দণ্ডিতের সাথে দণ্ডদাতা কাঁদে যবে …… ভাবস্মপ্রসারন

দণ্ডিতের সাথে দণ্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে ভাবস্মপ্রসারন শেয়ার করা হল। দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ ভাবস্প্রসারন এর আগের পোষ্টে শেয়ার করা হয়েছিল। চাইলে দেখে নিতে পারেন।
দণ্ডিতের সাথে দণ্ডদাতা কাঁদে যবে …… ভাবস্মপ্রসারন
দণ্ডিতের সাথে,
দণ্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে
সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার।
ভাবসম্প্রসারণঃ দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন কর্তব্য। ভাল-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়ের বিচার না করলে সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে, নিয়ম-কানুন ভেঙে পড়বে। যথাযথ বিচার করে অন্যায়কারীর শাস্তিবিধান করা কর্তব্য। তবে বিচারের মূল উদ্দেশ্য থেকে আমরা যেন সরে না আসি সে বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত।
হৃদয়হীন বিচার-অবিচারের নামান্তর, ক্ষমতার অপব্যবহার! অপরাধীকে সংশােধন করাই আমাদের বিচারের উদ্দেশ্য। সুতরাং বিচারককে সহানুভূতিশীল হওয়া প্রয়ােজন। যথাযথ ও ন্যায় বিচারের জন্য বিচারককে থাকতে হয় পক্ষপাতহীন। যদি কেউ ক্ষমতাবলে বলিয়ান হয়ে অপরাধীকে নির্মমভাবে দণ্ড বিধান করেন, তার প্রতি সকরুণ না হন তবে সে বিচার ব্যর্থ হয়। হৃদয়হীন নির্মম বিচার ও কঠোর শাস্তিবিধানের জন্য অপরাধীর চরিত্র সংশােধিত হয় না বরং অপরাধী প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে ওঠে। গােটা সমাজকে সে শত্ৰুভাবে গ্রহণ করে। অপরাধীকে শাস্তি পেতেই হয়। অপরাধের প্রতি বিচারকের ঘৃণা, অপরাধীর প্রতি কখনােই নয়। তাই দণ্ডবিধানের পর বিচারক অপরাধীর জন্য দুঃখিত ও কাতর হয়ে পড়েন। এই সংবেদনশীলতা বিচারকের বড় গুণ। অপরাধীকে দণ্ডবিধান করে যে বিচারক দণ্ডিত ব্যক্তির জন্য দুঃখিত ও বেদনার্ত হন তিনিই যথার্থ বিচারক, তার বিচারই সর্বশ্রেষ্ঠ বিচার। সমব্যথী বিচারকের বিচার শ্রেষ্ঠতম বিচার, তার দেওয়া শাস্তিও যথাযথ শাস্তি। বিচারকের দণ্ডবিধান সহানুভূতি ও সংবেদনশীলতা পরিশ্রুত হলে বিচার নিষ্প্রাণ যান্ত্রিকতার ঊর্ধ্বে ওঠে, তা মানবিক মহিমায় হয় ভাস্বর।