বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে ভাবসম্প্রসারণ

বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়েঃ এই পোষ্টে সকল ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে ভাব সম্প্রসারন শেয়ার করা হল। আশা করি উক্ত ভাবসম্প্রসারণ সকলের কাজে আসবে। এটিও পড়ুন – ভারতের প্রথম ডাক পরিষেবা কবে এবং কখন
বন্যেরা বনে সুন্দর,
শিশুরা মাতৃক্রোড়ে
ভাবসম্প্রসারণ: মানবসভ্যতার একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য সামঞ্জস্য। সেই সামঞ্জস্য সৌন্দর্যের আর এক লক্ষণ। যথার্থ পরিবেশ সেই সামঞ্জস্যের ধারক। সৌন্দর্যের সঙ্গে স্বাভাবিকতার মিশ্রণেই সৃষ্টির নব নব রূপপরিগ্রহ। আবার বৈচিত্র্যের মধ্যে সংহতি সাধনেও সেই সামঞ্জস্য ও সৌন্দর্যের নির্বাধ বিকাশ ঘটে। ভারতবর্ষের সভ্যতার মধ্যে কত বৈচিত্র্য। কত রকম মানব গোষ্ঠী, কত রকম তাদের ভাষা, পােশাক-পরিচ্ছদ, ধর্ম-সংস্কৃতি, আচার-আচরণ। এক-একটি বিশেষ পরিবেশে এক-একটি মানবগোষ্ঠীর সহজ সুন্দর প্রকাশ ঘটেছে। সভ্যতার ধ্বজাধারীরা আদিম মানুষের যে খাঁটি গােষ্ঠী এখনাে পৃথিবীতে বর্তমান, তাদের সভ্য করার অত্যুগ্র উৎসাহে নিশ্চিহ্ন করার পথে অগ্রসর হয়েছেন। আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের গহন অরণ্যের পরিবেশে যারা সহজ, সুন্দর, কলকাতার নাগরিক পরিবেশে তাদের সমস্ত জীবনীশক্তি ক্ষয় হতে বাধ্য। মানুষের কতকগুলি সহজ স্বাভাবিক প্রবণতা আছে, সে-সব তাদের নিজস্ব পরিবেশে অনায়াসে ঘূর্তি লাভ করে। বিপরীত পরিবেশের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় সে-সবের বিকাশ তাে হয়ই না, বরং বিলােপ ঘটে। একটি শিশু আকৃতিতে যতই কুৎসিত হােক না কেন, মাতৃক্রোড়ের নিরাপদ আশ্রয়ে সে সুন্দর হয়ে ওঠে। তেমনি বনবাসী মানুষ এবং বন্য পশুদের সৌন্দর্য বনেই পরিস্ফুট হয়। এ কথার মানে এই নয় যে, আমরা আদিম আরণ্যক জীবনের প্রশস্তি কীর্তন করছি। এই বক্তব্যের নিহিতার্থ এই যে, পরিবেশ অনুকূল এবং সুসমঞ্জস হলে মানুষের অন্ত্নিহিত গুণের স্বাভাবিক বিকাশ সম্ভব হয়। আর পরিবেশ প্রতিকূল হলে অনেক সম্ভাবনাময় জীবন অঙ্কুরেই বিশেষ হয়ে যায়।
এগুলিও পড়ুন –