কীর্তিমানের মৃত্যু নাই ভাব সম্প্রসারণ
কীর্তিমানের মৃত্যু নাই এর মূলভাব । কীর্তিমানের মৃত্যু নাই বিস্তারিত

কীর্তিমানের মৃত্যু নাই মূলভাব : পৃথিবীতে কোন মানুষ আজীবন বেঁচে থাকতে পারে না। মানুষ মরণশীল। মহৎ কর্ম এবং সাধনের মাধ্যমে সীমিত সময়ের জীবন নিয়েও মানুষ পৃথিবীর বুকে চিরস্মরণীয় বা অমর হয়ে থাকতে পারে।
কীর্তিমানের মৃত্যু নাই
ভাব-সম্প্রসারণঃ কীর্তিমানদের সম্বন্ধে বলা হয়, কীর্তিযস্য স জীবতি’ অর্থাৎ কীর্তিমানরাই জীবিত থাকেন। জীব মাত্রেই জন্ম-মৃত্যুর অধীন। দুই দিনের সংসার। এই ক্ষণস্থায়ী সংসারে কত জনই তো আসে এবং চলেও যায়। যেদিন থেকে জগৎ-সংসারের সৃষ্টি, সেদিন থেকে কত অসংখ্য মানুষই পৃথিবীতে এলো এবং গেলো। কত অসংখ্য মানুষ, হাজারে হাজারে, লাখে লাখে, কোটিতে কোটিতে।
“তারা এলো এবং মৃত্যুর কবলে পড়ে বিলীন হয়ে গেলো। অথচ এই অগণিত নরনারীর মধ্যে মুষ্টিমেয় ক জন মানুষ আমাদের মনের মণি কোঠায় স্থান করে নিয়েছেন। তাঁরা বিশ্বের মানুষের ভক্তিশ্রদ্ধার পাত্র। তাঁদের জীবন সার্থক। তাঁরাই ধন্য।
মানুষ তার কর্মকাণ্ড দ্বারা মহীয়ান হন। কীর্তিমান হন। কিন্তু ইতর প্রাণী তা হ’তে পারে না। মানবজীবন নশ্বর; যারা পৃথিবীতে এলো এবং ইতর প্রাণীর মতো কিঞ্চিৎ জীবিকার দ্বারা নিজেদের ভরণপোষণ করল এবং কিছুকাল পরে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল— তাদের জীবনের মূল্য কি? মানুষ মহৎ কর্মের দ্বারা জীবনকে গৌরবময় করতে পারে, অবিনশ্বর করতে পারে। এইসব মুষ্টিমেয় মহৎ ব্যক্তির দেহের মৃত্যু আছে কিন্তু তার কীর্তি ও লোকোত্তর প্রতিভার মৃত্যু নেই। তাঁরা চিরদিন পরিকীর্তিত হবেন। তারা মানুষের অন্তর্লোকে স্থান লাভ করবেন। তাঁরা মহৎ তাঁরা অমর।
মন্তব্য : কীর্তি মানুষের মহৎ কর্মের সঞ্চয় । পৃথিবীতে প্রতিনিয়তই অসংখ্য মানুষ আসছে আর যাচ্ছে কিন্তু কোনাে মানুষই অমরণশীল নয় । কিন্তু ‘The memory of noble deeds last long after one dies’.
এটিও পড়ুন – কাজী নজরুল ইসলাম এর জীবনী এবং প্রবন্দ রচনা
ট্যাগঃ কীর্তিমানের মৃত্যু নাই