
অনুচ্ছেদ সমূহ
আমরা যারা সেমাই খেতে ভালো বাশি তাদের জন্য লাচ্ছা সেমাই রান্না করার রেসিপি শেয়ার করা হল। অন্যন্য রেসিপির থেকে খুব সহজে লাচ্ছা সেমাই রান্না করা যায়। নীচে লাচ্ছা সেমাই রান্না করার রেসিপি শেয়ার করা হল।
সেমাই কীঃ সেমাই একটি মিষ্টান্ন জাতীয় খাদ্য। নুডলস্-এর মত অতি চিকন আটার ফালিকে দুধ, চিনি এবং গরম মশলা ও কিসমিস সহকারে রান্না করা হয়। বাংলাদেশে এটি খুবই জনপ্রিয় খাবার, বিশেষ করে ঈদুল ফিতর উৎসবের এটি একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এবং বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে কোথাও কোথাও এই উৎসব সেমাই ঈদ নামেও পরিচিত।
লাচ্ছা সেমাই রান্না করার রেসিপি
লাচ্ছা সেমাই রান্না: সাধারণ লাচ্ছা সেমাইকেই করে তুলুন অসাধারণ স্বাদের। চোখের পলকে সহজে তৈরি করা যায় বলে সকলের কাছেই ভীষণ জনপ্রিয় এই লাচ্ছা সেমাই। কীভাবে রাঁধেন লাচ্ছা সেমাই? প্যাকেটজাত এই খাবারটির স্বাদ রান্নার পর কমবেশি সকলেরই একই রকম হয়। আচ্ছা, এমন একটি রেসিপি জানতে চান যাতে আপনার সাদামাটা লাচ্ছা সেমাইটাই হয়ে উঠবে এক দারুণ বিশেষ কিছু? তাহলে আর দেরি কেন দেখে নিন এই মাজাদার রান্না রেসিপি।
এগুলিও পড়ুন –
লাচ্ছা সেমাই রান্নার উপকরন:
- লাচ্ছা সেমাই ( ভালো কোয়ালিটির ) ,
- চিনি,
- দুধ,
- কাজু বাদাম,
- কাঠ বাদাম,
- চিনা বাদাম,
- কিছমিছ,
- করানো নারকেল এবং নারকেল কুচি।
লাচ্ছা সেমাই রান্নার প্রণালী:
প্রথমে প্যানের মধ্যে (করাই এর মধ্যে) একে একে কুচি করা নারকেল ও চিনা বাদাম গুলো হালকা আচে তেল ছাড়া ভেজে নিন। এবার আবার প্যানে দুধ ৫০০ গ্রাম ঢেলে দিন ও হাভ কাপ চিনি দিয়ে হালকা আঁচে দুধ গরম করে নিন। এবং চামুচ দিয়ে নারাতে থাকুন, যেন দুধের সঙ্গে চিনি ভালো ভাবে গুলে যায়। এবার দুধ গুলো ভোলক দিলে নামিয়ে নিন ও ঠান্ডা করতে দিন।
অপর দিকে লাচ্ছা সেমাই গুলো হাত দিয়ে ভেঙ্গে নিন, লক্ষ্য রাখবেন সেমাই যাতে গুড়ো নায় হয়। তারপর একটা বাটিতে লাচ্ছা সেমাই নিন তার উপরে কুচি করা ভাজা নারকেল দিন ও করানো নারকেল দিন একে একে। এরপর কিছমিছ দিয়ে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে নিন বাটিটা। সাজানো হয়ে গেলে হালকা গরম দুধ ঢেলে দিন সেমায়ের বাটিতে এবং হাতা দিয়ে চেপে চেপে নিন। এবনার সেমাই গুলো ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। ৬-৭ মিনিট পর উনুন থেকে নামিয়ে ঢাকনা খুলে নিন এবং অন্য একটা প্লেটে বাটি থেকে সেমাই ঢেলে নিন। সবশেষে- সেমাই গুলো সাজিয়ে নিন ভাজা নারকেল কুচি, করানো নারকেল, কাজু বাদাম, কাঠ বাদাম, চিনা বাদাম, কিছমিছ দিয়ে ও পরিবেশন করুন।
রেসিপি পাঠিয়েছেন- নবনীতা সাহা, কুশমণ্ডি, দক্ষিণ দিনাজপুর।।
One Comment