মূলা ষষ্ঠী ? কেন মূলা ষষ্টি পূজা করা হয়?
![রাখী বন্ধন দিন ও তারিখ](https://agomonibarta.com/wp-content/uploads/2018/11/hindu-pooja.jpg)
হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রাচীন প্রথা মেনে আজও মূলা ষষ্টি পালন করে আসছে। বেশকিছু ষষ্ঠীব্রত পালন করতেও দেখা যায় হিন্দুদের মধ্যে। এর মধ্যে মূলা ষষ্ঠী অন্যতম। অশোকা ষষ্ঠী, লুন্ঠন ষষ্ঠী, জামাই ষষ্ঠী, পাটাই ষষ্ঠী, শীতল ষষ্ঠীও পালন করতে দেখা যায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের। বিশেষত কার্তিক অগ্রহায়ণ মাসে যখন নতুন ফসল ঘরে ওঠে তখন এই পূজার আয়োজন করা হয়। [এটিও পড়ুন- ২০২০ -২০৫০ মূলা ষষ্ঠী পূজা সময় নির্ঘণ্ট, মূলা ষষ্ঠী ক্যালেন্ডার]
এই পূজায় অর্ঘ হিসেবে মূলা, দুধ, আপেল, কমলা, বেলপাতা, বাতাবী লেবু, শসা, কলা, আঙ্গুর, পেঁয়ারা, বাতাসা, তুলশী পাতা, জবা ফুল, শিউলী ফুল, দূর্বা ঘাস, ও ধানের শিষের স্তুপধান, বিভিন্ন ফল ও ফসলের বিচিত্র ব্যবহার এ পূজার অন্যতম উপকরণ।
যাদের সন্তান হয়না সেসকল মহিলা সন্তান লাভের আশায় এবং যাদের সন্তান আছে তারা সন্তানের মঙ্গলার্থে মূলত ষষ্ঠী পূজা করে থাকেন। বিশেষ করে শুভ সূচী ও মঙ্গল কামনার জন্য এই পূজা করা হয়।
কথিত আছে, পশ্চিমবঙ্গের মালদহের বেহুলা নদীর পাড়ে এক সময় লোক বসতি ছিল না। এলাকাটি ছিল জঙ্গলে পরিপূর্ণ। সেখানে বেহুলা মাকে নিয়ে জুয়া খেলা হয়েছিল। মা মনসার আশীর্বাদ লাভের আশায় এখনো সেখানে ষষ্ঠী পূজা হয়ে থাকে। এ উপলক্ষে মালদহের বেহুলা নদী পারের নেউড়ি এলাকায় মেলা বসে। আনন্দ উপভোগের জন্য পূজার বিশেষ এ দিনে এখনো সেখানে বিভিন্ন বয়সী মানুষ জুয়া খেলে থাকেন। মায়ের কৃপা প্রার্থনায় মাকে হরেক রকম খাবার দেয়া হয়। পূজা শেষে অপাক্তেয় অংশ নদীতে বিসর্জন দেয়া হয়। সোর্স- ইন্টারনেট
One Comment