Others

বাংলা উপন্যাস রচনা 600 শব্দের মধ্যে

বাংলা উপন্যাস হলো একটি শিল্প ও সাহিত্যিক রচনার ধরণ। এখানে লেখক একটি কথামালা গঠন করে একটি দীর্ঘ কাহিনী নির্মাণ করেন, যা কোন একটি বিষয়ে ভিত্তি করে বা অন্য ধরণের কিছু তথ্য বা গবেষণা উপস্থাপন করে লিখা হয়। উপন্যাস বাংলা সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধরণ এবং বাংলাদেশ ও ভারতের সাহিত্যিক জীবনে একটি সংগ্রহশালা। [বাংলা উপন্যাস রচনা 600 শব্দের মধ্যে]

বাংলা উপন্যাস

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় দীর্ঘ দিনের সাধনায় উপন্যাস সাহিত্যের পুষ্টি। আজকে এ সাহিত্য ফুলে-ফলে বিকশিত হয়ে অপূর্ব শোভা ধারণ করেছে, কিন্তু একদিন এর উন্মেষ যুগে এর অগ্রগতি ছিল সলজ্জ বধূর মতো। যে সাহিত্যিক প্রথম ঔপন্যাসিকের সম্মান অর্জন করেন, তিনি হচ্ছেন বঙ্কিমচন্দ্র (১৮৩৮ – ১৮৯৪)। তাঁর প্রথম উপন্যাস রচিত হয় ১৮৬৫ খ্রীষ্টাব্দে ‘দুর্গেশ নন্দনী’। এর পর ‘কপাল কুণ্ডলা,’ ‘বিষবৃক্ষ’, ‘চন্দ্রশেখর’ ইত্যাদি বহু উপন্যাস তিনি রচনা করেন। তাঁর উপন্যাসে রোমাঞ্চের প্রাধান্য বেশি।

রোমান্টিক মন আর ঐতিহাসিক ঘটনা নিয়ে তিনি অপূর্ব সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন। বাস্তবতা বলতে আমরা এখন যা বুঝি, বঙ্কিম- সাহিত্যে তার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া বেশ মুস্কিল। বঙ্কিমচন্দ্রের সমসাময়িক অন্যান্য যে সমস্ত ঔপন্যাসিক কম-বেশি কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ‘স্বর্ণলতা’র লেখক তারকনাথ ও ‘মাধবীকঙ্কন’, ‘বঙ্গবিজেতা’ প্রণো রমেশচন্দ্রের নাম বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এরপর নাম করতে হয় রবীন্দ্রনাথের (১৮৬১-১৯৪১)। কবি হয়েও তিনি সার্থক ঔপন্যাসিক। তাঁর ‘গোরা’ বৃহত্তম ও মহত্তর উপন্যাসের মর্যাদায় ভূষিত।[বাংলা উপন্যাস রচনা 600 শব্দের মধ্যে]

‘চোখের ‘বালি’, ‘ঘরে বাইরে’ প্রভৃতিতে তিনি নর-নারীর সূক্ষ্ম মনস্তত্ত্বের যে বিশ্লেষণ করেছেন তা অভূতপূর্ব। শরশুও (১৮৭৬-১৯৩৮। রবীন্দ্রনাথকে অনুসরণ করেই তাঁর সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন। তিনি সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক; ‘শ্রীকান্ত’,’দেনাপাওনা’, ‘গৃহদাহ’ তাঁর সার্থক সৃষ্টি। মধ্যবিত্ত জীবনের কারুশিল্পী ছিলেন তিনি। বাঙালী সমাজ জীবনের আশা-আকাঙ্ক্ষা, দুঃখ-বেদনা, হাসিকান্না নিয়ে তিনি যে সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন তা অনবদ্য। তবে তিনি যত না Realist বা বাস্তববাদী তার চেয়ে বেশি Idealist বা আদর্শবাদী। স্বর্ণকুমারী দেবী (১৮৫৫ ১৯৩২), অনুরূপা দেবী (১৮৭২-১৯২২) উল্লেখযোগ্য মহিলা ঔপন্যাসিক।[বাংলা উপন্যাস রচনা 600 শব্দের মধ্যে]

