উৎসব

2024 বুদ্ধ পূর্ণিমা সময় ও ক্যালেন্ডার | Buddha Purnima

বুদ্ধ পূর্ণিমা কী এবং কেন? বুদ্ধ পূর্ণিমার তাৎপর্য

বুদ্ধ পূর্ণিমা বা বৈশাখী পূর্ণিমা (Buddha Jayanti or Buddha Purnima) হল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্রতম প্রধান উৎসব। এই পুণ্যোৎসব বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হয়। বৈশাখী পূর্ণিমা দিনটি বুদ্ধের ত্রিস্মৃতি বিজড়িত। এই পবিত্র তিথিতে বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন, বোধি বা সিদ্ধিলাভ করেছিলেন এবং মহাপরিনির্বাণ লাভ করেছিলেন। এই দিনে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীগণ স্নান করেন, শুচিবস্ত্র পরিধান করে মন্দিরে বুদ্ধের বন্দনায় রত থাকেন। ভক্তগণ প্রতিটি মন্দিরে বহু প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করেন, ফুলের মালা দিয়ে মন্দিরগৃহ সুশোভিত করে বুদ্ধের আরাধনায় নিমগ্ন হন। এছাড়া বুদ্ধগণ এই দিনে বুদ্ধ পূজার পাশাপাশি পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ, সমবেত প্রার্থনা করে থাকেন।

2024 বুদ্ধ পূর্ণিমা সময় ও ক্যালেন্ডার

উৎসবের নাম তারিখ
বৈশাখী পূর্ণিমা বা বুদ্ধ জয়ন্তী
বুদ্ধপূর্ণিমা সময় ও ক্যালেন্ডার
23 মে, ২০২৪, , বৃহস্পতিবার

বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে- ৯ জৈষ্ঠ (Joishtho), ১৪৩১

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-

  • তিথি- পূর্ণিমা, ২৩ মে বৃহস্পতিবার ১৮ঃ৪৮ (06: 48 PM) পর্যন্ত এবং কৃষ্ণ প্রতিপদ শুরু।
  • পুজার দিন – বৈশাখী পূর্ণিমার অর্থাৎ বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন ।
  • আনুষ্ঠানিক নাম – বৈশাখী পূর্ণিমা
  • পালনকারী- বৌদ্ধ
  • তাৎপর্য – গৌতম বুদ্ধের জন্মদিন বা বুদ্ধদিবস
  • তারিখ বঙ্গাব্দঃ জৈষ্ঠ ১৪৩১
  • এই দিন আর যে যে পুজা হয় তা হল- গন্ধেশ্বরী পুজা 

বুদ্ধ পূর্ণিমা কী এবং কেন?

গোটা দুনিয়া জুড়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এবং হিন্দুরা গৌতম বুদ্ধের জন্ম বুদ্ধ জয়ন্তী হিসাবে উদযাপন করে। 563 খ্রিষ্টাব্দে নেপালের লুম্বিনিতে পূর্ণিমা তিথিতে বুদ্ধের রাজপুত্র সিদ্ধার্থ গৌতম হিসাবে জন্ম হয়েছিল। সুতরাং, তাঁর জন্মবার্ষিকীর দিনটি বুদ্ধপূর্ণিমা বা বুদ্ধ জয়ন্তী বা বৈশাখী পূর্ণিমা বা ভেসাক নামেও পরিচিত। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, কম্বোডিয়া, জাভা, ইন্দোনেশিয়া, তিব্বত, মঙ্গোলিয়া একটি বিস্তৃত উৎসবের মধ্য দিয়ে বুদ্ধজয়ন্তীর বিশেষ দিনটিকে ‘ভেসাক’ উৎসব হিসাবে স্মরণ করে।

এটিও পড়ুন – 2025 বুদ্ধ পূর্ণিমা সময় ও ক্যালেন্ডার

বুদ্ধপূর্ণিমার তাৎপর্য

কঠোর ধ্যানমগ্নে থাকতে থাকতে সন্ন্যাসী সিদ্ধার্থের সমস্ত শরীর এক চর্মাবৃত কঙ্কালে পরিণত হলো। এতেও তার অভীষ্ট লক্ষ্য সিদ্ধ হচ্ছে না, তখন তিনি মধ্যপন্থা অবলম্বন করে আবার ধ্যানেরত হলেন। সন্ন্যাসী সিদ্ধার্থ অভিনব সাধনা পদ্ধতি অবলম্বন করে হৃত স্বাস্থ্য ফিরে পেলেন। বৈশাখীর শুক্লপক্ষের চাঁদ যতই বাড়তে শুরু করল ততই আসন্ন সিদ্ধিলাভের পুলকস্পর্শে তার হৃদয় দ্রবীভূত হচ্ছে। সেদিন ছিল বৈশাখী পূর্ণিমার চতুর্দশ তিথি।

