যার ভয়ে তুমি ভীত সে অন্যায় ভীরু … ভাবসম্প্রসারণ 300 শব্দের মধ্যে
যার ভয়ে তুমি ভীত সে অন্যায় ভীরু তােমা চেয়ে,

যার ভয়ে তুমি ভীত: বাস্তব জগতে আমরা অনেকে অন্যায়কে ভয় পাই। অপর দিকে সেও কিন্তু ভিতু। কোন অন্যায়ে জড়িত না থাকলে ভয়ের কোন কারন দেখি না। সম্মানের সহিত কাজ করলে ভয়ের কোন কারন থাকে না। “যার ভয়ে তুমি ভীত সে অন্যায় ভীরু তােমা চেয়ে” এই নিয়ে আজকের এই পোষ্ট। আশা করি সকল ছাত্র ছাত্রীদের কাজে আসবে। [ সহজ সরল ভাষায় ১০০০+ ইংরেজি প্যারাগ্রাফ, চিঠি, প্রবন্ধ রচনা ]
যার ভয়ে তুমি ভীত সে অন্যায় ভীরু তােমা চেয়ে,
যখনি জাগিবে তুমি তখনই সে পলাইবে ধেয়ে।
ভাবসম্প্রসারণ : আজকাল অধিকাংশ মানুষ অন্যায় এবং অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। অন্যায় এবং দুষ্কৃতির সঙ্গে যারা সক্রিয়ভাবে যুক্ত এবং যারা এইসব দুষ্কর্মের সমর্থক, তারা সঙ্ঘবদ্ধ এবং অনেক সময় সশস্ত্র । কিন্তু ন্যায়-নীতি, সত্য, ধর্মে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের শক্তি অস্ত্রের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর, নীতিনিষ্ঠ ব্যক্তি সামান্য সংখ্যক হলেও আন্তর শক্তিতে বলীয়ান বলেই যুথবদ্ধ মানুষের পাশববলের প্রতিরােধে সক্ষম হয়। অন্যায়কারী মানুষ বাইরে যতই ক্ষমতার বড়াই করুক না কেন, অন্তরে অত্যন্ত দুর্বল। কখনাে বাধার সম্মুখীন হয় না বলে অন্যায়কারীর শক্তি অপ্রতিরােধ্য বলে গণ্য হয়। সাধারণ শ্রমিক- কৃষকশ্রেণীর মানুষের প্রবল প্রতিরােধের সামনে পড়ে উৎপীড়ক মালিক ও জোতদারেরা মুখ লুকোতে বাধ্য হয়। কোন সাধারণ নারীর উগ্র রণরঙ্গিনী মূর্তি দেখে এমন কি দুর্ধর্ষ ডাকাতদলও পলায়ন করেছে, এমন কাহিনী অনেকের কাছে শােনা যায়।
অন্যায়কারী চিত্তশক্তিতে দীন বলেই দূর্বল ; যখনই সে আত্মশক্তিতে জাগ্রত মানুষের প্রস্তর কঠিন প্রতিরােধের সম্মুখীন হবে তখনই তার আসল ভীরু চেহারাটি বেরিয়ে পড়তে বাধ্য। খবরের কাগজে প্রায়ই দেখি, দু’একজন নারী অথবা অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক-বালিকার অসম সাহসের কাছে নতি স্বীকার করে মসজ্জিত দুর্দান্ত দস্যুদলও পলায়নের পথ খুঁজে পায় না। অস্ত্র পশুবলের প্রতীক, চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ন্যায়পরায়ণতা মানবশক্তির শ্রেষ্ঠ প্রকাশ। এই মানবশক্তির কাছে আরণ্যক পাশব শক্তি কখনাে দাড়াতে পারে না। শুধু এই শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে হবে, আত্মশক্তিতে বলীয়ান যে কোন মানুষ তখন হাজার জন দূত্তের মােকাবিলা করতেও ভীত হবে না।
এটিও পড়ুন – টবে চাষ পদ্ধতি পদ্ম, বেলি, শিউলি, তরুলতা ইত্যাদি