Othersউৎসবপড়াশোনাপূজা পদ্ধতিপূজার দিন ও তারিখ

হিন্দু ধর্মের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্র- প্রতি মহুর্তে কাজে আসবে

হিন্দু ধর্মের কতগুলি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্র শেয়ার করা হল। মন্ত্র গুলি প্রতিনিয়ত খুব কাজে লাগে। মন্ত্র পাঠ করলে শরীর ও মন দুই ভালো থাকে। চলুন মন্ত্র গুলি জেনে নেওয়া যাক।

গুরু প্রণাম মন্ত্র

“ওঁ অজ্ঞান তিমিরান্ধস্য জ্ঞানাঞ্জন শলাকয়া।
চক্ষুরুন্মিলিত যেন তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ ।।

শ্রীকৃষ্ণের প্রণাম মন্ত্র
“হে কৃষ্ণ করুণা সিন্ধু দীনবন্ধু জগৎপথে।
গোপেশ গোপীকা কান্ত রাধা কান্ত নমহস্তুতে ।।”

 শ্রী রাধারানী প্রণাম মন্ত্র
“তপ্ত কাঞ্চন গৌরাঙ্গীং রাধে বৃন্দাবনেশ্বরী।
বৃষভানু সূতে দেবী তাং প্রণমামি হরি প্রিয়ে।।”

 শ্রী পঞ্চতত্ত্ব প্রনাম মন্ত্র
“”পঞ্চতত্ত্ব আত্মকং কৃষ্ণং ভক্তরূপ স্বরূপকম্ ।
ভক্ত অবতারং ভক্তাখ্যাং নমামি ভক্ত শক্তিকম্ ৷৷””

 পঞ্চতত্ত্ব মহামন্ত্র
” জয় শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্যপ্রভু নিত্যানন্দ শ্রী অদৈত্ব গদাধর শ্রীবাসাদি গৌর ভক্ত বৃন্দ””

 হরিনাম মহামন্ত্র

“” হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে ।।

হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে ৷৷””

 শ্রী পিতার প্রনাম মন্ত্র

“পিতা স্বর্গ, পিতা ধর্ম, পিতাহি পরমং তপ।
পিতোরি প্রিতিমা পন্নে প্রিয়ন্তে সর্ব দেবতাঃ।। “”

শ্রীমাতার প্রনাম মন্ত্র
“মাতা জননী ধরিত্রী, দয়াদ্র হৃদয়া সতী।
দেবীভ্যো রমণী শ্রেষ্ঠা নির্দ্দোশা সর্ব দুঃখ হারা।।”

 শ্রী বৈষ্ণব প্রণাম মন্ত্র
“”বাঞ্ছাকল্প তরুভ্যশ্চ কৃপাসিন্ধুভ্য এব চ।
পতিতানাং পাবনেভ্যা বৈষ্ণবেভ্যে নমো নমঃ ।।””

 মহাপ্রভু গৌরাঙ্গের প্রণাম মন্ত্র
“নমো মহাবদান্যায় কৃষ্ণপ্রেম প্রদায় তে।
কৃষ্ণায় কৃষ্ণচৈতন্যানাম্নে গৌরত্বিষে নমঃ৷”

 তুলসী প্রণাম মন্ত্র
“”বৃন্দায়ৈ তুলসী দৈব্যে প্রিয়ায়ৈ কেশবস্য চ ।
কৃষ্ণ ভক্তি প্রদে দেবী সত্যবত্যৈঃ নমঃ নমঃ ।।””

 তুলসী জলদান মন্ত্র
“”গোবিন্দ বল্লভাং দেবী ভক্ত চৈতন্য কারিনী।
স্নাপযামি জগদ্ধাত্রীং কৃষ্ণভক্তি প্রদায়িনী।।””

 তুলসী পত্র চয়ন মন্ত্র
“”ওঁ তুলস্যমৃতজন্মাসি সদা ত্বং কেশবপ্রিয়া।
কেশবার্থে চিনোমি ত্বাং বরদা ভব শোভনে॥””

 তুলসীদেবীর কাছে ক্ষমা প্রর্থনা মন্ত্র
“”চয়নোদ্ভবদুঃখং চ যদ্ হৃদি তব বর্ততে।
তত্‍ ক্ষমস্ব জগন্মাতঃ বৃন্দাদেবী নমোহস্ততে॥””

গোবিন্দ প্রনাম মন্ত্র
“”ওম ব্রহ্মাণ্ড দেবায় গোব্রাহ্মণ হিতায় চঃ জগদ্ধিতায় শ্রীকৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমঃ॥””

 আচমন মন্ত্র
“”ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু।
ওঁ তদ্বিষ্ণু পরমং পদং সদাপশ্যান্তি সুরয়। দিবিব চহ্মুরাততম।””

গঙ্গা প্রনাম মন্ত্র
“‘”ওঁ সদ্যঃপাতকসংহন্ত্রী সদ্যোদুঃখবিনাশিনী।
সুখদা মোক্ষদা গঙ্গা গঙ্গৈব পরমা গতিঃ।।

 সূর্য প্রনাম মন্ত্র
“”ওঁ জবাকুসুম সঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিং।
ধ্বান্তারিং সর্ব পাপঘ্নং প্রণতোহস্মি দিবাকরম্।। “”

