন নিজের সিদ্ধান্ত মতে ব্যর্থ হলে দুঃখবোধ থাকতে পারে কিন্তু তীব্র অনুতাপ, অনুশোচনার কিছু নেই কারণ ওটি আপনার নিজের সিদ্ধান্ত। অনুশোচনা বা অনুতাপকে যতই স্থান দিবেন ততই আপনার মনকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে দূর্বল করে বিষাদের একজগত তৈরী করে দেবে। যা আপনার মনের দৃঢ়তাকে ক্রমশই দূর্বল থেকে দূর্বলতর কর তুলবে। সুতরাং নিজে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন আর নিজেই তার ফল করুন যা আপনার মনের শক্তি অর্জনে সহায়ক হতে পারে।

তিন: অতীতের ঘটনা না ভুললে চলে, তবে এদেরকে যত কম ঘাটাবেন ততই মঙ্গল, অর্থাত্ মন ততই সুস্থ, সবল ও প্রফুল্ল থাকতে পারে।

প্রায়শই দেখা যায় মহিলারা অতীতের দুঃখ ও যন্ত্রণাময় স্মৃতি ভুলতে পারে না বরং অধিক ইমশোনাল হয়ে নিজেই নিজেকে কষ্ট দিয়ে থাকে। ক্রমাগত এই ধরণের আচরন আপনার মনকে দূর্বল থেকে দূর্বলতর করে তুলবে এবং আপনি সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি হারিয়ে ফেলবেন।

যারা আপনাকে নিয়ে ভাবেন, চিন্তা করেন তাদেরকে কখনোই ভূলবেন না। অতীতের সকল সুন্দর ঘটনাগুলোকেও ভুলবেন না। কিন্তু সর্বক্ষণ এদেরকে মনে ঠাঁই দেওয়া বা এদেরকে প্রভাব বিস্তার করতে দেওয়াটাও উচিত নয়। স্মৃতি যেন কখনই আপনার এগিয়ে যাওয়া পথের বাঁধা হতে না পারে। যে স্মৃতি আপনাকে থমকে দেয় তা থেকে দূরে থাকাও আপনার মনের দৃঢ়তা অর্জনের একটি বড় উপায়।

চার: স্বাধীন থাকুন আর খেয়াল করে কথা বলুন। কখনোই আপনার মৌল-দৃষ্টিভংগী আর নিজ-বৈশিষ্ট্যের সাথে আপোস করবেন না।

প্রতিটি মানুষেরই রয়েছে নিজ নিজ মৌল-দৃষ্টিভংগী আর মৌলিক বৈশিষ্ট্য- এটাই তার বৈচিত্র্য, এটাই তার ব্যক্তিত্ব। প্রায়শই আমরা কাজ অথবা সম্পর্কের নানান জটিলতায় নিজে মৌল-দৃষ্টিভংগীকে বিসর্জন দিয়ে থাকি। যা মনের শক্তি অর্জনের পথে প্রধানতম অন্তরায়। সাধারণত পুরুষের তুলনায় মহিলাদের মন বেশ নরম হয়ে থাকে। এরা মাঝেমধ্যেই তার প্রেমিক অথবা প্রিয়জনের জন্য নিজের মৌল-দৃষ্টিভঙ্গি ভুলে যান বা গুরুত্ব দেন না। এই ধরনের আপোস পরিণামে আরও খারাপ দিকে এগুতে পারে। মনকে শক্ত রাখতে হলে মৌল-দৃস্টিভংগী নিজ-বৈশিষ্ট্য বা নিজের ব্যক্তিত্বকে অবশ্যই অক্ষুন্ন রেখে সম্পর্ক বা কাজের ক্ষেত্র নির্মাণ করতে হবে। সুতরাং নিজের মৌল-দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি অবিচল থাকুন।

৫: প্রিয়জনকে কিছু গিফ্ট বা কিছু প্রদান করতে চাইলে তা নিঃশর্ত বা প্রতিদানে কিছু পাওয়ার আশা ত্যাগ করেই প্রদান করুন।

প্রতিদানের আশা করে কিছু প্রদান করে না পাওয়ার বেদনা বা আশাহত হওয়ার কষ্ট আপনার মনকে দূর্বল করে তুলবে আর নিজের আত্মবিশ্বাসে চরম ফাটল তৈরী করবে। মনে রাখবেন জোর করে কিছু পাওয়া বা প্রতিদানের আশায় কিছু প্রদানের মধ্যে কোনো কৃতিত্ব নেই। আজই আপনি আপনার প্রিয়জনকে সম্পূর্ণ নিঃশর্ত আর মনের প্রফুল্ল চিত্তে কিছু একটা উপহার প্রদান করুন, দেখবেন নিজেকে অনেক ভার মুক্ত, বড় একজন মানুষের মত মনে হবে। আপনার মনের প্রফুল্লতা এবং আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যাবে, যা আপনার মনকে দৃঢ় করতে সাহায্য করবে।

৬: প্রফুল্ল আর আশাবাদী মন সাফল্য অর্জনের নিয়ামক।

নিজেকে একজন মিস্টিভাষী, হাস্যোজ্জল, আনন্দচিত্তের অধিকারী মানুষ হিসেবে তৈরী করুন। এই ধরনের মানুষ সহজেই আরও অধিক বেশি বন্ধু-বান্ধবী আকর্ষণ করতে পারে। আনন্দ ও দুঃখময় আবেগ সহজেই অন্যদেরকে প্রভাবিত করে। সেজন্য ইতিবাচক চিন্তা করুন, আশাবাদী হোন আর আনন্দচিত্তের অধিকারী হোন। আজই আপনি নিজেকে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন যে, আপনার ভালো মুড আর আনন্দঘন উষ্ণতা দিয়ে আপনার কাছের মানুষদের সাথে মেলা-মেশা শুরু করুন দেখবেন আপনার কাছের মানুষও আনন্দঘন আর আশাবাদী হয়ে উঠবে।

এগুলিও পড়তে পারেন -

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button