পড়াশোনা
জীব বিজ্ঞানীর আবিষ্কার এবং বিজ্ঞানীর নাম Famous Discoveries of Some Biologists
কয়েকটি জীব বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার এবং বিজ্ঞানীর নাম

জীব বিজ্ঞানীর আবিষ্কার- জীব বিজ্ঞান (Life Science) বিজ্ঞানের একটি অন্যতম শাখা। এই শাখায় জীব ও জীবন সংক্রান্ত গবেষণা করা হয়। তাদের গঠন, বৃদ্ধি, বিবর্তন, শ্রেণীবিন্যাসবিদ্যার আলোচনাও এর অন্তর্ভুক্ত। আধুনিক জীববিজ্ঞান খুব বিস্তৃত একটি ক্ষেত্র, যেটির অনেক শাখা-উপশাখা আছে। নিম্নে জীব বিজ্ঞানের আবিষ্কার এবং বিজ্ঞানীর নাম বিস্তারিত আলোচনা কর।
জীববিজ্ঞানীর গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার
কোষ ও কোষবিভাজন
বিজ্ঞানীর নাম | আবিষ্কার |
1. জে. যানসেন ও জেড্ যানসেন (1590) | অণুবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কার করেন। |
2. রবার্ট হুক (1665) | কর্কের টুকরো থেকে কোষ আবিষ্কার করেন। |
3. ফন্টানা (1781) | কোষে নিউক্লিয়াসের অস্তিত্ব অনুমান করেন। |
4. রবার্ট ব্রঙিন (1831) | কোষে নিউক্লিয়াসের অবস্থান নির্ণয় করেন এবং নিউক্লিয়াসের আবিষ্কার কর্তা। |
5. দুজারজিন (1835) | কোষে জেলির মত অর্ধতরল বস্তুর উপস্থিতি লক্ষ্য করেন। |
6. পারকিনটি (1837) | কোষের অর্ধতরল বস্তুটিকে ‘প্রোটোপ্লাজম’ নামে অভিহিত করেন। |
7. হুগো ফন মোল (1846) | প্রোটোপ্লাজম নামকরণ এবং উক্ত নাম চালু রাখায় বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেন। |
৪. স্লেইডেন ও সোয়ান (1839) | কোষবাদ বা কোষতত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। |
9. দ্য রবার্টিস (1879) | কোষকে জীবদেহের গঠনগত ও কার্যগত এককরূপে অভিহিত করেন। |
10. ডগহাটি (1957) | কোষকে প্রোক্যারিওটিক ও ইউক্যারিওটিক এই দু’টি শ্রেণীতে বিভক্ত করেন। |
11. নল ও রুসকা (1932) | ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কার করেন। |
12. ওয়েগনার (1832) | নিউক্লিওলাস আবিষ্কার করেন। |
13. টমাস হাক্সলে ( 1868) | প্রোটোপ্লাজমকে জীবনের ভৌত ভিত্তিরূপে অভিহিত করেন। |
14. কোলিকার (1862) | সাইটোপ্লাজম শব্দটি ব্যবহার করেন। |
15. রবার্টসন (1959) | কোষপর্দার ত্রিস্তরী (P-L-P) বিন্যাসকে এককপর্দা রূপে অভিহিত করেন। |
16. সিঙ্গার ও নিকলসন (1972) | কোষপর্দার তরল মোজায়েক নক্সা প্রবর্তন করেন। |
17. ভিরচাউ (1855) | “কোষ থেকে কোষ সৃষ্টি’ মতবাদ প্রকাশ করেন। |
18. অ্যাংস্ট্রম | অ্যাংস্ট্রম এককের প্রবক্তা। |
19. বেল্ডা (1897) | মাইটোকন্ড্রিয়া নামকরণ করেন। |
