টিপসস্বাস্থ্য

বিভিন্ন রোগের টোটকা চিকিৎসা জেনে রাখলে কাজে আসবে

বিভিন্ন রোগের টোটকা চিকিৎসাঃ এই পোষ্টে বিভিন্ন রোগের টোটকা চিকিৎসা শেয়ার করা হল। হটাৎ কোন রোগ হলে ঐ সমস্ত টোটকা অবলম্বন করে তৎক্ষণাৎ আরাম পাওয়া যাবে। লজ্জাবতী গাছের গুণাগুণ নিয়ে এর আগের পোষ্টে আলোচনা করা হয়েছে চাইলে দেখে নিতে পারেন নিম্নে বিভিন্ন রোগের টোটকা চিকিৎসা আলোচনা করা হয়েছে।

বিভিন্ন রোগের টোটকা

ম্যালেরিয়া —চায়ের কাপের আধ কাপ শিউলি পাতার রস এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে খেতে হবে সকালে ও সন্ধ্যায় পর পর ১৫ দিন।

আমাশয় —একটি কাঁচাকলা বাকলা সহ ৩-৪ টুকরাে করে দু’কাপ জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে রাতের। পরদিন সকালে খালিপেটে ঐ জলটা খেতে হবে। ৭ দিনের আমাশয় হলে ১-২ দিন খেলেই ভালাে হবে। পুরানাে আমাশয় হলে ৫-৭ দিন খেতে হবে।

অর্শের —একটা জল পদ্ম পাতার অর্ধেক বেটে গরম ভাতের সঙ্গে খেলে অর্শের রক্ত পড়া বন্ধ হয়।

নালী ঘা —গাঁদাল পাতার রস আধ কাপ করে খেতে হবে রােজ একবার করে। ১ মাস খেতে হবে।

বাত – বড় এলাচের গুঁড়াে, আধ চামচ পরিমাণ মধু সহ খেতে হবে রােজ একবার করে ১ মাস।

আঘাত ও মচকা-  পাকুড় গাছের শেকড়ের ছাল বেটে গরম করে প্রলেপ দিলে কিছুক্ষণের মধ্যে আরাম হয়।

হাই প্রেসার – কলাগাছের থােড় থেতাে করে আধ কাপ রস খেতে হবে রােজ সকালে একবার করে ১৫ দিন।

পােড়া – পুরানাে তেঁতুল ভালাে করে জলে গুলে ঐ জল লাগালে ফোস্কা পড়ে না ও ঘা হয় না।

ব্রণ – ১০ গ্রাম সাদা সরযে এবং ১০ গ্রাম কাঁচা দুধ একত্রে বেটে মুখে মেখে রাখতে হবে অন্ততঃ আধ ঘন্টা। এরপর ভালাে করে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে রােজ একরার করে ১৫ দিন মাখতে হবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য -১ গ্রাস গরম জলে বা গরম দুধে ২ চামচ ইসবগুলের ভূষি এবং ১ চামচ চিনি মিশিয়ে খেতে হবে রাত্রে শােবার আগে। রােজ খাবার দরকার নেই। প্রয়ােজন হলে খেতে হবে।

ধাতু দুর্বলতায় – ৫০ গ্রাম মাসকলাই লিটার জলে সিদ্ধ করে ২৫০ গ্রাম হলে নামিয়ে নিতে হবে। ঐ জল ঠান্ডা হলে খেতে হবে রোজ সকালে টিফিনের পর। একবার করে ১ মাস।

সাদাস্রাব – 2 চামচ দুর্বার রস আধ গ্লাস চালধােয়া জলে মিশিয়ে খেতে হবে রােজ একবার করে সকালের টিফিনের পর। ১৫/২০ দিনের মধ্যে উপকার পাওয়া যায় ।

গ্যাস্ট্রাইটিস— জার্মানি লতার রস ১ চামচ এবং হেলকলমী লতার রস ১ চামচ একত্রে মিশিয়ে খেতে হবে রােজ সকালে খালি পেটে অন্ততঃ ১ মাস।

উকুন -১টি মতিহার তামাকপাতার চারভাগের একভাগ, আধ কাপ জলে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে। ঐ জল মাথায় মাখতে হবে স্নানের আধ ঘন্টা আগে। পর পর তিন চারদিন ব্যবহার করতে হবে।

ডায়াবেটিস – কালােজামের বিচি গঁড়ে করে ১ চামচ পরিমাণ খেতে হবে দিনে দুবার – করে ১ মাস অথবা নয়নতারা পাতার রস ৪ চামচ করে দিনে দুবার খেতে হবে ১ মাস।

টিউমার – চালতা পাতা বেটে প্রলেপ দিলে টিউমার ভালাে হয়। নিশিন্দা পাতা ও কচি কদমছাল চন্দনের মত তেল গরম করে প্রলেপ দিলেও টিউমার ভালাে হয়। পর পর কয়েকদিন দিতে হবে।

ঘামাচি – শঙ্খের গুঁড়াে মাখলে ঘামাচি মরে যায়। তেজপাতা বেটে গায়ে মেখে আধ ঘন্টা রেখে তারপর ভালাে করে গা রগড়ে স্নান করলে ঘামাচি মরে যায়, ঘাম কম হয়, গা পরিষ্কার থাকে।

