2023 চড়ক পুজা সময় ও তারিখ । Charak Puja
চড়ক পুজা কেন পালন করা হয়। চৈত্র সংক্রান্তি । Charak Puja Date & Time

চড়ক পূজা ( Charak Puja) হিন্দুদের একটি অতি প্রাচীন উৎসব। প্রাচীনকালে পাশুপত সম্প্রদায়ের মধ্যে এ উৎসব প্রচলিত ছিল। তবে জানা যায় ১৪৮৫ খ্রিষ্টাব্দে সুন্দরানন্দ ঠাকুর নামের এক রাজা প্রথম এই পূজা প্রথম শুরু করেন।
এই পুজা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লোকোৎসব। চৈত্রের শেষ দিনে বাংলা নববর্ষের আগের দিন এ পূজা অনুষ্ঠিত হয় এবং বৈশাখের প্রথম দু-তিন দিনব্যাপী চড়ক পূজার উৎসব চলে।এটি চৈত্র মাসে চৈত্রসংক্রান্তিতে পালিত হিন্দু দেবতা শিবের গাজন উৎসবের একটি অঙ্গ। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে মেলা বসে যা চড়ক সংক্রান্তির মেলা নামে অভিহিত।
চড়ক পুজা সাধারণত নীল পুজার পরের দিন পালন করা হয়। এ পূজার বিশেষ অঙ্গের নাম হল নীলপূজা। পূজার আগের দিন চড়ক গাছটিকে ধুয়ে-মুছে সুন্দর ভাবে পরিষ্কার করা হয়।
2023 চড়ক পুজা সময় ও তারিখ
উৎসবের নাম | উৎসবের দিন ও তারিখ |
চড়ক পুজা | শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩ |
বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে- ৩০ চৈত্র ১৪২৯
চরক পুজা উপলক্ষে বাংলার উৎসব ও মেলা
- মালদহ জেলার অন্তর্গত হরিশচন্দ্রপুর থানার হরিশচন্দ্র পুর গ্রামে ধূমধামের সহিত চড়ক পূজা উপলক্ষ্যে পালন করা হয়, এছারা গ্রামের তিনটি স্থানে যেমন- নহনিয়ার মেলা, নলপুকুরের মেলা ও মঙ্গলহাটের মেলা নামে তিনটি মেলা বসে।
- মালদহ জেলার গাজোল থানার অন্তর্গত দহিল গ্রামে শিববন্দনা উপলক্ষ্যে মহা ধুমধামের সহিত গম্ভীরা বা চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই উপলক্ষ্যে বিরাট মেলা হয় ও বামনগোলা থানার ফরিদপুর গ্রামে দুইশত বৎসরের প্রাচীন গম্ভীরা উৎসব ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
- হাওড়া জেলার শ্যামপুর থানার অন্তর্গত রতনপুর গ্রামে রতনমালা দবীর বার্ষিক পূজা ও গাজন উৎসব উপলক্ষ্যে মেলা।
- পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গোপীবল্লভপুর থানার অন্তর্গত বালিযাত গ্রামে ‘বালিয়াত উৎসব ও মেলা।
- জলপাইগুড়ি জেলার জলপাইগুড়ি থানার অন্তর্গত গোমস্তাপাড়া গ্রামে মহা ধূমধামের সহিত চড়ক পূজা উপলক্ষ্যে বানিয়াপাড়ায় মেলা ও উৎসব।
- মুর্শিদাবাদ জেলার নবগ্রাম থানার অন্তর্গত অমরকুণ্ড গ্রামে চড়কপূজা উপলক্ষ্যে শিবের সহিত গ্রাম্য দেবতা আদিত্য দেবের যথারীতি পূজা, উৎসব ও মেলা।