প্রয়োজনে যে মরিতে প্রস্তুত… ভাবস্মপ্রসারন 300 শব্দের মধ্যে
প্রয়োজনে যে মরিতে প্রস্তুত, বাঁচিবার অধিকার তাহারই।

প্রয়োজনে যে মরিতে প্রস্তুত মূলকথা – জীব মাত্রই মরণশীল। চিরকাল কেহই বেঁচে থাকতে পারেনা। এই মানসিকতা নিয়ে যারা মন প্রাণ দিয়ে কাজ করে থাকে, সর্বদা যে মরিতে প্রস্তুত, মৃতুকে কক্ষনও ভয় পায় না তারাই আসল বিজয়ী, তাদেরই বাঁচার অধিকার আছে।
প্রয়োজনে যে মরিতে প্রস্তুত, বাঁচিবার অধিকার তাহারই।
ভাব-সম্প্রসারণ : বীরভোগ্যা বসুন্ধরা। কারণ এ-পৃথিবী বীরের সেবায় আকছার উন্মুক্ত হইয়া থাকে। মানবমাত্রই জন্মমৃত্যুর অধীন। কিন্তু সে সংসার রণাঙ্গণে কর্মকীর্তির নেশায় এতই প্রমত্ত হইয়া থাকে যে, মৃত্যুর কথাটাও বেমালুম বিস্তৃত হয়। সে জানে যে মরণ তো একদিন হইবেই, কাজেই ও বিষয়ে চিন্তা ভাবনায় ফায়দা কী? সে কাজের নেশায় ডুবিয়া থাকে। অন্য কোন দিকে দৃকপাত করিবার সুযোগ হয় না।
একদিন সত্য সত্যই মরণ-আসিয়া তাহার দ্বারে দণ্ডায়মান হয়; তখন সে সুদৃঢ়ভাবে সংসারকে আঁকড়াইয়া ধরে স্ত্রী-পুত্র-কন্যাকে আঁকড়াইয়া ধরে। উহাদিগকে ছাড়িয়া যাইতে মন চায় না। মরণ তাহাকে এক সময় ছোবল দিয়া ছিনাইয়া লইয়া যায়। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি সত্যসন্ধ, বীর যাহার মরণে কোন ভয় নাই, দেশের ডাকে, সত্যর কার উদ্দেশ্যে মৃত্যুকে হাসিমুখে আলিঙ্গণ করিতে *বিন্দুমাত্র কুণ্ঠাবোধ করে না। মরণ তাহাকে স্পর্শ করিতে লজ্জাবোধ করে এবং তাঁহাকে ত্যাগ করিযা দূরে গিয়া অবস্থান গ্রহণ করে। দেশের প্রয়োজনে, সমাজের ডাকে এই বীরপুরুষ মরিতে প্রস্তুত হইয়াছিল বলিয়া মরণলজ্জা পায় ও বীর পুঙ্গব আরো অনেককাল বাঁচিয়া থাকিবার অধিকার পায়। আর যদি সত্যের খাতিরে সে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করিয়াও থাকে তাহা হইলে মৃত্যুর পরও তার কর্মকীর্তি ও আত্মত্যাগের কারণে সে এই নরলোকে চিরস্মরণীয় হইয়া থাকিবে।
source: Kalpana Kumari, Siliguri
এটিও জেনে নিন –শ্বাসতন্ত্রের রোগ সম্পর্কিত তথ্য । শ্বাসতন্ত্রের প্রধান কয়েকটি রোগ