
মহিলাদের যােগাসনে কিছু বাধা নিষেধঃ যােগাসন পুরুষের জন্য ও মেয়েদের জন্য খুব বেশী প্রভেদ নেই। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে – দেহের গঠন অনুযায়ী তাদের কিছু প্রভেদ আছে। [ যােগাসন করলে এই নিমগুলি মেনে চলুন ] যেমনঃ
মহিলাদের যােগাসনে কিছু বাধা নিষেধ
১। মেয়েদের দেহে মাতৃত্বের আগমন ঘটে ১২ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। ঐ সময় তাদের মাসিক হয়। ৩ থেকে ৭দিন পর্যন্ত তার মেয়াদ থাকে। তারা ঐ সময় রসাক্ত হয়। ঐ সময় তাদের কোনরূপ দৌড়-ঝাপ বা যােগাসন করা উচিত নয়।
২। মাসিকের সময় সিঁড়ি বেয়ে ওঠা নামা করবেন না। জলের কলসি-বালতি ধরবেন না বা তুলবেন না। ভতের হাঁড়ি নামাবেন না।
৩। মাসিক চলাকালীন ঠান্ডা লাগাবেন না, খালি গায়ে থাকবেন না। দীর্ঘসময় উনুনের .কাছে বসবেন না। ভিজে কাপড়ে বা সাঁতসেঁতে জায়গায় বেশীক্ষণ থাকবেন না। ধান ভাঙা, মুড়ি ভাজা এসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন।
৪। মাসিকের কাপড় গরম জলে ফুটিয়ে নির্বীজ করবেন। ধুলা বালি লাগে, কীট পতঙ্গ পড়ে এমন জায়গায় ঐ কাপড় শুকোতে দেবেন না।
৫। ঋতুকালীন অবস্থায় টক, ঝাল, মিষ্টি ও অধিক মশলার খাবার খাবেন না।
৬। ঐ সময় ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করবেন এবং সহজ পাচ্য অথচ পুষ্টিকর খাবার খাবেন।
৭। মাসিকে অতিরিক্ত স্রাব বা পরিষ্কারভাবে তা না হওয়ায় বেদনার উদ্রেক হলে তলপেটে একখানা গামছা বা তােয়ালে জড়িয়ে মাথায় বালিশ না দিয়ে চীৎ হয়ে শুয়ে পায়ের তলায় বালিশ দিয়ে সামান্য উঁচু করুন। তাতে আরাম পাবেন।
৮। ঋতুকালীন সময়ে অত্যাধিক পেটে ব্যথা হতে থাকলে হট ব্যাগ বা গরম জলের শিশির পেটের তলায় রাখতে পারেন অথবা তােয়ালে বা গামছা গরম জলে ভিজিয়ে পেটের নীচে রাখতে পারেন।
৯। গর্ভাবস্থায় ৩ মাস থেকে শিশুর জন্মের ৬ মাসের মধ্যে ধ্যানাসন (পক্ষাসন, বীরাসন) করবেন না। কোনাে যােগাচার্য পরামর্শ ব্যতীত কোনরূপ আসন করবেন না।