ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ইনকাম শুরু করুন 100%

অনুচ্ছেদ সমূহ
বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং কে বলা যায় একটি কোম্পানি, কোম্পানির পণ্য বা সেবার প্রচার ও প্রসারের জন্য অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। এর প্রধান কারণ – যুগের চাহিদা। বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। আর এই জন্যই আজকের এই পোষ্ট – ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ইনকাম শুরু করুন 100% । এটিও পড়ুন- ব্লগিং করে লাখো ডলার আয় করার সহজ টিপস #উপডেট
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ইনকাম শুরু করুন
ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
আপনি এখন যে পৃথিবীতে বাস করছেন তার সর্বত্র ছড়িয়ে আছে ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়া। সাধারন মানুষ, বিশেষ করে আমাদের ইয়াং জেনারেশন এর কাছে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস, সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন কমিউনিকেশন ও শেয়ারিং ইত্যাদির জনপ্রিয়তা দ্রুত গতিতে বাড়ছে। তাই বর্তমান যুগে আপনি যদি অল্প পরিশ্রমে খুব সহজে আপনার পণ্যের প্রচার ও মার্কেটিং করতে চান, তাহলে আপনাকে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করতেই হবে। আর ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে প্রচারণা চালানো মানেই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং।সেই সাথে আপনি কীভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং কে পেশা হিসেবে নিতে পারেন তা নিয়ে আলোচনা করবো। প্রথমেই আসুন দেখে নেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভাগ বা প্রধান কার্যাবলি কি কি?
- ওয়েব এবং অ্যাপ ডিজাইন
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও)
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- কনটেন্ট মার্কেটিং
- ওয়েব এনালিটিক্স
- ভিডিও প্রোডাকশন এন্ড মার্কেটিং
- পেইড এডভার্টাইজিং ক্যাম্পেইন
- ই-মেইল এবং এসএমএস মার্কেটিং
আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স সম্পন্ন করেছেন। দক্ষতা বৃদ্ধি করলে যেকোন দেশেই মাসিক ৩০,০০০টাকা -৪০,০০০টাকা বেতনের প্রচুর চাকুরি রয়েছে। কিন্তু কোর্স সম্পন্ন করলেই আপনার চাকুরি হয়ে যাবেনা। রিয়েল প্রজেক্টে করার অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা থাকতে হবে। এখন প্রশ্ন চাকুরি না দিলে অভিজ্ঞতা কিভাবে অর্জন হবে? চাকুরি পাওয়ার আগেই কিভাবেই অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন, সে বিষয়ে নিম্নে আলোচনা করা হয়েছে।
ফাইভারের গিগ র্যাংকিং:
ফাইভারে আপনার গিগ রয়েছে, সেই গিগকে ফোরাম পোস্টিং, ব্লগ কমেন্টিং, ব্লগে আর্টিকেল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে গিগকে র্যাংকিং করেন। ভাল প্রাকটিস হবে। কাজটা বৃথা সময় নষ্ট হবেনা। প্রাকটিস যেমন হবে, গিগে প্রচুর অর্ডার পেয়ে যাবেন। প্রাকটিস, ইনকাম দুইটাই হয়ে গেলো।
ফেসবুক পেজকে পপুলার করা:
যেকোন মানিং ম্যাকিং সাবজেক্ট নিয়ে পেজ রেডি করে ফেলেন। সেই পেজে নিয়মমাফিক অ্যাংগেজমেন্ট বৃদ্ধির চেষ্টা করেন। সেই পেজ থেকে ইনকাম জেনারেট হয় কিনা সেই চেষ্টা করেন। ইনকাম, প্রাকটিস দুটিই হবে। কিরকম পেজ হলে ইনকাম হবে, সেই আইডিয়া দিচ্ছি। নিজের ইকমার্স বিজনেসের পেজ, অন্যের ইকমার্সের মার্কেটিংযের জন্য পেজ, ডোমেইন-হোস্টিং বিজনেসের জন্য পেজ, ফাইভারের গিগ সেল করার জন্য ফেসবুক পেজ।
নিজের ব্লগকে পপুলার করাঃ
নিজের একটা ব্লগ খুলেন। সেই ব্লগকে র্যাংক করার জন্য যতরকম চেষ্টা আছে, মানে যা যা শিখেছেন, সেগুলোর প্রাকটিস করুন। দেখেন ব্লগটাকে র্যাংক করতে পারেন কিনা। চাইলে ব্লগটা হতে পারে, ফাইভারের গিগ সেল করার জন্য। সেইভাবে ব্লগটার পরিকল্পনা করেন। তাহলে ইনকামটা দ্রুত শুরু হবে। চাইলে অন্যের গিগকেও তখন আপনার ব্লগ হতে মার্কেটিং করে দিতে পারবেন। ইনকাম, প্রাকটিস দুইটাই এবারও হলো।
ডাইরেক্ট বায়ার ধরে ইনকাম প্রাকটিসঃ
ডিরেক্ট বায়ার পাওয়ার কতগুলো পন্থা খুজে বের করতে পারেন, সেগুলো শিখে নেন। সম্ভাব্য বায়ারকে বায়ারে কনভার্ট করার জন্যই এসইও বা মার্কেটিং এক্সপার্টদের রাখা হয়। আপনি সেই কাজটি করতে পারছেন কিনা, প্রাকটিস করেন। বায়ার খোজার সোর্সগুলোও সম্পর্কেও শিখা হলো, বায়ারদের কনভেন্স করাটাও প্রাকটিস হলো। সেই সাথে এখানেও ইনকামটা নিশ্চিত করতে পারলেন।
নিজের স্কীলটাকে প্রচার করা:
আচ্ছা উপরের কিছুই করতে পারছেননা। আচ্ছা, তাহলে শুধু এটাই করেন। আপনার স্কীল রিলেটেড বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার কমিউনিটি, গেস্ট ব্লগ সাইট, এবং ফোরাম সাইটগুলোতে আপনাকে স্কীল পার্সন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। এটাও যদি না পারেন, তাহলে অন্যের কোম্পানীকে প্রোডাক্টকে সেরা হিসেবে কিভাবে প্রতিষ্ঠা করবেন? নিজের স্কীলকেই মার্কেটিং করুন। প্রাকটিস হবে, অনেক জায়গাতে কাজের জন্য হায়ার হয়ে যাবেন।
উপরের ৫টার যেকোন একটা স্কীল অর্জনেই আজ থেকে প্রাকটিস শুরু করেন। এই পোস্ট পড়ার পর, আশা করি, কারও অজুহাত থাকবেনা যে, আমাকে কেউ কাজ না দিলে আমি কিভাবে অভিজ্ঞতা অর্জন করবো। আর মনে রাখবেন, মার্কেটিং মানে শুধু বিভিন্ন মিডিয়া এবং টুলস সম্পর্কে জ্ঞান না। আরও অনেক কিছু, যা প্রাকটিস করেই দক্ষতা অর্জন করতে হয়। জীবনে কিছু না করে সেই দক্ষতা অর্জন সম্ভব নয়। আর অদক্ষ লোককে কেউ চাকুরিতে নেওয়ার মত রিস্ক কখনই নিবেনা। আপনি নিজে হলেও নিবেননা। কোন জিজ্ঞাসা থাকলে ফেসবুক পেজে কমেন্ট করতে পারেন।