এই সময় মুসলিম ঔপন্যাসিকদের মধ্যে সর্বাগ্রে নাম করা হয় মোহাম্মদ নজিবর রহমান, কাজী ইমদাদুল হক ও কাজী আব্দুল ওদুদের। নজিবর রহমান (১৮৬০-১৯২৩) আনোয়ারা’ উপন্যাসের জন্য বিখ্যাত। মুসলমান জীবনের সমাজচিত্র হিসাবে এর মূল্য অপরিসীম। সমাজ জীবনের আভিজাত্য সমস্যা, পর্দা সমস্যা, রক্ষণশীলতা কোন কিছুই এঁর দৃষ্টি এড়ায়নি। ‘আবদুল্লাহ’ কাজী ইমদাদুল হকের সার্থক সৃষ্টি। ইনি অত্যন্ত কুশলতার সঙ্গে মুসলিম সমাজ-জীবনের গোঁড়ামি, ভণ্ডামী ও কুসংস্কারের প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করে আমাদের চোখের সামনে তুলে ধরেছেন। কাজী আব্দুল ওদুদ মননশীল লেখক-প্রাবন্ধিক হিসাবে খ্যাত। তথাপি তিনি ‘নদীবক্ষে’ নামক উপন্যাসে ঔপন্যাসিক হিসাবে কৃতিত্ব দেখাতে সমর্থ হয়েছেন। এঁর শিল্পীসুলভ চাতুর্য অস্বীকার করার উপায় নেই। মহিলা ঔপন্যাসিকদের মধ্যে সর্বাগ্রে উল্লেখযোগ্য বেগম রোকেয়া (১৮৮০-১৯৩২)। অত্যুক্তি না করেও বলা চলে, আজ পর্যন্ত তিনি প্রথম মুসলিম মহিলা ঔপন্যাসিক। “অবরোধ-বাসিনী’ ‘পদ্মরাগ’, ‘সুলতানার স্বপ্ন’ ইনি রচনা করেন। সমাজ জীবনের নিখুঁত আলেখা বিশেষ করে নারীর মর্মবাণী অত্যন্ত সহজ ভাষায় তিনি প্রকাশ করেছেন। বিদ্রূপের তীব্র কষাঘাতেও তিনি সার্থক। [বাংলা উপন্যাস রচনা 600 শব্দের মধ্যে]

