40 এর পর সুস্থ থাকতে এই নিয়মগুলি পালন করুন
৪০ বৎসর বয়সের পর থেকে সাবধান? এই নিয়মগুলি মেনে চলুন

40 এর পর সুস্থ থাকতেঃ ৪০ বছর বয়সের পর ডিম, বেগুন, চিংড়ী মাছ, ইলিশমাছ, বােয়ালমাছ, কাঁকড়া, কাঁচানুন, ডালের বড়ি, বিভিন্ন নােনা জলের মাছ খাবেন না। এগুলি বিভিন্ন রাগের সৃষ্টি করে। এই বয়সে নিরামিষ ভােজন কর্তব্য।
40 এর পর সুস্থ থাকতে এই নিয়মগুলি পালন করুন
নিরামিষের মধ্যে কি কি খাবেন
নিরামিষের মধ্যে রাখবেন- থােড়, মােচা, কাঁচা কলা, ডুমুর, সজনে উাটা, গরুর দুধ, ছানা, কাচা ডিম, আম, শাপলা, কচুর লতি, চালকুমড়াে, ছাঁচি পেঁয়াজ, টকদই, মানকচু এবং ওল। রােজ রাতে শুতে যাওয়ার আগে একচামচ মধু খাবেন। শুধু ডাল কখনও খাবেন না। সাথে একটু কিছু সবজি অবশ্যই দিবেন। যেমন—উচ্ছে, করলা, কাঁচাকলা, পেঁপে, পটল, সজনে ডাটা, ঝিঙ্গে, লাউ মুলাে, ইত্যাদি। কোন আনাজ না থাকলে এককোয়া রসুন অথবা কাঁচালঙ্কা দিলেও উপকার পাবেন। ডালের মধ্যে একটাই ডাল খাবেন না সেটা হল খেসারীডাল। এতে সংক্রমণ বাড়ায়। ডালে দুটো সবজি কখনই দিবেন না। যথা-আলু এবং সিম। আলুতে ব্রাতসুগার বাড়ায়। সিমে আমাশয় বৃদ্ধি পায়। যাদের ব্লাডসুগার আছে ভােরবেলায় খালি পেটে হাটা অবশ্য করণীয়। পরে দশ বারােটা চাল এবং দশ বারােটা তুলসীপাতা বাসী জুলসহ সেবনে অথবা কাঁচা লঙ্কা ফালি করে কেটে জলে ভিজিয়ে সেই জল খেলেও উপকার পাবেন। চা ছােলা ভেজা জলও খেতে পারেন মাটির অথবা পাথরের পাত্রে ভেজালেই উপকার বেশী।
যাদের প্রচুর সময় হয়েছে, শরীর থেকে এবং খুব অল্প বয়স থেকে এই ক্ষয় শুরু হয়েছে। তাদের উচিত প্রত্যেকদিন একটা করে দেশি টমাটো, (হাইব্রীড নয়) বিনের তরকারী, মূলাশাক, একচামচ করে মধু, কাঠালী কলা, টকদই, পাটশাক, ঢেড়স ডালে দিয়ে খেলেও উপকার হয়। খেঁজুর খেয়ে দুধ বা আঁখরােট খেয়ে দুধ, বাদাম খেয়ে দুধ খেলেও উপকার হয়ে থাকে।
বয়স ৪০ হলে আটা চেলে খাবেন ना। আটা না চেলে খেলেই বেশী উপকার। প্রত্যেক ৭ দিন অন্তর এক দিন দুধ আর খই খাবেন। দুধ, খই, আঁখের গুড়, ভীষণ উপকারী। রুটি দুধে ভিজিয়ে খেলে বেশ উপকার হয়ে থাকে।
অর্শরােগীরা শক্তভাত খাবেন না। প্রত্যেকদিন মলত্যাগের পর যদি নারকেল তেল মলদ্বারে ব্যবহার করেন তবে ভাল হয়ে যায়। ভাল নারকেল তেল ব্যবহার করবেন, লুজ তেল নয়।
এটিও পড়ুন – শিশু পরিচর্যা করতে এই নিয়মগুলি মেনে চলুন -Child Care
হাই প্রেসার রােগীরা প্রত্যেকদিন ভােরে হাঁটাহাটি করুন উপকার পাবেন। নদী বা পুকুরে ডুব দিয়ে স্নান করলে উপকার হয়ে থাকে।
লাে-প্রেসারের রােগীদের বিশ্রামের প্রয়ােজন বেশী। উপবাস একদম নয়। পরিশ ছাড়াও হজম সম্ভব নয়। আর পরিশ্রম ছাড়া প্রচুর খাওয়া দাওয়া করলে কিন্তু অম্বল রােগ হবে। ঘাড় ব্যাথা, পিঠে ব্যাথা, মাথা ব্যাথা, পেট ফাঁপা ইত্যাদি রােগ হবেই হবে।
দিনের বেলা ঘুমাবেন না। রাতে আহারের পর আধ ঘণ্টা হাঁটাহাটি করে তবে ঘুমাতে যাবেন। পায়খানার রঙ কাল হয়ে গেলে ডিম আর খাবেন না। বেশী ভাজাভুজি খাবেন না।
যাদের প্রচণ্ড অম্বল হয় স্যালাড খাবেন। রাত্রে একটু হাঁটাহাটি করে তবে ঘুমাতে যাবেন।
টক খাবেন। এসিড যেমন ময়লা পরিষ্কার করে টক তেমনি পেট পরিস্কার করে। যেমন চলতার টক, ছােট আমড়া, বিলতী আমড়া, করমচার টক, কামরাঙ্গা, জলপাইয়ের টক, টকদই ইত্যাদি।
যাদের হাঁপানি রােগ আছে—(১) বেশী কথা না বলাই ভাল, (২) কাকড়া খাবেন না, (৩) ঠাণ্ডা গরম জল মিশিয়ে দুপুর ১২টার মধ্যে স্নান করবেন। প্রথম শুরু করবেন পা থেকে।