Othersরান্নাঘর

পটলের নিরামিষ রান্না সেরা 5 টি তরকারি

পটলের নিরামিষ রান্নাঃ পটল শর্করা, ভিটামিন এ ও সি যুক্ত উপাদেয় শসা ও ক্ষীরা গোত্রের উদ্ভিদ। এছাড়াও এতে স্বল্প পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, তামা, পটাসিয়াম, গন্ধক ও ক্লোরিন আছে। পটল (Pointed gourd) এক ধরনের সবজি। এই উদ্ভিদের বৈজ্ঞানিক নাম Trichosanthes dioica

এটি ভারতের পূর্বাঞ্চলে বিশেষ করে ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, বিহার, উত্তর প্রদেশ এবং বাংলাদেশে ভাল জন্মায়। পটল দিয়ে আমরা বিভিন্ন রকমের খাবার রান্না করি আজ এই পোষ্টে পটলের নিরামিষ রান্না সেরা 5 টি তরকারি শেয়ার করা হল।

এছাড়াও পটলের অনেক উপকার আছে যেমন- হজমের উন্নতি ঘটায়, পটল হজমশক্তি বাড়ায়, কাশি, জ্বর, রক্তদুষ্টি কমায়, কৃমি সাড়ায় এবং শরীর ঠান্ডা রাখে, মুখের দুর্গন্ধ দূর করে,কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগার কমায় , ওজন কমতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে ইত্যাদি।

পটলের নিরামিষ রান্না সেরা 5 টি তরকারি

দই পটল 

উপকরণ ও পটল ১০টা, দই ১৫০ গ্রাম, আদাবাটা ২চা-চামচ, চিনি ২চা-চামচ, নুন স্বাদমতাে, গরম মশলা কিছুটা তেজপাতা ২টো, জিরে কিছুটা, (ফোড়ন দেওয়ার মতাে), সরষের তেল ভাজার জন্য, ভাল ঘি ২ চা-চামচ, কিসমিস ১৫ গ্রাম, লঙ্কাগুঁড়াে ১ চা-চামচ, হিংগুঁড়াে ১ চিমটে।

প্রণালী ও পটলের খােসা ছাড়িয়ে দু-দিকে একটু করে চিরে দিন। কড়াইতে তেল দিয়ে পটলগুলাে ভেজে তুলে রাখুন। কড়াইতে আরও ২৫ গ্রাম তেল দিন। জিরে, গরম মশলা, হিং, তেজপাত! ফোড়ন দিন। উপরে ঘি দিয়ে দেবেন। মশলা ভাজা হয়ে গেলে দই, আদাবাটা, লঙ্কাগুঁড়াে, হলুদগুঁড়াে ফেটিয়ে কড়াইতে জল দিন। নুন, চিনি ও কিসমিসও দেবেন। খুন্তি দিয়ে ভাল করে নেড়ে নিন। ভাজা পটলগুলাে দিয়ে, মাখামাখা হলে নামিয়ে রাখুন।

পটলের পাতুরি (পটলের নিরামিষ রান্না)

উপকরণঃ  পটল ৫০০ গ্রাম, সরষে ৫০ গ্রাম, পােস্ত ৫০ গ্রাম, কাঁচালঙ্কা ৬-৭টা নারকেল একটির চারভাগের একভাগ, নুন স্বাদমতাে, তেল প্রয়ােজনমতাে, চিনি আন্দাজমতাে।

প্রণালীঃ পটল লম্বালম্বি করে কেটে কড়াইতে তেল দিয়ে অল্প আঁচে সাঁতলে নিন। সব মশলা বেটে রাখুন। নারকেলও বেটে নেবেন। পটল কড়াইতে ভেজে তুলে নারকেল বাটা দিন। নারকেল একটু ভেজে বাটা মশলাটাও দেবেন। বেশ করে কষে নিন। তেল ছাড়া ছাড়া হয়ে এলে সাঁতলানাে পটলটা দেবেন। নুন, মিষ্টি ও পরিমাণমতাে জল দিয়ে ঢাকা দিন। ভাল করে ফুটে উঠলে কড়াই নামিয়ে রাখুন।

পটলের ঘণ্ট (পটলের নিরামিষ রান্না)

