বিজ্ঞানস্বাস্থ্য

শ্বাসতন্ত্রের রোগ সম্পর্কিত তথ্য । শ্বাসতন্ত্রের প্রধান কয়েকটি রোগ

শ্বাসতন্ত্রের কি? শ্বাসতন্ত্রের কাজ? এবং শ্বাসতন্ত্রের প্রধান প্রধান কয়েকটি রোগ

ফুসফুস মেরুদণ্ডী প্রাণীর একটি অঙ্গ যা শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজে ব্যবহৃত হয়। এই শ্বাসযন্ত্রটির প্রধান কাজ হলো বাতাস থেকে অক্সিজেনকে রক্তপ্রবাহে নেওয়া এবং রক্তপ্রবাহ হতে কার্বন ডাই-অক্সাইডকে বাতাসে নিষ্কাশন করা।

শ্বাসতন্ত্রের রোগ

  •  রস (Pleurisy) : প্লুরার প্রণহজনিত রোগ।
  • প্লুরোনিউমোনিয়া (Pleuropneumonia) : সংক্রমণের ফলে ফুসফুসসহ প্লুরায় প্রদাহ ঘটলে তাকে পুরোনিউমোনিয়া বলে।
  • নিউমোনিয়া (Pneumonia) : Diplococcus pneumoniae নামক ব্যাকটিরিয়ার সংক্রমণে ফুসফুসের বায়ুথলি পুঁজে ভর্তি হয়ে শক্ত হয়ে যায়। ফুসফুসের এই রোগকে নিউমোনিয়া বলে।
  • ব্রঙ্কোনিউমোনিয়া (Bronchopneumonia) : যে রোগে ফুসফুসের বায়ুথলি এবং ক্লোমশাখা বা ব্রঙ্কাই আক্রান্ত হয় তাকে ব্রঙ্কোনিউমোনিয়া বলে।
  • ব্রঙ্কাইটিস (Bronchitis) : ভাইরাস ব্যাকটিরিয়ার সংক্রমণের ফলে ব্রঙ্কাস অর্থাৎ ক্লোমশাখার মিউকাস পর্দার প্রদাহকে ব্রঙ্কাইটিস বলে।
  • নিউমোথোরাক্স (Pneumothorax) : প্লুরার আস্তর পর্দার মধ্যে বাতাস আবদ্ধ হেতু যে রোগ হয় তাকে নিউমোথোরাক্স বলে।
  • হিমোথোরাক্স (Haeiñothorax) : পুরা গহ্বরে রক্ত জমার ফলে যে রোগ হয় তাকে হিমোথোরাক্স বলে।
  • হাইড্রোথোরাক্স (Hydrothorax) : পুরা গহ্বরে অতিরিক্ত তরল জমা হওয়ার ফলে। যে রোগ সৃষ্টি হয় তাকে হাইড্রোথোরাক্স বলে।
  • পায়োথোরাক্স বা এমপাইমা (Pyothorax or Empyema) : প্লুরাগহ্বরে পুঁজ জমা হওয়ার ফলে যে রোগ হয় তাকে পায়োথোরাক্স বা এমপাইমা বলে।
  • অ্যাজমা বা হাঁপানি (Asthma) : ব্রঙ্কাস ও ব্রঙ্কিওলের সংকোচন জনিত শ্বাসকষ্টের রোগকে হাঁপানি বলে।
  • পালমোনারি টিউবারকিউলোসিস বা ফুসফুসীয় যক্ষা (Pulmonary tuberculosis) : | Mycobacterium tuberculosis নামক ব্যাটিরিয়ার সংক্রমণের ফলে বায়ুথলির প্রাচীরে ৩টি সৃষ্টিকারী রোগ।
  • এমফাইসেমা (Emphysema) : দীর্ঘদিন ধরে হাঁপানিতে ভোগার ফলে বায়ুথলির স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়ে যায়, ফলে বায়ুথলির প্রসারণ ও গ্যাসীয় বিনিময় স্থানের হ্রাসপ্রাপ্তি ঘটে, ফুসফুসের এরকম পীড়াকে এমফাইসেমা বলে।
  • অ্যানথ্রাকোসিস (Anthracosis) ফুসফুসে কয়লার কণা প্রবেশ করে যে রোগ সৃষ্টি হয় তাকে অ্যানথ্রাকোসিস বলে।
  • সিলিকোসিস (Silicosis) : ফুসফুসে সিলিকন কণার প্রবেশের ফলে যে রোগ সৃষ্টি হয় তাকে সিলিকোসিস বলে।
  • অ্যাসবেসটোসিস (Asbestosis) ফুসফুসে অ্যাসবেসটোসের কণা ঢুকে যে রোগ সৃষ্টি করে তাক অ্যাসবেসটোসিস বলে।

এটিও জেনে নিন – এইডস কী? এইডস প্রতিরোধের উপায় এবং করণীয় কী? AIDS

শ্বাসপ্রশ্বাস ছাড়া অন্যান্য কাজ

  • ধমনীয় রক্তে ঔষধ হিসাবে ব্যবহৃত ‘প্রানীদেহে কার্যকর সক্রিয় বস্তু’ ও ‘ঔষধ-উপাদানের ঘণত্ব’ প্রভাবিত করে।
  • শিরায় তৈরি হওয়া ছোট রক্ত পিন্ড অপসারন করে।
  • হৃৎপিণ্ডের প্রতিরক্ষার জন্য নরম, ঘাতসহ স্তর হিসাবে ব্যবহৃত হয়, যা প্রায় চারপাশে হতে হৃৎপিণ্ডকে ঘিরে থাকে।

source: https://bn.wikipedia.org

ট্যাগঃ শ্বাসতন্ত্রের রোগ কি? শ্বাসতন্ত্রের রোগ সম্পর্কিত তথ্য, শ্বাসতন্ত্রের রোগ PDF

এগুলিও পড়তে পারেন -

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button