অল্পবয়স এ কী কী ভুল করা উচিত নয়? #1 টিপস

অল্পবয়স এ কী কী ভুল করা উচিত নয়, অল্পবয়স এ কী কী ভুল হয়, কী কী ভুল করা উচিত না? কী কী ভুল হয় তার আলোচনা, অল্পবয়স এ কী কী ভুল হয় তার সমাধান?
বয়স এমন একটি সময়, যে কোন মানুষকে পরিবর্তন করতে বাধ্য করে। বয়সের সঙ্গে সংঘে ভাল মন্দ নানা ধরনের কাজ করে থাকে।। ‘অল্প বয়সে ভুল’ বোঝাতে সবার শুরুতেই যে ধরনের ভুলের ধারণা সবার চিন্তায় আসে তা হল সম্পর্কস্থাপনজনিত ভুল। কিন্তু এছাড়াও ভুলগুলোকে আরো কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে।
অল্পবয়স এ কী কী ভুল করা উচিত নয়?
প্রথম– সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কখনও একা একা কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত নয়। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে অভিজ্ঞতা আর জ্ঞান বা যেকোন একটির অভাব থাকে বলে এখানে পরিপূর্ণ সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম।
তাছাড়া, মা বাবার প্রতি উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েদের অনেক অবজ্ঞা আর অবহেলার চিত্র দেখা যায়। অথচ, ম্যাচিউরিটি আসবার পর বেশিরভাগ মানুষেরই অনুধাবন হয় মা বাবাই ঠিক বলতেন। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আছে।
দ্বিতীয়– বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আমি এর চরম ভুক্তভোগী। কেননা, ভদ্র বেশে অনেক নিচু মানসিকতার মানুষ আমাদের সমাজে অনেক আছে। বন্ধু নির্বাচন ও অসৎ বন্ধুদের পরিত্যাগ করতেই হবে। ছেলেমেয়ে সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারটি সেন্সিটিভ।
তৃতীয়– এই বয়সে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি টান। এটিকে এরিয়ে যেতে পারলেই ভাল। ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে এটি চরম বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। ভাবতে হবে ক্যারিয়ার নিয়ে। ক্যারিয়ার গড়ার জন্য যা যা প্রয়োজন তা অবলম্বন করতে হবে। বিয়ে নিয়ে অযথা ভাবনা চিন্তা না করাই ভালো। নৈতিক দিকগুলিকে বেশি খেয়াল করতে হবে।
চতুর্থ- পড়ালেখা ও বিশুদ্ধ জ্ঞানচর্চার প্রতি আগ্রহ থাকতে হবে। প্রচুর বই [এখানে কিন্তু পাঠ্যবইয়ের কথা বলা হচ্ছে না, পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই পড়তে হবে। ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা অর্জনের চেষ্টা থাকতে হবে।]সময়ের অপচয় না করে কিভাবে কাজে লাগানো যায় এই ক্ষেত্রটি নিয়েও অভ্যাস করা জরূরী।
পঞ্চম- বয়সন্ধীকালীন যাবতীয় সমস্যা জন্য প্রথমে বাবা অথবা মায়ের সাথে শেয়ার করতে হবে। প্রয়োজনে মা- বাবার সাহায্য নিয়ে, বয়সন্ধীকালীন যাবতীয় সমস্যা জানার ও সমাধানের জন্য ডাক্তার বা ভাল সাইকোলজিস্টের পরামর্শ নিলে ভাল হয় (যদি প্রয়োজন হয় তবেই)।
ষষ্ঠ – মোবাইল ব্যবহারের ভালো ও মন্দ দিকগুলিকে সঠিক ভাবে বুঝে নিতে হবে। খারাপ দিকগুলিকে পরিত্যাগ করতে হবে। শুধু পড়াশোনার ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যবহার করারই ভালো। গেম বা সোশাল নেটওয়রকিং সাইটে নিজেকে না রাখাই ভালো।