হাঁপানি রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা, হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায়? Asthma
এজমার আধুনিক চিকিৎসা, ঘরোয়া টোটকায় দূরে রাখুন হাঁপানি সমস্যা, এ্যাজমা কি? হাঁপানির কারন প্রতিকার

হাঁপানি কিঃ হাঁপানি একটি শ্বাসকষ্ট সম্বলিত রোগ। কার্যতঃ এটি শ্বাসনালীর অসুখ। হাঁপানি মূলত শ্বাস নালীর প্রদাহ জনিত এক ধরনের রোগ। এর ইংরেজি নাম অ্যাজমা যা এসেছে গ্রিক শব্দ Asthma থেকে। বাংলায় হাঁপানি। যার অর্থ হাঁপান বা হাঁ-করে শ্বাস নেয়া। হাঁপানি বলতে আমরা বুঝি শ্বাসপথে বায়ু চলাচলে বাধা সৃষ্টির জন্য শ্বাসকষ্ট । সারা বিশ্বের প্রায় ১৫ কোটিরও বেশি মানুষ আ্যাজমা বা হাঁপানীতে আক্রান্ত হন। বাংলাদেশে প্রতি বছর ৫০ হাজার লোক এই রোগে আক্রান্ত হয় এবং মাত্র পাঁচ শাতংশ রোগী চিকিৎসা লাভ করে। তবে সাময়িকভাবে শ্বাস কষ্ট হলেই যে হাঁপানি তা মনে করার কোন কারন নেই। হাঁপানিকে স্থায়ীভাবে নিরাময় করা অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে অসম্ভব হলেও একজন সুদক্ষ হোমিও চিকিৎসকের পক্ষে অসম্ভব নয়। হাঁপানির নাম (bronchial asthma, 1271allergic asthma, Infantile 2857asthma, exercise- induced asthma, Bronchitis) যা-ই হোক না কেন, ঔষধ খেতে হবে লক্ষণ অনুসারে।
হাঁপানির প্রকার ভেদ (Classification) :
হাঁপানি রোগকে দুই ভাবে ভাগ করা হয়েছে এক) ক্রনিক হাঁপানি (Chronic Asthma) দুই) হাঁপানি (Acute severe Asthma)। নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
ক্রনিক হাঁপানি (Chronic Asthma) : এটা এপিসোডিক হাঁপানি যা বছরের পর বছর রোগীকষ্ট পায়। কিন্তু ভালো সময়ে কিছু পরিমাণ শ্বাস কষ্ট থাকে । কাশি মিউকাস মিশ্রিত থুথু এবং বার বার শ্বাসতন্ত্রের সংক্রামণ দেখা যায় । যখন রোগের অন্য লক্ষণ থাকে না তখনও Bronchi দেখা যায় ।হঠাৎ মারাত্মক আকার ধারন করে।
হাঁপানি (Acute severe Asthma) : এ ধরনের খুবই মারাত্মক । এই হাঁপানি থেকে রোগীর মৃত্যু ঘটতে পারে ।
Asthma ( হাঁপানি ) – রোগের কারনঃ
হাঁপানির রোগের সুুনিদিষ্ট কোন কারণ এখনো জানা যায়নি। এ রোগের জন্য কোনো কিছুকে এককভাবে দায়ী করা যায় না।
১. বংশগত কারণে বা পরিবেশগত কারণে।
২. শ্বাসনালি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হওয়ার কারনে।
৩. এলার্জি জনিত কারনে।
৪. শ্বাস তন্তে সংক্রমনের কারনে।
৫. শ্বাস প্রশ্বাসের রাস্তা সরু হওয়ার কারনে।
Asthma ( হাঁপানি ) -রোগের লক্ষণঃ
১. শ্বাস ফেলার সময় খুব ব্যাথা ও কষ্ট অনুভব করে।
২. ঘন ঘন কাশি এবং বুকের ভেতর সাঁই সাঁই শব্দ হয়।
৩. হঠাৎ আক্রান্ত হয়ে দম বন্ধ হওয়ার মত অবস্থা হয়।
৪. শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ এ ফেলার কাজ দূরে থেকেও বোঝা যায়।
৫. মাঝে মাঝে জ্বর হয়। জ্বর হলে শ্বাস-কষ্ট বৃদ্ধি পায়।
৬. রোগীর কাশি থাকে,তবে কফ সহজে বের হয় না।
৭. ঘুমের ঘোরে এই রোগ শুরু হলে রোগী হঠাৎ উঠে বসে এবং অত্যন্ত শ্বাসকষ্ট অনুভব করে।
৮. পরিপূর্ণ ভাবে শ্বাস ছাড়তে পারে না।
৯. শ্বাস টানতে বললে পাঁজরের মাংসপেশি ও গলার গোড়ার মাংসপেশী নিচের দিকে যায় এবং নিঃশ্বাস ছাড়বার সময় আবার উঁচু হয়ে যায়।
Asthma ( হাঁপানি ) – রোগের প্রতিকার ও পরামর্শঃ
১. ঠান্ডা বাতাস লাগাবেন না।
২. শীতল প্রকৃতি ও টক জাতীয় খাদ্য পরিহার করুন।
Source: Internet