 গীতা পাঠে ভুলের ক্ষমা প্রর্থনা মন্ত্র
নমো যদক্ষরং মাত্রাহীনঞ্চ যদ্‌ ভবেৎ ।
পূর্ণং ভবতু ত্বং সর্বং ত্বং প্রসাদাৎ জনার্দ্দন ।।

 সরস্বতী দেবীর প্রনাম মন্ত্র
“”নমো সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে। বিশ্বরূপে বিশালাক্ষ্মী বিদ্যাংদেহি নমোহস্তুতে।””

 পুষ্প শুদ্ধিকরন মন্ত্র
“”ওঁ পুষ্পে পুষ্পে মহাপুষ্পে সুপুষ্পে পুষ্পসম্ভবে পুষ্পচয়াবকীর্নে চ হুং ফট স্বাহা।। “”

 একাদশী পারনা মন্ত্র
• ”একাদশ্যাং নিরাহারো ব্রতেনানেন কেশব।
প্রসীদ সুমুখ নাথ জ্ঞানদৃষ্টিপ্রদো ভব।।”

দেহ শুদ্ধি মন্ত্র
“পাপোহং পাপ কর্মাহং পাপাত্মা পাপ সম্ভাবান্ ।
ত্রাহি মাং পুন্ডরীকাক্ষং সর্ব পাপো হরো হরি ৷৷””

 শ্রীকৃষ্ণের চরনামৃত পান করার মন্ত্র
“ওঁ অকাল-মৃত্যু-হরণং সর্ব্ব ব্যাধি-বিনাশনং ।
কৃষ্ণ পাদোদকং পীত্বা শিরসা ধারয়াম্যহং ।।”

 শিবের প্রনাম মন্ত্র
“ওঁ নমঃ শিবায় শান্তায় কারণত্রয় হে তবে।
নিবেদয়ামি চাত্মানং ত্বং গতি পরমেশ্বর।”

 প্রসাদ সেবন মন্ত্র
“মহাপ্রসাদে গোবিন্দে নাম-ব্রহ্মেণি বৈষ্ণবে।
স্বল্প-পুণ্য বতাং রাজন্ বিশ্বাস নৈব জায়তে॥
শরীর অবিদ্যা-জাল, জড়েন্দ্রিয় তাহে কাল,
জীবে ফেলে বিষয়-সাগরে।
তা’র মধ্য জিহ্বা অতি, লোভময় সুদুর্মতি,
তা’কে জেতা কঠিন সংসারে॥
কৃষ্ণ বড় দয়াময়, করিবারে জিহ্বা জয়,
স্বপ্রসাদ-অন্ন দিলা ভাই।
সেই অন্নামৃত খাও, রাধাকৃষ্ণ গুণ গাও,
প্রেমে ডাক চৈতন্য-নিতাই ৷৷””

 জন্ম সংবাদ মন্ত্র
“আয়ুষ্মান ভব””( তিনবার)
 মৃত্যু সংবাদ মন্ত্র
“দিব্যান্ লোকান্ স গচ্ছতু”( পুরুষের ক্ষেত্রে)
“দিব্যান্ লোকান্ সা গচ্ছতু”( নারীর ক্ষেত্রে)

 নৃসিংহ প্রনাম মন্ত্র

জয় নৃসিংহ শ্রীনৃসিংহ
জয় জয় জয় শ্রীনৃসিংহ
উগ্রং বিরং মহাবিষ্ণুং
জলন্তং সর্বতোমুখং
নৃসিংহং বিষনং ভদ্রং
মৃত্যুর মৃত্যো নমাম্যহং
শ্রী নৃসিংহ জয় নৃসিংহ
জয় জয় নৃসিংহ
প্রহ্লাদেশ জয় পদ্ম
মুখো পদ্ম বৃংঙ্গম।।

 শ্রী রাম-সীতা প্রনাম মন্ত্র
“রামায় রাম-ভদ্রায় রামচন্দ্রায় মেধষে ।
রঘুনাথায় নাথায় সীতায়ৈ পতয়ে নমঃ।।

সবাইকে জানার জন্য অবশ্যই শেয়ার করবেন।

মন্ত্র পাঠের নিয়ম :

প্রতিদিন সকাল , দুপুর ও সন্ধ্যায় হাত , পা ও মুখ ধুয়ে পূর্বমুখী বা উত্তরমুখী হয়ে এক মনে মন্ত্র পাঠ করতে হয় । কোন কোন মন্ত্র ১০৮ বার পাঠ করতে হয় । কোন কোন মন্ত্র দশবার। একেকটি মন্ত্রে বেলায় একেক রকম।  কিছু কিছু মন্ত্র পাঠের পূর্বে জল গ্রহণও করতে নেই । 

মন্ত্র পাঠের ফল :

মন্ত্র পাঠ করলে মন , প্রাণ উদার ও সুন্দর হয় । আমরা উপলব্ধি করতে পারি যে , বিশ্বের সব কিছু ঈশ্বরের ভিন্ন ভিন্ন রূপ । মন্ত্র পাঠে সকলের মধ্যে একই ঈশ্বর বিদ্যমান , তিনি আমাদের বুদ্ধিমাতা , তার শরণ নিলে তিনি মায়া থেকে মুক্ত করেন – এ জ্ঞান লাভ হয় । 
ওঁ শান্তি ! ওঁ শান্তি ! ! ওঁ শান্তি ! ! !
এগুলিও পড়তে পারেন -

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button