বুদ্ধ পূর্ণিমার গুরুত্ব

বৈশাখী পূর্ণিমার তিথিতে সূর্যোদয়ের পর স্নান করে শ্রী শ্রী বিষ্ণুর পুজো করা হয়। এদিন ধর্মরাজের পুজো করারও রীতি বেশ প্রচলিত আছে। সত্যবিনায়ক ব্রত করলে ধর্মরাজ প্রসন্ন হন। ধর্মরাজ যম হল মৃত্যুর দেবতা। তাই যমকে প্রসন্ন করলে অকাল মৃত্যুর যে ভয়, তার থেকে মুক্তি লাভ করা যায়। সাধারণত পূর্ণিমার দিনে তিল ও চিনির দান শুভ বলে মনে করা হয়। এর ফলে অজান্তে হওয়া হওয়া পাপ থেকে মুক্তি লাভ করা যায়।

2023 বুদ্ধ পূর্ণিমা হয়েছিল

উৎসবের নাম তারিখ
বৈশাখী পূর্ণিমা বা বুদ্ধ জয়ন্তী
বুদ্ধপূর্ণিমা সময় ও ক্যালেন্ডার
 5 মে, ২০২৩, শুক্রবার

বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে- ২১ বৈশাখ, ১৪৩০

2022 বুদ্ধ পূর্ণিমা হয়েছিল

উৎসবের নাম তারিখ
বৈশাখী পূর্ণিমা বা বুদ্ধ জয়ন্তী
বুদ্ধপূর্ণিমা সময় ও ক্যালেন্ডার
১৬ শে মে, ২০২২, সোমবার

বুদ্ধপূর্ণিমা শুভ মুহূর্ত

পূর্ণিমা তিথি শুরু -১৫ শে মে ২০২১ রবিবার 12:45 PM  থেকে
পূর্ণিমা তিথি শেষ – ১৬ শে মে ২০২২, সোমবার 09:43 AM পর্যন্ত।

2021 বুদ্ধ পূর্ণিমা হয়েছিল

উৎসবের নাম তারিখ
2021 বুদ্ধ পূর্ণিমা সময় ও ক্যালেন্ডার ২৬ শে মে, ২০২১

বুদ্ধ পূর্ণিমা শুভ মুহূর্ত

পূর্ণিমা তিথি শুরু -২৫ শে মে ২০২১ মঙ্গলবার 08:29 PM (সন্ধ্যা)
পূর্ণিমা তিথি শেষ – ২৬ শে মে ২০২১, বুধবার  04:43 PM (বিকাল) পর্যন্ত।

বুদ্ধ পূর্ণিমা কি এবং কেন পালন করা হয়

গৌতম বুদ্ধের জন্মবার্ষিকী বুদ্ধ পূর্ণিমা, বুদ্ধ জয়ন্তী হিসেবে পালিত হয়। বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা হলেন গৌতম বুদ্ধ। এটাও বিশ্বাস করা হয় যে এই দিন অর্থাৎ বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন তিনি জ্ঞানলাভ করেছিলেন। সেই হিসেবে সারা বিশ্বের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য এটি একটি শুভ দিন হিসেবে পালিত হয়।

গৌতম বুদ্ধের জন্ম কবে হয়েছিল

ভগবান সিদ্ধার্থ গৌতম বুদ্ধ, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৫৬৬ অথবা ৪৮৬অব্দ আধুনা নেপালের (Rummindehi District, Nepal ) লুম্বিনীর বিখ্যাত বাগানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যা একটি তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে। ম

গৌতম বুদ্ধ কত বছর বয়সে মারা যান?

তিনি মহাপরিনির্বাণ লাভ আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৪৮৩ অথবা ৪০০ অব্দে (৮০ বছর) উত্তরপ্রদেশের কুশিনগর নামক স্থানে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যু বরন ঘটনাটি বলা হয় মহাপরিনির্বাণ ।

এগুলিও পড়তে পারেন -

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button