চুল ওঠা – জবা ফুলের কুঁড়ি বেটে মাথায় মাখতে হবে। আধা ঘন্টা পর স্নান করতে হবে। এভাবে সপ্তাহে দু-দিন করে অন্ততঃ ১ মাস মাখতে হবে।

অম্ল বা অ্যাসিডযুক্ত কোষ্ঠবদ্ধতায় —রাত্রে ১ গ্লাস গরম জলে ৮ টুকরাে আমলকি, ৪ টুকরাে হরিতকী এবং ৪ টুকরাে বহেরা (ত্রিফলা) ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে ঐ জল ছেঁকে নিয়ে খেতে হবে খালি পেটে। রােজ একবার করে ১ মাস। কাচের গ্লাস প্রয়ােজন।

পাতলা পায়খানা – আধ কাপ পাথরকুচি পাতার রস ও একটু লবন মিশিয়ে দু’দিন খেতে হবে দিনে দু’তিন বার।

পেট ফাঁপা – ৫ গ্রাম জোয়ান ও ২ গ্রাম সৈন্ধব লবন একত্রে গুঁড়াে করে গরম জল সহ খেলে পেট ফাঁপা আরােগ্য হয়। প্রচন্ড পেট ব্যথাও আরােগ্য হয়।

শিশুদের পেটের রোগে অব্যর্থ ঔষধ —৫০ গ্রাম জিরা, ৫০ গ্রাম জায়ফল, ৫০ গ্রাম। মৌরী এবং ৫০ গ্রাম বড় এলাচের শুকনাে খােসা ভালাে করে চূর্ণ করে কালমেঘের রসে ভিজিয়ে ছােট ছােট বড়ি তৈরী করে রােদে শুকিয়ে নিতে হবে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১টি বড়ি ১ চামচ মধুসহ মাড়িয়া শিশুদের খাওয়ালে কোষ্ঠবদ্ধতা, কৃমি, লিভার, বিবর্ণতা, কুষ্ঠ রোগ, খােস-পাঁচড়ার উপকার হয়। সুস্থ শিশুকে খাওয়ালে শিশুর স্বাস্থ্য ভালাে থাকে এবং শিশু মারাত্মক রোগের হাত থেকে রক্ষা পায়।

রক্ত আমাশয় – ২০ গ্রাম মত তেলাকুচা পাতার রস এবং ৫ গ্রাম মিছরী একত্রে খেতে হবে সকালে খালি পেটে পর পর ২/৩ দিন।

দাঁতে পােকায় – বকুল গাছের ছাল অথবা পেয়ারা গাছের ছাল ১০০ গ্রাম নিয়ে ৫০০ গ্রাম জলে সিদ্ধ করে ১২৫ গ্রাম হলে নামিয়ে নিতে হবে। ঐ জল দিয়ে দিমে দু’বার করে কুলকুচি করলে দাঁতের রোগে উপকার হয়। ২/৩ দিন করতে হবে।

টাকপাকা – একা অনেকের ধারণা মাথার চুলগুলি তেলাপােকায় কেটেছে। তাই ঐ জায়গাটা মসৃন হয়েছে। এ ধারণাটা ভুল। ওটা ফাংগাস ইনফেকশন। ডাক্তারী পরিভাষায় একে বলে এলোপেসিয়া এরিয়েটা। জবাফুল অথবা ধুতরা পাতা বেটে আক্রান্ত জায়গায় একদিন পর একদিন লাগালে পুনরায় চুল উঠবে।

হাঁপানি —তিন থেকে চার কোয়া রসুন, খােসা ছাড়িয়ে রাতে টক দই মেখে রাখুন। সকালবেলা জলখাবার খাওয়ার পর উক্ত দই সহ রসুন ভালাে করে বেটে ১ কাপ গরম দুধে দিয়ে খান, ১ মাস।

হাড়কাটা/কড়া –  ৪/৫ কোয়া রসুন থেতাে করে কড়ার জায়গায় দিয়ে একটা ন্যাকড়া দিয়ে বেঁধে রাখুন রাতে। সকালে খুলে ফেলুন। ৭ দিন।

হঠাৎ বমি —১ চামচ পেঁয়াজের রস খেতে হবে। ১০ মিনিটে না কমলে আরও ১ চামচ।

অনিয়মিত মাসিক -৩ গ্রাম পরিমাণ জোয়ান গুড়াে গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে দিনে দু’বার খেলে বন্ধ মাসিক নিয়মিত হয়।

অথবাঃ ৮০ গ্রাম নিমছাল কুচিকুচি করে কেটে ৪০ গ্রাম গুড় মিশিয়ে জলে ফুটিয়ে অর্ধেক পরিমাণ করে গরম গরম তাবস্থায় পাঁচ দিন খেলে ঋতুস্রাব নিয়মিত হয়।

শ্বাসকষ্ট –  ধুতরা পাতা শুকিয়ে গুঁড়াে করে রাখুন। হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে ঐ গুঁড়াে পুড়িয়ে ধােয়া নাক মুখ দিয়ে টানলে অথবা বিড়ির মত করে খেলে শ্বাসকষ্টে উপকার পাওয়া যায়।

এগুলিও পড়ুন

ট্যাগঃ জেনে নিন বিভিন্ন রোগের টোটকা, বিভিন্ন রোগের টোটকা টিপস, না জানলে জেনে নিন বিভিন্ন রোগের টোটকা, বিভিন্ন রোগের টোটকা PDF

এগুলিও পড়তে পারেন -

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button