
বজ্রপাত থেকে রক্ষাঃ বজ্রপাত হল বায়ুমন্ডলে বিদ্যুতের নিঃসরণের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক, উজ্জ্বল আলোর ঝলকানি। এটি মেঘের সংঘর্ষের ফলে ঘটতে পারে। বজ্রপাত জীবন এবং সম্পত্তির জন্য একটি বড় বিপদ, এবং আগুন, আঘাত এবং মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
মেঘের মধ্যে বৈদ্যুতিক চার্জ জমা হওয়ার কারণে বজ্রপাত হয়। এই চার্জগুলি মেঘের মধ্যে চলাচলের সময় বরফের স্ফটিক এবং জলের ফোঁটার ঘর্ষণ দ্বারা তৈরি হয়। চার্জগুলি এত শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে তারা অবশেষে স্রাব করে, একটি বজ্রপাত তৈরি করে। [বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে 10 টি নিয়ম গুলি মেনে চলুন]
বজ্রপাত প্রতি ঘন্টায় 200,000 মাইল পর্যন্ত গতিতে ভ্রমণ করতে পারে। তারা তাদের চারপাশের বাতাসকে 54,000 ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত তাপমাত্রায় গরম করতে পারে, যা সূর্যের পৃষ্ঠের চেয়ে বেশি গরম। এই তাপ বাতাসকে দ্রুত প্রসারিত করে, একটি সোনিক বুম তৈরি করে যা আমরা বজ্রের মতো শুনতে পাই।
বজ্রপাতের সময় বজ্রপাত সবচেয়ে সাধারণ, তবে এটি অন্যান্য ধরনের আবহাওয়ার সময়ও ঘটতে পারে, যেমন তুষারঝড় এবং আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত। এলাকায় বজ্রপাত হলে আশ্রয় নেওয়া জরুরি। এপ্রিল-জুন মাসে বৃষ্টি বেশি হয়, বজ্রপাতের সময়সীমা ৩০-৪৫ মিনিট স্থায়ী হয়। [বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে 10 টি নিয়ম গুলি মেনে চলুন]
বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে কিছু সুরক্ষা টিপস
- এলাকায় বজ্রপাত হলে ঘরে থাকুন।
- আপনি যদি বাইরে থাকেন, আশ্রয়ের জন্য একটি নিরাপদ জায়গা খুঁজুন, যেমন একটি ভবন, গাড়ি বা গাছের নিচে।
- ইলেকট্রনিক ডিভাইস, যেমন সেল ফোন এবং রেডিও ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।
- খোলা জল এবং ধাতব বস্তু থেকে দূরে থাকুন।
- আপনি যদি বজ্রপাতের ঝড়ের কবলে পড়েন তবে আপনার পা একসাথে এবং আপনার কানে হাত রাখুন।
- বজ্রপাত প্রকৃতির একটি শক্তিশালী এবং বিপজ্জনক শক্তি। এই নিরাপত্তা সতর্কতা অবলম্বন করে, আপনি নিজেকে এবং আপনার প্রিয়জনকে বজ্রপাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারেন।
- এ সময় ঘরে অবস্থান করুন।
- ঘন কাল মেঘ দেখা দিলে ঘরের বাহির হবেন না। অতি জরুরী প্রয়োজনে রাবারের জুতা পড়ে বাহিরে যান।
- বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা, খোলা মাঠ অথবা উঁচু স্থানে থাকবেন না।
- বজ্রপাতের সময় ধান ক্ষেত বা খোলা মাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি গায়ের আঙ্গুলের উপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙ্গুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে থাকুন।
- যত দ্রুত সম্ভৰ দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।
- টিনের চালা যথা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। উঁচু গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার বা ধাতব খুঁটি, মোবাইল টাওয়ার ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন।
- কালো মেঘ দেখা দিলে নদী, পুকুর, ডোবা বা জলাশয় থেকে দূরে থাকুন।
- বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভিতরে অবস্থান করলে গাড়ির ধাতৰ অংশের সাথে শরীরে সংযোগ ঘটাবেন না, সম্ভব হলে গাড়িটি নিয়ে কোন কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।
- বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি ও বারান্দায় থাকবেন না। জানালা বন্ধ রাখুন এবং ঘরের ভিতরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকুন।
- বজ্রপাতের সময় মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ল্যান্ডফোন, টিভি, ফ্রিজসহ সকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন এবং এগুলো বন্ধ রাখুন।
- বজ্রপাতের সময় হাতল যুক্ত ছাতা ব্যবহার করবেন না। জরুরী প্রয়োজনে প্লাস্টিক বা কাঠের হাতল যুক্ত ছাতা ব্যবহার করুন।
- বজ্রপাতের সময় শিশুদের মাঠে খেলাধুলা থেকে বিরত রাখুন এবং নিজেরাও বিরত থাকুন।
- বজ্রপাতের সময় ছাউনিবিহীন নৌকায় মাছ ধরতে যাবেন না। তবে এ সময় সমুদ্র বা নদীতে থাকলে নৌকার ছাউনির নিচে অবস্থান করুন।
- বজ্রপাতের ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিড়ির ধাতব রেলিং পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না।
- প্রতিটি বিল্ডিংয়ে দন্ড স্থাপন নিশ্চিত করুন।
- খোলা স্থানে অনেকে একত্রে থাকাকালীন বজ্রপাত শুরু হলে প্রত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরে দূরে সরে যান ।
- কোন বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সবাই এক কক্ষে না থেকে আলাদা আলাদা কক্ষে অবস্থান করুন।
- বজ্রপাতের সময় কেউ আহত হলে বৈদ্যুতিক শকে আহতদের মত করেই চিকিৎসা করতে হবে। প্রয়োজনে দ্রুত চিকিৎসককে ডাকতে হৰে ৰা হাসপাতালে নিতে হবে।আহত ব্যাক্তির স্বাস-প্রশ্বাস ও হৃদ স্পন্দন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। [বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে 10 টি নিয়ম গুলি মেনে চলুন]