যারা শুধু মরে কিন্তু নাহি দেয় প্রাণ
যারা শুধু মরে কিন্তু নাহি দেয় প্রাণ, কেহ কভু তাহাদের করেনি সম্মান।

যারা শুধু মরে কিন্তু নাহি দেয় প্রাণ… ভাবস্মপ্রসারন সকল শিক্ষার্থী বন্ধুদের জন্য শেয়ার করা হল। বিভিন্ন পরীক্ষায় এই ভাবসম্প্রসারণ কাজে আসবে। [1000+ ইংরেজি প্যারাগ্রাফ ও রচনা এখানে]
যারা শুধু মরে কিন্তু নাহি দেয় প্রাণ,
কেহ কভু তাহাদের করেনি সম্মান।
ভাবসম্প্রসারণঃ মানুষের মধ্যে দু’টি সত্তা রয়েছে। একটি তার জৈব সত্তা, আরেকটি তার আত্মিক সত্তা। কিন্তু মানুষ তাে শুধু একটি জীব নয়। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। যে-কোন জীবেরই নিজেকে রক্ষা করা এবং নিজের সুখ সন্ধানে ব্যস্ত থাকা তার জৈবিক প্রবৃত্তির সহজাত প্রবণতা। সৃষ্টির নিয়ম অনুসারে সে যেমন বেঁচে থাকে, তেমনি একদিন অমােঘ মৃত্যুর শীতল আশ্রয়ে লীন হয়। বাঁচার জন্য লড়াই করে। কিন্তু অবশেষে মৃত্যু কবলিত হয়। এই মৃত্যু তার দৈহিক বা জড়সত্তার অবসান সূচিত করে। পশুরা পরের জন্য প্রাণদান করে না বলেই তারা শুধু মরে, এই মৃত্যুতে কোনাে গৌরব নেই। কিন্তু যে মানুষ জৈব প্রবৃত্তির উর্ধ্বে উঠে তার আত্মিক শক্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়, সেই তাে যথার্থ মানুষ, সেই মানুষই তাে মরেও অমর। কারণ নিজের সঙ্কীর্ণ প্রবৃত্তিকে জয় করে সে বৃহত্তর মানবগােষ্ঠীর কল্যাণে আত্মনিয়ােগ করে। পরের মঙ্গলের জন্য আত্মবলিদানে যে গৌরব এবং মর্যাদা রয়েছে, জৈবিক মৃত্যুতে তার কণামাত্রও থাকে না। তাই এই কবিতাংশে কবি সেই রকম মৃত্যুকে শুধু মরে যাওয়া বলেছেন, প্রাণ। দেওয়া বলেননি। মৃত্যু স্বেচ্ছাধীন নয়, কিন্তু প্রাণদান স্বেচ্ছাধীন। সেই স্বেচ্ছামৃত্যু বরণীয় এবং মহনীয় বলেই চিরকাল মানুষের হৃদয়ে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত প্রাণদাতা সেই-সব মানুষ।
এটিও পড়ুন – বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে ভাবসম্প্রসারণ