এরপর যে সব সাহিত্যিকের আবির্ভাবে বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে তারা হচ্ছেন— কাজী নজরুল ইসলাম, তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রেমেন্দ্র মিত্র, অচিন্ত্যকুমার, বুদ্ধদেব বসু, শৈলজানন্দ, বনফুল ও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজী নজরুল ইসলাম কবি; কিন্তু তিনি কয়েকটি উপন্যাসের স্রষ্টা। ‘ব্যথার দান’, ‘রিক্তের বেদন’, ‘বাঁধন হারা’, ‘কুহেলিকা’ ও ‘মৃত্যুক্ষুধা’র রচয়িতা হচ্ছেন নজরুল। এঁদের মধ্যে ‘মৃত্যুক্ষুধা’ (উপন্যাস) তাঁর সার্থক সৃষ্টি। সর্বহারা মানুষের প্রতি যে অকৃত্রিম দরদ তাঁর কারো দেখা যায়, মৃত্যুক্ষুধায় তার স্পষ্ট ছাপ রয়েছে। ‘পাক’ প্রেমেন্দ্র মিত্রের রচিত গ্রন্থ। আঙ্গিক ও মিতাচারে ইনি প্রায় একক। সমাজ জীবনে নিম্ন মধ্যবিত্তের প্রতি যে দরদ তাঁর উপন্যাসে ফুটে উঠেছে তা বাস্তব রোমান্টিকসিজমের ভেজাল দিয়ে তৈরি নয়। কয়লা খনির মজুরদের প্রথম সাহিত্যে স্থান দেওয়ার কৃতিত্ব শৈলজানন্দের। ‘বেদে’ অচিন্ত্যকুমারের বিখ্যাত উপন্যাস। রবীন্দ্রনাথ এর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। কিন্তু একথা স্মরণ রাখা কর্তব্য যে, অচিন্ত্য-বুদ্ধদেব ফ্রয়েডের চিন্তাধারায় খুব বেশি প্রভাবান্বিত, যার ফলে এঁদের সাহিত্যে যৌন জীবনের ছবি একটু বেশি রকম ফুটেছে। বামপন্থী সাহিত্যিক হিসাবে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি স্বতন্ত্র ও একক গৌরবের আসনে প্রতিষ্ঠিত। ‘পদ্মানদীর মাঝি’, ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’, ‘শহরতলী’, ‘জয়ন্তী’ প্রভৃতি তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস। ‘পদ্মানদীর মাঝি’ উপন্যাসে তিনি মৎস্যজীবীদের সার্থক জীবন চরিত্র এঁকেছেন, তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা, সুখ-দুঃখ, প্রেম-প্রীতি, হাসি-কান্নার অপরূপ চিত্রকুশলতা ও আন্তরিকতা তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন। এছাড়াও রয়েছেন নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ সাহিত্যিক। [[বাংলা উপন্যাস রচনা 600 শব্দের মধ্যে]]