20. পোর্টার (1945) | এণ্ডোপ্লাজমিক রেটিকিউলাম আবিষ্কার করেন। |
21. ডি-ডুবে (1955) | লাইসোজোম আবিষ্কার করেন। |
22. ই. হেকেল (1866) | প্লাস্টিড আবিষ্কার করেন। |
23. স্কিম্পার (1883) | ক্লোরোপ্লাস্ট নামকরণ করেন। |
24. বোভেরি (1888) | সেন্ট্রিওল আবিষ্কার করেন। |
25. ফান কেনডেন (1887) | সেন্ট্রোজোম আবিষ্কার করেন। |
26. ক্যামিলো গল্গি (1891) | পেঁচার স্নায়ুকোষে গলগি বস্তু আবিষ্কার করেন। |
27. প্যালাডে (1955) | রাইবোজোম নামকরণ করেন। |
28. ওয়ালডেয়ার (1888) | ক্রোমোজোম আবিষ্কার করেন। |
29. মিসার (1869) | কোষে DNAর উপস্থিতি লক্ষ্য করেন। |
30. অল্টম্যান (1899) | DNA নামকরণ করেন। |
31. অ্যাভেরী, ম্যাকলিওড, ম্যাক্ক্কার্টি (1944) | DNA-ই বংশগত বৈশিষ্ট্যের ধারক ও বাহক তা পরীক্ষার দ্বারা প্রমাণ করেন। |
32. ওয়াটসন ও ক্রিক (1953) | DNAR দ্বিতন্ত্রী নক্সা প্রণয়ন করেন। |
33. ফ্লেমিং (1880) | প্রথম কোষবিভাজন প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণ করেন এবং মাইটোসিস নামকরণ করেন। |
34. বলবিয়ানি (1881) | পলিটিন ক্রোমোজোমের আবিষ্কার কর্তা। |
35. য়েইচার (1878) | ক্যারিওকাইনেসিস কথাটি প্রবর্তন করেন। |
36. হার্সে ও চেজ (1952) | DNA যে জিন তা প্রমাণ করেন। |
37. টিজো এবং লেভান (1956) | মানুষের ডিপ্লয়েড ক্রোমোজোম সংখ্যা 46 তা আবিষ্কার করেন। |
38. বিড়ল ও ট্যাটাম ( 1941) | ‘একটি জিন একটি উৎসেচক’—-মতবাদ প্রচার করেন। |
39. ইনগ্রাম (1958) | ‘একটি জিন একটি পলিপেপটাইড’— মতবাদ প্রচার করেন। |
40. বোভারি (1902) | ক্রোমোজোমকে বংশধারার বাহকরূপে অভিহিত করেন। |
41. ডাবলু ফ্লেমিং (1879) | ক্রোমাটিন আবিষ্কার করেন। |
42. সি. ই. ম্যাক্ক্লাংগ (1902) | সেক্স ক্রোমোজোম আবিষ্কার করেন। |
43. ই. চারগাফ্ (1950) | DNAর ক্ষার উপাদান আবিষ্কার করেন। |
44. ই. স্ট্রাসবার্গার (1882) | সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিওপ্লাজম নামকরণ করেন। |
45. ভ্যান বেনডেন (1887) | ক্রোমোজোমের সংখ্যা প্রজাতি নির্দিষ্ট—এই ধারণা পোষণ করেন। |
46. হরগোবিন্দ খোরানা (1966) | জেনেটিক কোডে কোড নিয়োগের নিশ্চিত প্রমাণ করেন। |
47. এইচ. এম. টেমিন (1970) | বিপরীত প্রক্রিয়ায় RNA থেকে DNA সৃষ্টির ঘটনা আবিষ্কার করেন। |
জীব বিজ্ঞানীর আবিষ্কার এবং বিজ্ঞানীর নাম Famous Discoveries of Some Biologists
এটিও পড়ুন – ইংরেজী থেকে বাংলায় অনুবাদ করার নিয়ম
ফেসবুকে আগমনী বার্তা- ।। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিনোদন ইত্যাদি তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক দিয়ে পাশে থাকুন।
