
যােগাসন সম্পর্কে কিছু প্রয়ােজনীয় কথাঃ যোগাসন বা যোগ বা যোগবিদ্যা বা যোগাভ্যাস হচ্ছে দৈহিক, মানসিক এর আধ্যাত্মিক বিষয়। হিন্দু, বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্মে যোগাসন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য এবং নীতি প্ৰচলিত আছে।শরীর সুস্থ এবং মন ভালো রাখতে যোগাসন বা যোগ ব্যায়ামের বিকল্প নেই। যোগাসনের নিয়মিত অভ্যাস সুস্থ ও সবলভাবে শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতা সৃষ্টির মাধ্যমে আপনাকে সফলতা পেতে সাহায্য করে। নিম্নে কিছু যোগাসনের নিয়ম শেয়ার করা হল –
যােগাসন করলে এই নিমগুলি মেনে চলুন
১। সব সময় আলাে – বাতাস ও বায়ুপূর্ণ স্থানে যােগাসন করবেন। অসমতল, স্যাত সেতে, দুর্গন্ধময় স্থানে যােগাসন করবেন না। যদি বাইরে থেকে দুর্গন্ধ আসে তবে ভালাে ধুপ জ্বালিয়ে দুর্গন্ধ নাশের চেষ্টা করবেন।
২। যেখানে চেঁচামেচি হবে, মশার উৎপাত হবে তেমন জায়গায় যােগাসন করবেন না। রান্না ঘরে কেরােসিনের ল্যাম্প জেলে যােগাসন করবেন না।
৩। পরিষ্কার জায়গায় একটি কম্বল দু’ভাজ করে বিছিয়ে তারপরে পরিষ্কার চাদর পেতে যােগাসন করবেন। স্প্রিং দেওয়া গদিতে বা নরম বিছানায় যােগাসন করবেন না।
৪। যােগাসনে বসার সময় পােষাক শক্ত করে পরবেন না। পােষাক থাকবে টিলে-ঢালা। দড়ি দেওয়া জাঙ্গিয়া ও গেঞ্জি পরে যােগাসন করা ভালাে।
৫। খালি পেটে বা খাওয়ার ৪-৫ ঘন্টা পরে যােগাসনে রসবেন। যে কোন আসন ১৫ সেকেন্ড থেকে ৩০ সেকেন্ড করে শবাসনে ১০ সেকেন্ড বিশ্রাম নিয়ে আবারও ৫-৬ বার করবেন।
৬। সকালে ঘুম থেকে উঠে মল-মূত্র ত্যাগ করে এক গ্লাস জল খেয়ে যােগাসন করতে পারেন।
৭। কোন সময় দীর্ঘক্ষণ অনাহারে থাকবেন না। সামান্য কিছু খেলেও খাবেন। তা না হলে গ্যাসটিক আলসার রােগ হবার সম্ভাবনা থাকে।
৮ | যােগাসনে লিপ্ত হবার সময় সামনে একখানা আয়না রাখবেন। তাতে বুঝতে পারবেন আপনার আসনের পদ্ধতি ঠিক হচ্ছে কিনা।
৯। আপনি প্রতিদিন কিরূপ আসন করবেন তার একটা তালিকা তৈরী করবেন। (ক) এমন ২/৪টি আসন করুন যাতে মেরুদণ্ড সামনে। (খ) ২-৪টি বামে-ডাইনে মােচড় দেওয়া। (গ) ২-৪টি পেটের উপর চাপ পড়ে এমন আসনে অভ্যস্থ হবেন।
১০। যােগাসনে বসার একটা নির্দিষ্ট সময় করে নেবেন। প্রতিদিন ঐ সময়ে আসন করবেন। দুবেলা করলে ভালাে হয়। মাঝে মধ্যে যদি দু-একদিন বাদ যায় তাতে ক্ষতি হবে না।
এটিও পড়ুন – 40 এর পর সুস্থ থাকতে এই নিয়মগুলি পালন করুন
১১। যারা যােগাসন করেন তাদের প্রতিদিন অন্ততঃ ২ লিটার অর্থাৎ ৫ গ্লাস জল পান করা উচিত। আহারের ১ ঘন্টা আগে বা ১ ঘন্টা পরে জল খাবেন। খাওয়ার সময় জল খাবেন না।
১২। স্নানের সময় ঠান্ডা জলে মাথাটি ভালাে করে ধুয়ে নেবেন। আর সােজা হয়ে দাড়িয়ে ঘটি বা মগে করে নাভির গােড়ায় জল দেবেন।
১৩। শীতকালে অনেকেই গরম জলে স্নান করে থাকেন। তবে তাদের দেখতে হবে এ জলের তাপ যেন দেহের তাপমাত্রায় চেয়ে বেশী না হয়। তা হলে ক্ষতি হবে।
১৪। যাদের হজম ক্ষমতা কম তারা ছাগলের দুধ খাবেন। তবে দুধ কখনও ঠাণ্ডা খাবেন না। যাদের লিভারের গােলযােগ আছে তারা দুধ, ঘি না খেয়ে দৈ, ঘােল, ছানা খাবেন। সর্দি ধাতের মানুষ দুধ ও দুধের খাবার বর্জন করবেন।
১৫। মাছ-মাংস-ডিম বেশী না খেয়ে কাচা সঞ্জী, বাদাম ও কাঁচা ফল খাবেন।
১৬। যারা দুধ খেতে পারেন না তারা চীনাবাদাম, পাকা কলা, পেয়ারা নারকেল, ডাল, শাক-সবজী খাবেন।
১৭। দিনের বেলায় ঘুমােনাের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে এবং কম করে রাতে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমতে হবে। দশটা থেকে এগারােটার মধ্যে শয্যা গ্রহণ ভালাে।
১৮। বীর্য ধারণে Sperm Count বারে।