
আচার (Pickles) মুখরোচক খাবার। আমের ঝাল ও মিষ্টি আচার কম বেশি সকলেরই প্রিয়। আচারের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, ইলেক্ট্রোলাইট, ভিটামিন সি এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে। আচার আমাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অসংখ্য উপকারিতা দেয়।
অসময়ে খেতে চাওয়া মুখরোচক খাবার বলতে আচারকে বলতে পারি। যেকোন সময় যখন ইচ্ছে আচার দিয়ে সেই হারিয়ে যাওয়া স্বাদ পুরন করার আরেক নাম আচার। এর আগের পোষ্টে আমের নানা রকম খাবারের রেসিপি শেরার করা হয়েছিল। নিম্নে আমের ঝাল ও মিষ্টি আচার তৈরির পদ্ধতি আলোচনা করা হল।
আমের ঝাল ও মিষ্টি আচার তৈরির পদ্ধতি
আমের ঝাল আচার তৈরি
আমের ঝাল উপকরণ :
কাঁচা আম মাঝারি সাইজের ২০টি, রাই সরষে ৫০ গ্রাম, গোটা শুকনো লঙ্কা ১০ গ্রাম, হলুদ বড় চা বড় চা চামচে ২ চামচ, নুন পরিমানমত, সরিষার তেল ৭৫০ গ্রাম, পাঁচফোড়ন ১০ গ্রাম৷
আমের ঝাল আচার প্রস্তুতি প্রণালী :
কাঁচা আমের খোসা ছাড়িয়ে প্রথমে চাকা চাকা বা ফালি ফালি করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর জল নিড়ে নিয়ে হলুদ ও নুন পরিমানমত ভালোভাবে মাখিয়ে সারাদিন রোদে দিতে হবে। পরদিন ওর থেকে যে জল বেরোবে, তা ফেলে দিতে হবে। এরপর উনুনে কড়াই বসিয়ে তেল দিয়ে তেল গরম হলে পাঁচফোড়ন ও গোটা শুকনো লঙ্কা দিতে হবে। এবার আমের টুকরো কড়াইতে দিয়ে নাড়তে হবে। কিছুক্ষণ নাড়াবার পর পাক হলে কড়াই নামিয়ে রাখতে হবে। আচার তৈরি হ’ল। ঠাণ্ডা হলে কাঁচের জারে বা বয়ামে ভরে রাখতে হবে। এরপর কয়েকদিন রোদে দিতে হবে। মাঝে মাঝে রোদে দিয়ে রাখতে এই আচার এক বছর পর্যন্ত রাখা যাবে।
আমের মিষ্টি আচার তৈরি
মিষ্টি আচার উপকরণ :
কাঁচা আম বড় বা মাঝারি ২০টি, পাঁচফোড়ন ৫০ গ্রাম, গোলমরিচ ১৫ গ্রাম, ভাজা জিরে গুঁড়ো ২৫ গ্রাম, হলুদ ২ চামচ, নুন পরিমানমত, চিনি ১ কেজি, খাঁটি সরিষার তেল ৫০০ গ্রাম।
মিষ্টি আচার প্রস্তুত প্রণালী :
কাঁচা আম ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে চাকা চাকা বা ফালি ভালি করে কেটে নিতে হবে। এবার ভাল করে নুন, হলুদ গুঁড়ো, মাখিয়ে নিতে হবে। তারপর ৩/৪ দিন রোদে দিয়ে ভালকরে শুকোতে হবে।ভালো মত শুকিয়ে গেলে, এরপর উনুনে কড়াই বসিয়ে তেল দিয়ে দিতে হবে। তেল গরম হলে ফোড়ন দিতে হবে এবং চিনিও দিতে হবে। চিনি পাক হলে আমের টুকরোগুলি দিয়ে নাড়তে হবে। কিছুক্ষণ পাক হলে কড়াই নামিয়ে ঠাণ্ডা করতে হবে। এরপর পাঁচফোড়ন গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো এবং গোলোেমরিচ গুঁড়ো মেখে দিতে হবে। এবার আমের মিষ্টি আচার তৈরী হ’ল। এই আচার কাঁচের বয়ামে ভরে রাখতে হবে এবং মাঝে মাঝে রোদে দিতে হবে। এই আচার ১ বছর পর্যন্ত রাখা যাবে।
এটিও পড়ুন – দুগ্ধ সংরক্ষণ পদ্ধতি, বাড়ীতেই দুধ সংরক্ষণ করুন
ট্যাগঃ জেনে নিন সঠিক উপায়ে আমের ঝাল ও মিষ্টি আচার তৈরির পদ্ধতি