কোষ
বিজ্ঞানীর নাম |
আবিষ্কার |
1.ল্যান্ডস্টেইনার (1905) | রক্তের ‘ABO’ শ্রেণীবিভাগ করেন। |
2. ল্যান্ডস্টেইনার ও উইনার (1940) | Rh ফ্যাক্টর আবিষ্কার করেন। |
3. অ্যাসক (1913) | RE তন্ত্র আবিষ্কার করেন। |
4. জন সোয়ামাডাম (1658) | লোহিত রক্তকণিকার বর্ণনা দেন। |
5. পি. এহরলিক (1877) | মাস্ট কোষ আবিষ্কার করেন। |
6. জে. বি. হেরিক ( 1910) | সিকল সেল অ্যানিমিয়া আবিষ্কার করেন। |
7. জে. হল্টফ্রেটার (1943) | বিচ্ছিন্ন কোষ থেকে কলা তৈরী করেন। |
8. এম. এফ. পেরুজ (1957) | হিমোগ্লোবিনের গঠন প্রকৃতির বর্ণনা দেন। |
জীব বিজ্ঞানীর আবিষ্কার এবং বিজ্ঞানীর নাম Famous Discoveries of Some Biologists
জীবন-প্রক্রিয়া
বিজ্ঞানীর নাম | আবিষ্কার |
1. কার্টিস (1962) | বাষ্পমোচনকে পরম বা প্রয়োজনীয় ক্ষতিকর পদ্ধতিরূপে বর্ণনা করেন। |
2. লেভিট (1974) | পত্ররন্ধ্র উন্মোচনে সক্রিয় প্রোটন চলাচল পদ্ধতির ব্যাখ্যা দেন। |
3. বার্নেস (1898) | ‘ফটোসিন্থেসিস’ শব্দের প্রচলন করেন । |
4. ফন্ হেলমেন্ট (1648) | উইলো গাছ নিয়ে সালোকসংশ্লেষের পরীক্ষা করেন এবং ‘জল থেকেই গাছ খাদ্য তৈরী করে’—এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন। |
5. যোসেফ প্রিস্টলে (1772) | প্রমাণ করেন যে, গাছ খাদ্য তৈরীর সময় অক্সিজেন পরিত্যাগ করে। |
6. জ্যা সেনেবিয়ার (1782) | প্রমাণ করেন সালোকসংশ্লেষের সময় গাছ CO2 গ্যাস শোষণ করে। |
7. রবার্ট ফন মেয়ার (1844) | প্রমাণ করেন সালোকসংশ্লেষের সময় সৌরশক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। |
8. ব্ল্যাকম্যান (1905) | প্রমাণ করেন সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়াটি আলোক বিক্রিয়া ও অন্ধকার বিক্রিয়া নামক দু’টি পর্যায়ে ঘটে। |
9. স্যাকস্ (1864) | প্রমাণ করেন ক্লোরোফিলযুক্ত কোষে সালোকসংশ্লেষ ঘটে। |
10. রোবিন হিল (1937) | সালোকসংশ্লেষে ফটোলাইসিস বা জলের আয়নীকরণ প্রথম পর্যবেক্ষণ করেন। |
11. বেনসন ও কেলভিন (1956) | ক্লোরেলা নামক উদ্ভিদে ‘কেলভিন চক্র’ পর্যবেক্ষণ করেন। প্রমাণ করেন সালোক সংশ্লেষে প্রথম উৎপন্ন যৌগ ফসফো গ্লিসারিক অ্যাসিড। |
12. স্যাক (1862) | সালোকসংশ্লেষে শর্করা সৃষ্টি এবং ক্লোরোপ্লাস্টে ক্লোরোফিলের অবস্থান নির্ণয় আবিষ্কার। |
13. উইলষ্টেটার (1906–1926) | ক্লোরোফিলের রাসায়নিক উপাদান আবিষ্কার করেন। |
14. এমারসন (1958) | প্রমাণ করেন যে, এক অণু CO, বিজারিত করতে ৪ কোয়ান্টা শক্তির প্রয়োজন। |
