প্রবন্ধ রচনাউৎসবপড়াশোনা

শিক্ষক দিবস – ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ, 5th September

শিক্ষক দিবস – ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ, Sarvepalli Radhakrishnan, কবে শিক্ষক দিবস পালন করা হয় – ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ এর জীবনী, Sir Sarvepalli Radhakrishnan, শিক্ষক দিবস প্রবন্ধ রচনা– ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ সম্পর্কে রচনা, Dr. Sarvepalli Radhakrishnan Birth Day, 5 September

শিক্ষক দিবস – ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণঃ

শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাঁদের অবদানকে স্মরণ করার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শিক্ষক দিবস’ পালিত হয়। এই দিবসটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন দিনে পালিত হয়ে থাকে। তবে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ৫ অক্টোবর তারিখে এই দিবসটি বিশ্ব শিক্ষক দিবস নামে পালিত হয়। ২০ শতকের গোড়ায় এই দিনটি পালন করার রীতি শুরু হয়। ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের জন্মদিন (৫ সেপ্টেম্বর, ১৮৮৮) উপলক্ষে ভারতে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস পালন করে থাকে। ২০১৬ সালের প্রতিপাদ্য ||শিক্ষকের মূল্যায়ন, মর্যাদার উন্নয়ন||

এটিও পড়ুন- সুকুমার রায় সম্পর্কে প্রবন্ধ রচনা – Sukumar Roy

ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ ৫ সেপ্টেম্বর ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে তামিলনাডুর তিরুট্টানিতে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে রাজনীতিবিদ, দার্শনিক ও অধ্যাপক ছিলেন। ছাত্রজীবনে অতি মেধাবী ছিলেন, জীবনে কোন পরীক্ষায় দ্বিতীয় হননি। বিভিন্ন বৃত্তির মাধ্যমে তার ছাত্র জীবন এগিয়ে চলে। ১৯০৫ সালে তিনি মাদ্রাজ খ্রিস্টান কলেজ থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তার বিষয়টি ছিল ‘বেদান্ত দর্শনের বিমূর্ত পূর্বকল্পনা’(The Ethics of the Vedanta and its Metaphysical Presuppositions)। তিনি science নিএ পরতে খুবি আগ্রহি ছিলেন কিন্তু দারিদ্র্যতার জন্য পরতে পারেননি।

বিশ্বের দরবারে তিনি অতি জনপ্রিয় দার্শনিক অধ্যাপক হিসাবেও পরিচিত ছিলেন। ১৯৩১ সালে তাঁকে British knighthood-এ সম্মানিত করা হয়। ১৯৫৪ তে ভারতরত্ন উপাধি পান।  

প্রথম জীবনে তিনি মাইসোর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা করেন (১৯১৮)। এসময় তিনি বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য পত্রিকায় লিখতেন। সে সময়েই তিনি লেখেন তাঁর প্রথম গ্রন্থ ‘The Philosophy of Rabindranath Tagore’। দ্বিতীয় গ্রন্থ ‘The Reign of Religion in Contemporary Philosophy’প্রকাশিত হয় ১৯২০সালে। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও অধ্যাপনা করেন। দেশ–বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বারবার অধ্যাপনার জন্য আমন্ত্রিত হয়েছেন। 

তিনি স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি (১৯৫২-১৯৬২) এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি(১৯৬২-৬৭) ছিলেন। 

রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তার গুণমুগ্ধ ছাত্র ও বন্ধুরা তাঁর জন্মদিন পালন করতে চাইলে তিনি বলেন ‘জন্মদিনের পরিবর্তে ৫ই সেপ্টেম্বর যদি শিক্ষক দিবস উদ্‌যাপিত হয় তবে আমি বিশেষরূপে অনুগ্রহ লাভ করবো।’ 

১৯৭৫-এর ১৭ এপ্রিল পরলোকের উদ্দেশে যাত্রা করেন রাধাকৃষ্ণন। তথ্য সুত্র – উইকিপিডিয়া

সেই (1962) থেকে এই দিনটি ভারতে শিক্ষক দিবসরূপে অনুষ্ঠিত হয়ে চলেছে।

তিনিই প্রথম ভারতীয়, যিনি Oxford বিশ্ববিদ্যালয়ে তথা বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন! He was a Professor of ‘Eastern Religion and Ethics’ at University of Oxford (1936–1952).

তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য বিখ্যাত বইগুলি হল

1.The philosophy of Rabindranath Tagore (1918), Macmillan, London, 294 pages
2.Indian Philosophy (1923) Vol.1, 738 pages. Vol 2, 807 pages. Oxford University Press.
3.The Hindu View of Life (1926), 92 pages
4.An Idealist View of Life (1929), 351 pages
5.Eastern Religions and Western Thought (1939), Oxford University Press, 396 pages
6.Religion and Society (1947), George Allen and Unwin Ltd., London, 242 pages
7.The Bhagavadgītā: with an introductory essay, Sanskrit text, English translation and notes (1948), 388 pages
8.The Dhammapada (1950), 194 pages, Oxford University Press
9.The Principal Upanishads (1953), 958 pages, HarperCollins Publishers Limited
10.Recovery of Faith (1956), 205 pages
11.A Source Book in Indian Philosophy (1957), 683 pages, Princeton University Press, with Charles A. Moore as co-editor.
Religion, Science & Culture (1968), 121 pages

সর্বমোট একুশটি দেশ ৫ অক্টোবর শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করে- আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বুলগেরিয়া, কানাডা, এস্তোনিয়া, জার্মানি, লিথুনিয়া, মেসিডোনিয়া, মালদ্বীপ, মরিশাস, প্রজাতন্ত্র মোল্দাভিয়া, নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, কুয়েত, কাতার, রোমানিয়া, রাশিয়া, সার্বিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং যুক্তরাজ্য।

এগারোটি দেশ ২৮ শে ফেব্রুয়ারি শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করে- মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, লিবিয়া, মিশর, জর্ডান, সৌদি আরব, ইয়েমেন, বাহরাইন, সুদান ও ওমান।

এগুলিও পড়তে পারেন -

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button