বাংলাদেশ থেকে যে সাহিত্য চর্চা শুরু হয় তাতে উপন্যাসের সংখ্যা যত না, তার চেয়ে গল্পের সংখ্যা বেশি। মৃত্যুর আগে আবুল ফজল প্রচুর লিখেছেন। জীবনের প্রথমে ‘চৌচির’ লিখে তিনি সুনাম অর্জন করেছিলেন। তিনি সে সুনাম পরবর্তীকালে প্রকাশিত ‘রাঙ্গাপ্রভাতে’ অক্ষুণ্ণ রেখেছেন। একটি কৈশোর জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত পূর্ণ জীবনের বিভিন্ন ছবি এঁকে তাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন জীবনের বিপুল অভিজ্ঞতার দিকে। কিন্তু মাহবুবুল আলম যিনি ‘মোমেনের জবানবন্দী’ লিখে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন, তিনি তাঁর শক্তি অনুসারে কোন উপন্যাস আমাদের উপহার দিতে পারেননি। শক্তিশালী সাহিত্যিকের এই নিরুৎসাহ দুঃখজনক সন্দেহ নেই। শওকত ওসমান শক্তিশালী কথাশিল্পী। ‘বনি আদম’ উপন্যাসের স্রষ্টা তিনি। কিন্তু যে কৃতিত্ব তিনি তাঁর এই প্রথম উপন্যাসে দেখিয়েছিলেন, বিভাগোত্তর কালে তার পরিচয় পাওয়া গেছে ‘জননী’ ও ‘ক্রীতদাসের হাসি’ উপন্যাস দু’খানিতে। কিন্তু একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, উনবিংশ শতাব্দী ও বিংশ শতাব্দীর প্রথমপাদে মোজাম্মেল হক (জোহরা, রঙ্গিলাবাই উপন্যাস প্রণেতা), সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী (“রায়নন্দিনী’ ‘ফিরোজা বেগম’ প্রণেতা) ও নজিবর, ইমদাদুল হকের মতো কীর্তিমান ঔপন্যাসিকদের সাক্ষাৎ আমরা এখনও পাই নাই । সমালোচনার কষ্টিপাথরে যাচাই করে নিলে যে দু’-একজন ঔপন্যাসিকের নাম করতে হয় তাঁদের মধ্যে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, আবুল মনসুর আহমদ, আবু ইসহাক, সরদার জয়েনউদ্দিন, শহীদুল্লাহ কায়সার, জহির রায়হান প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। ‘লাল সালু’ উপন্যাসে পীরমাহাত্ম্য ও ধর্মের নামে অধর্মের মুখোশ উন্মোচন করেছেন ওয়ালীউল্লাহ। উপন্যাসের শেষের অংশটুকুতে যে ত্রুটি লক্ষ্য করা যায় তা বাদ দিলে সম্পূর্ণ উপন্যাসটি সুলিখিত বলা চলে। ‘সূর্যদীঘল বাড়ি’ আবু ইসহাক-বচিত। নিম্নবিত্ত জীবনের দুঃখকষ্ট, ব্যথা-বেদনার এক সুন্দর আলেখ্য। সত্যিকথা বলতে কি, আবু ইসহাকের ‘সূর্যদীঘল বাড়ী’ সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহর ‘লাল সালু’ এবং শামসুদ্দীন আবুল কালামের অধুনাতম উপন্যাস—পূর্ব বাংলার কৃষক-জীবনে করুণ ও বেদনার্ত চিত্রই এ-গুলির মুখ উপজীব্য। আমাদের উপন্যাস সাহিত্যে কিছু ভাল বই সংযোজিত হয়েছে। রশীদ করিমের ‘উত্তম পুরুষ’ এবং আব্দুর রাজ্জাকের ‘কন্যাকুমারী’, সরদার জয়েনউদ্দিনের ‘অনেক সূর্যের আশা’, জহির রায়হানের ‘হাজার বছর ধরে’ বইগুলি পড়বার মত। [বাংলা উপন্যাস রচনা 600 শব্দের মধ্যে]