15. রুবেন ও কামেন (1941) | এর সাহায্যে প্রমাণ করেন যে, সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় জল থেকেই অক্সিজেন নির্গত হয়। |
16. এম্বডেন, মেয়ারহফ্ এবং পারনেস (1933) | গ্লাইকোলাইসিস পর্যায় বা EMP পথ পর্যবেক্ষণ করেন। |
17. হ্যানস্ ক্রেবস (1937) | শ্বসনের সাইট্রিক অ্যাসিড চক্র আবিষ্কার করেন। |
18. হামবার্গার (1918) | ক্লোরাইড শিফ্ট পর্যবেক্ষণ করেন। |
19. জে. সি. বোস (1923) | রসের উৎস্রোত সম্পর্কে ‘ভাইটালিস্টিক মতবাদ’ প্রবর্তন করেন। |
20. স্টিফেন হেলস্ (1727) | ‘মূলজ চাপ’ মতবাদ প্রবর্তন করেন। |
21. বোএম (1809) | রসের উৎস্রোত সম্পর্কে ‘বায়বীয় চাপ’ মতবাদ প্রচলন করেন। |
22. ডিক্সন ও জলি (1894) | রসের উৎস্রোত সম্পর্কে ‘প্রস্বেদন টান ও জলের সমসংযোগ’ মতবাদ প্রচলন করেন। |
23. ম্যাসন ও মাসকেল (1936) | উদ্ভিদদেহে জৈব খাদ্য পরিবহনে সক্রিয় ব্যাপন মতবাদ প্রকাশ করেন। |
24. উইলিয়াম হার্ভে (1628) | মানুষের দেহে তথা প্রাণিদেহে রক্ত সংবহনের সঠিক ব্যাখ্যা দেন। |
25. থমাস বাথেলিন (1652) | লসিকাতন্ত্র আবিষ্কার করেন। |
26. মার্সেলো ম্যালপিজি (1660) | কৌশিক রক্তসঞ্চালনের ব্যাখ্যা দেন। |
27. ই. এইচ. স্টারলিং (1918) | হৃৎপিণ্ডের সূত্র আবিষ্কার করেন। |
28. স্টিফেন হেলস্ (1733) | প্রথম ধমনীর রক্তচাপ পরিমাপ করেন। |
29. অ্যাডলপ্ট ফিক (1870) | হার্দ উৎপাদ আবিষ্কার করেন। |
30. ওয়ালার (1887) | হৃৎপিণ্ডের সংকোচনকালে তড়িৎ স্পন্দন লক্ষ্য করেন। |
31. উইলহেলম ইনথোডেন (1903) | ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাফ যন্ত্রটি আবিষ্কার করেন। |
32. ক্লওবার্ণাড (1852) | রক্তবাহ যে স্বয়ংক্রিয় স্নায়ু দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তা প্রথম প্রমাণ করেন। |
33. বিভারোচি (1896) | আদি ম্যানোমিটারের সাহায্যে প্রথম রক্তচাপ পরিমাপ করেন। |
34. ক্যাসিমির ফাঙ্ক ( 1912) | ভিটামিন নামকরণ করেন। |
35. কুন (1875) | উৎসেচক বা এনজাইম নামকরণ করেন। |
36. উইলিয়াম বাউম্যান (1842) | রেচনে বৃদ্ধ অংশ গ্রহণ করে সে সম্পর্কে ধারণা প্রদান করেন। |
37. সি. লুডউইগ (1844) | বৃক্কীয় রেচনে ‘পরিস্রাবণ মতাবাত’ পোষণ করেন। |
38. মারসেক্সে ম্যালপিজি (1842) | প্রথম গ্লোমেরিউলাস আবিষ্কার করেন। |
39. ডি. গ্রাফ (1672) | গ্রাফিয়ান ফলিকল্ বা ডিম্বথলি আবিষ্কার করেন। |
40. ও. হার্টউইগ (1875) | দু’টি জনন কোষের মিলনে নিষেক ঘটে এই ধারণা প্রকাশ করেন। |
জীব বিজ্ঞানীর আবিষ্কার এবং বিজ্ঞানীর নাম Famous Discoveries of Some Biologists