পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাব-সম্প্রসারণ
পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি মুল ভাব এবং ভাব সম্প্রসারণ

পরিশ্রম সৌভাগ্যের চাবিকাঠি। পরিশ্রম করলে তার ফল নিশ্চিত। পরিশ্রম ব্যতীত পৃথিবীতে কেউ প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না।একমাত্র পরিশ্রমের দ্বারাই অসম্ভব কে সম্ভব করা যায়।
পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি
ভাব-সম্প্রসারণ : পরিশ্রম মানুষের সৌভাগ্য ও উন্নতির নিদান। সব কাজই পরিশ্রম সাপেক্ষ। মানসিক শক্তি ও কায়িক পরিশ্রম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। চেষ্টা ও চিন্তা, বুদ্ধি ও শক্তি এসবের সংযুক্তি ঘটিলে জগতের সব কাজই সিদ্ধ হইতে পারে। ব্যক্তিগত বলুন, সমষ্টিগত বলুন, এমন কি জাতিগত বলুন— সকল উন্নতির চাবিকাঠি পরিশ্রম। যে জাতি যত পরিশ্রমী সে জাতি তত উন্নত। বর্তমান সভ্যতার মূলে আছে ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত পরিশ্রম ও সাধনা।
পৃথিবীতে যে সকল মহাপুরুষ সমাজ তথা দেশ ও জাতির মহাকল্যাণ সাধন করিয়াছেন তাঁহারা সকলেই ছিলেন পরিশ্রমী। সংসারে যতগুলি মহা কীর্তির স্তম্ভ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে তাহাদের মূলে আছে মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম ও অধ্যবসায়। কর্ম মাত্রই মহৎ; এই মহৎ কর্মের অনুশীলন দ্বারা মানুষ চিরদিনই সৌভাগ্যের নিয়ামক হইয়াছে।
একজন মনীষী বলিয়াছেন, ক্ষণস্থায়ী জীবনটাকে পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের দ্বারা যত বেশি পারা যায় কাজে লাগাইয়া লও। পাশ্চাত্যের মানুষ যাবতীয় কাজকর্ম নিজেরাই করিয়া থাকেন। সেজন্য তাঁহারা জগতের বুকে সভ্যতার শীর্ষে আরোহণ করিয়াছেন। এক কথায় পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি।
এটিও পড়ুন – মাদার টেরেসা প্রবন্ধ রচনা 600 শব্দের মধ্যে