বাংলা সাহিত্যে উপন্যাসের ক্ষেত্রে মুসলমানদের কোন দান নেই বলে যা প্রচার করা হয়, তা’ মোটেই সত্য নয়। কারণ, আমরা কাজী এমদাদুল হক, নজিবর রহমান, ইসমাইল হোসেন সিরাজী, বেগম রোকেয়া, মোজাম্মেল হক এবং বর্তমানে সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ, আবুল ফজল, শওকত ওসমান, শামসুদ্দীন আবুল কালাম, জহির রায়হান, সরদার জয়েনউদ্দিন, আল-আজাদ, সৈয়দ সামসুল হক, রশীদ করিম ও আবু ইসহাকের মত ঔপন্যাসিকের সাক্ষাৎ পাচ্ছি। সৃষ্টির প্রাচুর্যে শক্তিশালী ঔপন্যাসিক হয়তো সবাই নন, কিন্তু উপন্যাস সৃষ্টির ব্যাপারে কমবেশি কৃতিত্ব সকলেই অর্জন করেছেন। [বাংলা উপন্যাস রচনা 600 শব্দের মধ্যে]

পরবর্তীকালের ঔপন্যাসিকদের মধ্যে আলাউদ্দিন আল আজাদের ‘কর্ণফুলি’ এবং ‘তেইশ নম্বর তেল চিত্র’, তাসাদ্দুক হোসেনের ‘মহুয়ার দেশে’, রাবেয়া খাতুনের ‘মধুমতী’, শামসুদ্দীন আবুল কালামের ‘কাশবনের কন্যা’, শহীদুল্লাহ কায়সারের ‘সারেং বৌ’, ‘কবে পোহাবে বিভাবরী’, দিলারা হাসেমের ‘ঘর মন জানালা’, শওকত আলীর ‘পিঙ্গল আকাশ’, ‘যাত্রা’, ‘কুলায় কাল স্রোত’, ‘পূর্বরাত্রি পূর্বদিন’, ‘মধু চন্দ্রিমা’, আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর ‘নাম না জানা ভোর’; শহীদ আকন্দের ‘পান। হলো সবুজ’, ইসহাক চাখারীর ‘মেঘবরণ কেশ’, আব্দুর রাজ্জাকের ‘কন্যা কুমারী’, আনোয়ার পাশার ‘নীড় সন্ধানী’, ‘রাইফেল রোটি আগুল ৩’, আবু জাফর শামসুদ্দীনের ‘ভাওয়াল গড়ের উপাখ্যান,’ হুমায়ূন আহমদের *ন্দত নরকে’, ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘এই সব দিনরাত্রি’, ‘নির্বাসন’, ‘দূরে কোথায়’, ‘ফেরা’, ‘কেউ নেই’, ‘বহুব্রীহি’, ‘সাজঘর’, ‘সবাই গেছে বনে। আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘খোয়ারী’, ‘দুধে ভাতে উৎপাত’, ‘চিলে কোঠার সিপাই’, ‘দোজখের ওম’, রাহাত খানের ‘অমল ধবল’, ‘মধ্য মাঠের খেলোয়াড়’, ‘দুই নারী’, ইমদাদুল হক মিলনের ‘দুঃখ-কষ্ট’, ‘কালোঘোড়া”, ‘উপনায়ক’, ‘যাবজ্জীবন’, আবদুস শাকুরের ‘ক্রাইসিস’, আহমদ ছফার ‘সূর্য তুমি সাক্ষী’, মান্নান সৈয়দের ‘কলকাতা’, ‘পোড়ামাটির কাজ’ এবং আরো অনেকের রচিত উপন্যাসগুলিতে মানব জীবনের আশা-নিরাশা ও বেদনার চিত্র অঙ্কনে মুন্সিয়ানার পরিচয় চিহ্নিত হয়েছে। এঁদের কারো কারো লেখায় নগর জীবনের কথকতা আছে, কারো কারো রচনায় গ্রামীণ জীবনের পটভূমিকায় জীবন জিজ্ঞাসার পরিচিতি বিধৃত হয়েছে। [বাংলা উপন্যাস রচনা 600 শব্দের মধ্যে]

মহিলা ঔপন্যাসিকদের রচনাতেও সামাজিক ও পারিবারিক সংঘাত ও বিপর্যয়ের ছবি অঙ্কিত হতে দেখা যায়। দৌলতুন্নেছা খাতুনের ‘পথের পরশ’, রাবেয়া খাতুনের ‘বায়ান্ন গলির এক গলি’, ‘রাজাবাগ’, রাজিয়া খানমের ‘বটতলার উপন্যাস’, ‘বন্দী বিহঙ্গ’, রিজিয়া রহমানের ‘ঘর ভাঙা ঘর’, ‘উত্তর পুরুষ’, সেলিনা হোসেনের ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’, ‘চাঁদবেনে’ এবং আরো কোন কোন লেখিকার কথা সাহিত্য গল্পের রস স্ফূর্তি লাভ করেছে এবং কাহিনী নির্মাণে দক্ষতার পরিচয় চিহ্নিত। লেখিকাদের কেউ কেউ মানুষের জৈব বাসনা ও সুপ্ত প্রবৃত্তিকে নির্দ্বিধায় প্রকাশ করতে পেরেছেন এবং সে ক্ষেত্রে বাংলা উপন্যাসে সামাজিক বাস্তবতার আলেখ্য অঙ্কনে শিল্প সত্তার অধিকারী হয়েছেন। আশা করা যায়, এঁদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলা সাহিত্যের শ্রীবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে।[বাংলা উপন্যাস রচনা 600 শব্দের মধ্যে]

কিছু জনপ্রিয় বাংলা উপন্যাসের নাম হলো:

শেষের কবিতা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আনন্দমঠ – সরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শ্রীকান্ত – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, চাঁদের পাহাড় – বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়, দেবী – সরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, তিন গোয়েন্দা – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ফেলুদা সমগ্র – সত্যজিৎ রায়, ফেলুদা এফ বি আই – সত্যজিৎ রায়, ঘরে বাইরে – হুমায়ূন আহমেদ, শিকারী – মুহম্মদ জাফর ইকবাল। [বাংলা উপন্যাস রচনা 600 শব্দের মধ্যে]

এগুলিও পড়তে পারেন -

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button