প্রথমে পটলের খােসা ছাড়িয়ে ছােট ছােট করে কেটে বীচ ফেলে রেখে দিতে হবে। লঙ্কাবাটা, ধনেবাটা, চিনি, লবণ, তেজপাতা, জিরে ও সামান্য দুধ হাতের কাছে রাখুন।

প্রথমে পটলগুলি সিদ্ধ করে বাটা মশলা, দুধ, চিনি ও লবণ দিয়ে চটকে নিড়ে হবে। তারপর কড়াইতে ফোড়ন দিয়ে চটকানাে পটল ঢেলে দিন এবং পরিমাণমত একটু জল দিন। ঝােল গা-মাখা হলে আন্দাজ বুঝে ঘি গরমমশলা দিয়ে নামিয়ে নিন।

পটলের পিঠে

উপকরণ ও ৭/৮টা পটল। পেয়ালা চিনি। এক লিটার দুধ, দু পেয়ালা নতুন গুড় ৫০০ গ্রাম চিনি। ভাজার জন্য সাদা তেল। দু পেয়ালা চালের গুঁড়াে। এক পেয়ালা ময়দা।

প্রণালী ও পটল আঁচড়ে ধুয়ে সমস্ত গায়ে ছিদ্র করে দিন। এবার চিনির জলে সিদ্ধ করুন। বাকি ৫০০ গ্রাম চিনির বেশ চটচটে রস তৈরি করুন। দুধে গুড় মেশান। চালের গুঁড়াে ও ময়দা দিয়ে ভালাে করে একটা গােলা তৈরি করুন। এবার ওই গােলায় পটল ডুবিয়ে ভেজে চিনির রসে ফেলুন।

কোপ্তা পটল (পটলের নিরামিষ রান্না)

উপকরণঃ পটল ১০টা, দই ১৫০ গ্রাম, আদাবাটা ২ চা-চামচ, চিনি ২ চা-চামচ, নুন স্বাদমতাে, গরম মশলা কিছুটা, তেজপাতা ২ টো, জিরে কিছুটা (ফোড়ন দেওয়ার মতাে), সরষের তেল ভাজার জন্য, ভাল ঘি ২ চা-চামচ, কিসমিস ১৫ গ্রাম, লঙ্কাগুঁড়াে ১ চা-চামচ, হিংগুঁড়াে ১ চিমটে।

প্রণালীঃ পটলের খােসা ছাড়িয়ে দু-দিকে একটু করে চিরে দিন। কড়াইতে তেল দিয়ে পটলগুলাে ভেজে তুলে রাখুন। কড়াইতে আরও ২৫ গ্রাম তেল দিন। জিরা, গরম 1. মশলা, হিং, তেজপাতা ফোড়ন দিন। উপরে ঘি দিয়ে দেবেন। মশলা ভাজা হয়ে গেলে দই, আদাবাটা, লঙ্কাগুড়াে, হলুদণ্ঁড়ো ফেটিয়ে।

পুরভরা দই পটল (পটলের নিরামিষ রান্না)

উপকরণঃ পটল ৮টা (মাঝারি), সরষে ২০ গ্রাম, টক দই ১০০ গ্রাম, নারকেল অর্ধেকটা, কাঁচালঙ্কা ১০গ্রাম, T সরষে তেল ২০ মিলিলিটার, আদা ১০ গ্রাম (বাটা), লঙ্কাগুঁড়াে ২ গ্রাম, হলুদ গুঁড়াে ১ গ্রাম, নুন স্বাদমতাে, চিনি সামান্য।

প্রণালীঃ পটলের খােসা ছাড়িয়ে ধুয়ে ফেলুন। পটলের দুমুখেই গর্ত করে পটল ভেজে নিন। নারকেল, সরষে, কঁচালঙ্কা | বেটে তার সঙ্গে নুন, চিনি, সরষে-তেল মিশিয়ে, এই মিশ্রণটি পটলের ভিতরে পুরের মতাে ভরুন। তেল গরম হলে মর্শলা দিন। এবার ফেটানাে দই, নুন ও চিনি দিয়ে গ্রেভি তৈরি করুন। এতে পটলগুলাে দিয়ে সেদ্ধ করুন। গরম গরম পরিবেশন করুন।

এটিও পড়ুন – দুগ্ধ সংরক্ষণ পদ্ধতি, বাড়ীতেই দুধ সংরক্ষণ করুন

এগুলিও পড়তে পারেন -

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button