জীবনে সাফল্য লাভের চাবিকাঠি

সাফল্যের চাবিকাঠি: আমরা জানি, ‘সাফল্য পেতে হলে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়’। সহজে কোন কিছু পাওয়া যায় না। কিন্তু আমরা যদি পরিকল্পনা মাফিক সঠিক পথে না এগোই, তাহলে সাফল্য আমাদের আধোরাই থেকে যাবে। তাই শুধু পরিশ্রম করলেই হবে না, সময়কে খেয়াল রেখে তার সদ্ব্যবহার করে পরিকল্পনামাফিক আমাদের অগ্রবর্তী হতে হবে, তবেই মিলবে সাফল্য।
সাফল্য পাওয়ার জন্য তিনটি দিক লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন-সময়, ধৈর্য্য ও পরিকল্পনা। অনেক সময় দেখা যায়, একজন ছাত্র সারা দিনরাত পড়াশোনা করেও ভালো রেজাল্ট করতে পারল না। অন্য দিকে অন্য একজন দিনে ৫-৬ ঘণ্টা পড়াশোনা করে, ক্লাসে প্রথম হয়ে গেল। এর কারণ, যে ৫-৬ ঘণ্টা পড়াশোনা করেছে, সে সেই সময়টুকু যথেষ্ট মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করেছে ও মূল ব্যাপারটিকে তাড়াতাড়ি আয়ত্ত করেছে এবং নির্দিষ্ট প্ল্যান অনুযায়ী এগিয়েছে। অন্যদিকে প্রথম ছাত্রটি প্ল্যান অনুযায়ী না এগিয়ে সময়ের অপচয় করেছে এবং একটি একঘেয়ে ব্যাপার সৃষ্টি হয়েছে।
সুতরাং, আমরা বুঝতে পারছি, দিশাহীন পরিশ্রম আমাদের সাফল্য কখনই এনে দিতে পারে না।
সাফল্য পাওয়ার জন্য যে সমস্ত বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন, সেগুলি হল-
রুটিন বানাওঃ
প্রথমে আমাদের কোন কাজ শুরু করার আগে রুটিন বানিয়ে নিতে হবে। অর্থাৎ সেই কাজটি কত সময়ের জন্য বরাদ্দ, কীভাবে কাজটি করা হবে সেটি প্ল্যান করে নিতে হবে। যদি এই কাজটি করার সময় অন্য কাজ চলে আসে, তাহলে গুরুত্ব বুঝে কাজটি নির্বাচিত করতে হবে। দিনের শেষে দেখতে হবে কাজটি সম্পূর্ণ হয়েছে কিনা। যদি না সম্পূর্ণ হয়ে থাকে পরের দিনের রুটিনে আবার অবশিষ্ট কাজটি যুক্ত করতে হবে।
বিরতি নাওঃ
একটানা কাজ করার সময় অনেক ক্ষেত্রে ক্লান্তি চলে আসে। কাজটির প্রতি অনীহা প্রকাশ পায়। সামান্য বিরতি নিয়ে কাজটি করলে একঘেয়ে কাটিয়ে, পুনরায় মননিবেশ করা যায়।
পর্যাপ্ত আরামঃ
দিনের শেষে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমটাও একান্ত দরকার। ঘুম ভালো হলে শরীর ও মন দুটোই তরতাজা থাকবে। সুতরাং,কোন কাজ সময় নিয়ে, ধৈর্য্য সহকারে, পরিকল্পনামাফিক করতে পারলে সাফল্য আসতে বাধ্য।