মনুষ্যে প্রীতি ভিন্ন ঈশ্বরে ভক্তি নাই ভাব – ভাবসম্প্রসারণ

মনুষ্যে প্রীতি ভিন্ন ঈশ্বরে ভক্তি নাই এ সম্পর্কে এই পোষ্টে ভাবসম্প্রসারণ শেয়ার করা হল। বিভিন্ন পরীক্ষায় এই ভাবসম্প্রসারণটি কাজে আসতে পারে। ইংরেজি শেখার টিপস, ইংরেজিতে জিরো থেকে হিরো নিয়ে এর আগের পোষ্টে আলোচনা করা হয়েছে চাইলে দেখে নিতে পারেন।
মনুষ্যে প্রীতি ভিন্ন ঈশ্বরে ভক্তি নাই ভাব
ভাবসম্প্রসারণঃ শ্রীমদ্ভাগবতে আছে – ‘অহং সর্বেষু ভূতেষু ভূতাত্মাবস্থিতঃ সদা’। আমি সর্বদা ভূতাত্মাস্বরূপে অবস্থিত আছি। সেই সর্বভূতস্থিত ভগবান নিজেকে উত্তমরূপে প্রকাশ করেছেন মানুষের মধ্যে। ভক্তিশাস্ত্রের নির্দেশ অনুসারে ঈশ্বরে প্রীতির নামই ভক্তি। আর সেই ঈশ্বর যেহেতু মানুষের মধ্যে আত্মস্বরূপে উপস্থিত আছেন, সেহেতু মনুষ্যে প্রীতি ঈশ্বরভক্তিরই পরিশুদ্ধ পরিণাম। যে মানুষকে অবজ্ঞা করে পূজার উপকরণ সাজায়, সে প্রকারান্তরে ঈশ্বরকেই বিড়ম্বিত করে—‘তমবজ্ঞায় মাং মর্ত্ত্যঃ কুরুতেহুর্চ্চাবিড়ম্বনং‘। ঈশ্বরের নামে এ সংসারে আমরা অনেক গর্হিত আচরণ করে থাকি। মানুষকে হিংসা করে মানুষের অন্তরশায়ী নারায়ণকে অপমানিত করি। দেবালয়ের দ্বার রুদ্ধ করে ভজন-পূজন সাধন আরাধনায় রত হই। মন্দিরের ত্রিসীমানায় অপবিত্রতার ভয়ে যাদের প্রবেশ করতে দিই না, সেইসব মানুষের হৃদয় তাে ভগবানের মন্দির। তবে কোন দেবতার অর্চনায় আমরা বৃথা সময় নষ্ট করি ? ঈশ্বরের রাজ্যে শুচি-অশুচি, অভিজাত-অনভিজাত ইত্যাদি বিভেদের প্রাচীর তুলে ঘৃণায় মানুষকে দূরে ঠেলে দিই। এতে ঈশ্বর তাে প্রসন্ন হতেই পারেন না, পরন্তু আমাদের সমস্ত আচার-অনুষ্ঠানই নিরর্থক হয়ে ওঠে। বৃঙ্কিমচন্দ্রের এই মতে ঈশ্বরভক্তির শ্রেষ্ঠ প্রকাশ—প্রীতি সংসারে সর্বব্যাপিনী, ঈশ্বরই প্রীতি।
এটিও পড়ুন –জীবে প্রেম করে যেইজন সেইজন সেবিছে ঈশ্বর ভাবস্মপ্রসারণ