
শিশু পরিচর্যা এর সংক্ষিপ্ত তালিকাঃ শিশু ভূমিষ্টের পর থেকে কিভাবে তাকে সুষ্ঠুভাবে বড় করে তােলা যায় সে বিষয়ে একটি তালিকা শেয়ার করা হলাে। তাকে ভালো ভাবে মানুষ করতে শৈশবটাই আসল। কতগুলো টিপস অনুসরণ করলে শিশু মনের বিকাশ ভালো ভাবে ঘটে।
শিশু পরিচর্যা এর সংক্ষিপ্ত তালিকা
- প্রথম দু মাস মাতৃস্তন দুগ্ধ ছাড়া আর অন্য কিছু খাওয়ানে উচিত নয়।
- তিন ঘণ্টা অন্তর শিশু খেতে হবে।
- এরপর একবছর পর্যন্ত শিশুকে মাতৃস্তন দুগ্ধ খাওয়ার সঙ্গে অন্য পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়ানাে উচিত। যেমন ভাত চটকে, সক্জি, ডিম, ফলসেদ্ধ ইত্যাদি।
- শিশুর বয়স ১ বৎসরের পর থেকে শিশুর স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য খাঁটি গরুর দুধ, ছাগ দুগ্ধ, মাছ, মাংস, ডিম প্রভৃতি প্রােটিন জাতীয় খাদ্য খাওয়াতে হবে।
- শিশুর স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে হবে। ৬ মাস অন্তর শিশুর ওজন দেখা দরকার। তাহলে বােঝা যাবে শিশু সবল না দুর্বল হচ্ছে।
- শিশুর শরীর সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। পােষাক পরিচ্ছদও পরিষ্কার হওয়া দরকার।
- ৩ বছর বয়স থেকে শিশুকে খেলাধূলার মাধ্যমে শিক্ষা (লেখাপড়া) অভ্যেস করাবেন।
- ৫ বছর বয়সে শিশুদের পাঠ্যক্রম শুরু করানােই ভাল। এর পূর্বে হলে শিশুদের দেহ ও মনের উপর চাপ পড়বে।
- এই বয়স থেকেই শিশুদের সকালে ঘুম থেকে উঠে মলত্যাগ করার ও হাত পা-মুখ ধুয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়ার অভ্যেস করান।
- যদি কোন শিশুর ঘা, চুলকানি বা জটিল কোন ছোঁয়াচে ব্যাধি হয়, সেই শিশুর নিকট অন্য কোন শিশুকে যেতে দেবেন না। এর ফলে সুস্থ শিশুটিও অসুস্থ শিশুর সংশ্রবে এসে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।
- অসুস্থ শিশুর ব্যবস্থাও কোন জিনিষপত্র, পােষাক পরিচ্ছদ সুস্থ শিশুকে ব্যবহার করতে দেবেন না।
- শিশুদের বেশী লজেন্স, মিষ্টি বা সােডা লেমনেড ইত্যাদি খেতে দেবেন না। এর ফলে ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।
- শিশুদের নানারকম জটিল রােগের হাত থেকে রক্ষা করতে শিশুকে রােগ নিরাময়ের টিকা অথবা ইঞ্জেকশন দিতে হবে, তবে অবশ্য তাহা কোন শিশু চিকিৎসকের পরামর্শানুযায়ী।
শিশু পরিচর্যার বিষয়ক আরও জানতে National Institute of Public Cooperation and Child Development (nipccd) এর ওয়েবসাইট www.nipccd.nic.in চোখ রাখতে পারেন।
এটিও পড়ুন – রােগ নির্ণয় করতে হলে রােগীর এই তথ্যগুলি জানা জরুরী
ফেসবুকে আগমনী বার্তা- ।। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিনোদন ইত্যাদি তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক দিয়ে পাশে থাকুন।
খুব সুন্দর লেখা। খুব ভালো লাগলো।