
শিশুকে স্তন্যপান – স্তনের আকার অন্তঃসত্ত্বা কালে সাত আট মাস থেকেই বৃদ্ধি পেতে থাকে। প্রসবের পর স্তনের অভ্যন্তরে দুধ ভরে যায়। অনেক মেয়েই এই সময় শশুকে বুকের দুধ (শিশুকে স্তন্যপান) খাওয়ানো পছন্দ করে না।
কারণ হিসেবে তারা মনে করে যে, শিশুকে বুকের দুধ ( স্তন্যপান) রালেই বুকের শেপ ও সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাবে। এ ধারণা একদমই ভুল ধারণা। এই সময় যদি আপনি সঠিক পদ্ধতিতে শিশুকে স্তন্যপান করান। তাহলে স্তন্যপান করানোর পরেও নাপনার স্তনের শেপ ও সৌন্দর্য আগের মতই বজায় থাকবে। [ চাকুরী সম্পর্কিত যেকোন তথ্য পেতে পড়ুন কর্মজগৎ ]
শিশুকে স্তন্যপান এর সঠিক পদ্ধতি
- স্তন্যপান করানের সময় খেয়াল রাখবেন যাতে স্তন শক্ত করে আবৃত না থাকে।
- শুয়ে বা বসে যেখানেই বাচ্চাকে দুধ খাওয়ান খেয়াল রাখবেন যাতে বাচ্চার পিঠ সমসময় আপনার হাত বা বিছানার ওপর থাকে।
- তিন চার মিনিটের বেশী একই স্তন থেকে দুধ খাওয়াবেন না।
- এক স্তন থেকে অন্য স্তনে দুধ খাওয়ানোর সময় হাতের সাহায্যে আলতোভাবে শিশুর মুখ থেকে নিপল সরিয়ে নেবেন।
- স্তনপানের সময় আঙুল দিয়ে স্তনের উপর থেকে নিপল পর্যন্ত হালকা চাপ দেবেন।
- দাঁত ওঠার সময় শিশু দুধ খেতে খেতে নিপ্ল কামড়ে ধরে সেই সময় যতবার কামড়াবে ততবার হাত দিয়ে নিল সরিয়ে নেবেন।
- প্রথমদিকে শিশুকে দিনে দশবার দুধ খাওয়াতে পারেন। কিন্তু শিশুর ছমাস য়সের পর থেকে দিনে পাঁচবারের বেশী দুধ খাওয়াবেন না।
- যদি কোন কারণে দুধ খাওয়াতে না পারেন তাহলে দিনে তিন চার বার স্তনে জমা দুধ বার করে দেবেন।
- প্রসবের পর স্তনের আকৃতি বেড়ে যায়। তাই যে ক’মাস বাচ্চাকে দুধ খাওয়াবেন সেই ক’মাস ব্রেসিয়ার পরবেন বড় মাপের। এই সময় স্পেশাল ফ্রন্ট ওপন ব্রা ব্যবহার করবেন।
এটিও পড়ুন – মানুষের গুন সম্পর্কিত ইংরেজি শব্দ অর্থ সহ |