রূপচর্চাস্বাস্থ্য

অসময়ে বার্ধক্য রোধ করার সঠিক উপায়

বার্ধক্য রোধ করার জন্য অনেকে অনেক উপায় খুঁজে থাকেন।  কিভাবে নিজেকে করে তুলবেন বয়সের তুলনায় আরও তরুণ এবং রোধ করবেন শরীরে বার্ধক্যের আগমন।

দীর্ঘ গবেষণায় দেখা গেছে যে মানুষের বয়স কতটা, কিভাবে বাড়বে তা নির্ভর করে তার নিজের উপর অর্থাৎ অবধারিত হলেও বার্ধক্যের চিহ্নগুলো ঢেকে দেওয়া সম্ভব। মানুষের বয়স যতই হোক না কেন তার চেয়ে অনেক কম বয়স দেখানোটা বর্তমানে আর অসম্ভব কিছু নয়। তার জন্য প্রয়োজন কিছু নিয়ম মেনে চলা ও মনের তারুণ্য যাতে বজায় থাকে সেদিকে নজর দেওয়া তাহলেই প্রতি বছর আপনার বয়স বাড়লেও আপনি হয়ে উঠবেন আরও সুন্দর, আরও আকর্ষণীয়

অসময়ে বার্ধক্য রোধ

  • বার্ধক্য রোধ করতে ও যৌবন অটুট রাখতে সমপরিমাণ অশ্বগন্ধা, শিমূলমূল, আলকুশী বীজ, শতমূলী, ভুউকুমড়ো, কোকিলাক্ষ বীজ গরমজলে বা দুধের সঙ্গে দুই চামচ করে সকালে সন্ধ্যে খেলে বিশেষ উপকার পাবেন। তবে হাই প্রেশারের রুগী হলে খাবেন না।
  • দীর্ঘদিন চুল ঘন ও কালো রাখতে ত্রিফলা ও মৌরি ভেজানো জল সকালে খালি পেটে খেতে হবে।
  • প্রতিদিন চিনি ছাড়া ২০০ গ্রাম দই খেলে বার্ধক্য রোধ হবে।
  • ত্বক দীর্ঘদিন সুন্দর ও উজ্জ্বল রাখতে প্রতিদিন সকালে দুটো করে কালমেঘের বড়ি খেলে ত্বকের যৌবন ঔজ্জ্বল্য দীর্ঘদিন থাকবে।
  • বার মাসে যে বিভিন্ন ধরনের ফল পাওয়া যায় তা থেকে প্রতিদিন ১০০-২০০ গ্রাম ফল খেতে চেষ্টা করুন এতে বয়স ধরে রাখতে পারবেন।
  • বার্ধক্য রোধের প্রধান উপায় খাদ্য নিয়ন্ত্রণ। মানুষের উচিত প্রথম থেকেই সুষম খাদ্য খাওয়ার অভ্যাস করা। শাক-সবজি, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, শর্করা ইত্যাদি এবং সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া অভ্যাস বিশেষ প্রয়োজন।

শরীরের বার্ধক্য রোধ করতে হজমশক্তির বৃদ্ধি একান্ত প্রয়োজন। কারণ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হজমশক্তি কমে যায়। প্রতিদিন রাত্রে খাওয়ার পর দুচামচ করে শুট, পিপুল, যোয়ান, মরিচ, সৈন্ধব লবণ ও চিতামূল জলে গুলে সেই জল পান করা উচিত।

শিশির ভেজা সবুজ ঘাসের উপর দিয়ে হাঁটা বিশেষ প্রয়োজন। এতে শরীর তথা চোখের বিশেষ উপকার হয় ।

সর্বোপরি প্রতিদিন খালি হাতে ব্যায়াম, সাঁতার, দৌড়া দৌড়ি ও নিয়মিত সঠিক ঘুমালে বার্ধক্য রোধ করা সম্ভব ।

এগুলিও পড়তে পারেন -

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button