NewsOthersউৎসবজানা অজানাসেরা খবর

রাম মন্দির, কীরূপ হবে ভগবান রামের মন্দির, অযোধ্যা বিস্তারিত

রাম মন্দির, কীরূপ হবে ভগবান রামের মন্দির, অযোধ্যাঃ  রাম (राम) হলেন হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর সপ্তম অবতার। হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলিতে তাকে অযোধ্যার রাজা বলা হয়েছে। বিষ্ণুর সপ্তম অবতার রাম হিন্দুধর্মে তিনি একজন জনপ্রিয় দেবতা। রাম বিষ্ণুর অবতার হলেও তিনি মূলত শিব-এর আরাধনা করতেন। ভারত এবং নেপাল ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার বহু দেশে রাম এর পূজা প্রচলিত আছে। রাম সূর্যবংশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। রামের একটি বিশেষ মূর্তিতে তার পাশে তার ভাই লক্ষ্মণ, স্ত্রী সীতা ও ভক্ত হনুমানকে দেখা যায়। এই মূর্তিকে বলা হয় “রাম পরিবার”। হিন্দু মন্দিরে এই “রাম পরিবার” মূর্তির পূজাই বেশি হতে দেখা যায়।। রামনবমী তিথিতে ভগবান রামচন্দ্রের জন্ম-উৎসব পালন করা হয়। এটিও পড়ুন – পশ্চিমবঙ্গের প্রধান প্রধান উৎসব এবং কোথায় পালন হয়

রামের জন্মস্থান হল ভারতের অযোধ্যা শহর। সেখানে “রামলালা” বা শিশু রামের মূর্তিও পূজা হয়। রাম-সংক্রান্ত পৌরাণিক কাহিনির প্রধান উৎস হল ভারতীয় মহাকাব্য রামায়ণ।

অযোধ্যার রাজা দশরথ ও তার প্রধান স্ত্রী কৌশল্যার জ্যেষ্ঠপুত্র হলেন রাম। হিন্দুরা রামকে বলেন “মর্যাদা পুরুষোত্তম” (অর্থাৎ, “শ্রেষ্ঠ পুরুষ” বা “আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিপতি” বা “গুণাধীশ”)। তিনি সীতার স্বামী। সীতাকে হিন্দুরা লক্ষ্মীর অবতার মনে করেন। হিন্দুদের দৃষ্টিতে তিনি নারীর আদর্শ।

রাম মন্দির, কীরূপ হবে ভগবান রামের মন্দির, অযোধ্যা বিস্তারিত

রাম নামের অর্থ

রাম সব অর্থবন হল- ভাগ্যবান, আনন্দদায়ক, উপযুক্ত, সৃ, বন্ধুত্বপূর্ণ, মনোযোগী, গুরুতর, অস্থির, সক্রিয়, আধুনিক, উদার, স্বাভাবিক

মুল নাম  Rama > হিন্দুধর্ম ( হিন্দু ধর্ম থেকে এসেছে)  রাম > হিন্দি ( থেকে  হিন্দি থেকে এসেছে )

Ram নামের অর্থ : “সুখী”, “আনন্দিত”।

Ram এর বাংলা অর্থ : “সুখী”, “আনন্দিত

ভগবান রামের জম্নস্থান কোথায়ঃ

অযোধ্যা ভারতের কোথায় অবস্থিতঃ

অযোধ্যাअयोध्या,  Ayodhyā), যা সাকেত নামেও পরিচিত (সংস্কৃত: साकेत), একটি প্রাচীন ভারতীয় শহর, অযোধ্যা। যে শহরটা হল রাম জন্মভূমি। এটি ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের ফৈজাবাদ জেলায় অবস্থিত। শহরটির আয়তন  মোট ১০.২৪ বর্গকিমি (৩.৯৫ বর্গমাইল) এবং এখানকার স্থানীয় ভাষা দাপ্তরিক হিন্দি উর্দু উর্দু ।

রাম মন্দিরের শিলান্যাস:

5 ই আগস্ট, ২০২০ (২০ শ্রাবণ ১৪২৭, বুধবার) রাম মন্দিরের শিলান্যাস হয়। শিলান্যাস করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী।  এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেল এবং সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত৪০ কোজি ওজনের রূপোর ইট দিয়ে মন্দিরের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মহন্ত নৃত্যগোপাল দাস সেটি দান করেছেন। এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আরও রূপোর ইট এসে পোঁছেছে।

কেমন হবে রাম মন্দিরঃ

রাম মন্দির গড়ে উঠবে ৩৬০ ফুট দীর্ঘ,  ২৩৫ ফুট প্রস্থ জায়গা এবং ১৬১ ফুট উচ্চতা নিয়ে। ত্রিতল মন্দিরে থাকবে ৫ টি মণ্ডপ। মন্দিরে প্রবেশের পড়েই রঙ্গমঞ্চ যেটা হবে ৭৬ ফুট। তারপরে হবে নৃত্য মণ্ডপ (৫৬ ফুট) আরও এগোলে গূঢ় মণ্ডপ (৯৮ ফুট)। তার দুপাশে প্রার্থনা ও কীর্তন মণ্ডপ।  একতলার একেবারে শেষে গর্ভগৃহ সেখানেই থাকবে রামলালার মূর্তি। ১০ একরে তৈরি মন্দিরে স্তম্ভ থাকবে ৩৬০ টি।

যেরকম হবে বর্তমান রাম মন্দির 

মন্দিরের ভিতরের নকসা

ছবি- news18.com

কোথায় ভগবান রামকে কী নামে ডাকা হয়

Rama  (হিন্দুধর্ম)

রাম Rama
হিন্দি

মারাঠি, বাংলা, তামিল, তেলেগু, মালয়েশিয়ার, কন্নড়, নেপালী

তেলেগু, তামিল, কন্নড়, মালয়েশিয়ার

রাম মন্দির, অযোধ্যা

রাম জন্মভূমি মন্দির একটি হিন্দু মন্দির, যা ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের অযোধ্যার রাম জন্মভূমি তীর্থস্থানটিতে নির্মিত হচ্ছে। মন্দিরটি রাম জন্মভূমির পবিত্র স্থানের দাঁড়িয়ে থাকবে; হিন্দুরা স্থানটিকে রামের জন্মস্থান হিসাবে বিশ্বাস করে। এটির নির্মাণকাজ শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র দ্বারা পরিচালিত হবে।

কতদিনে তৈরি হবে রাম মন্দির

আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে অযোধ্যার রাম মন্দির তৈরির কাজ শেষ হবে। এবং ২০২৪ সালে হোলির দিন দর্শনার্থীদের জন্য মন্দির খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।মাত্র ৪২ মাসের মধ্যে মন্দির নির্মাণ শেষ করতে চায় রামমন্দির ট্রাস্ট।এটি হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মন্দিরের চূড়ান্ত নকশা তৈরি। যেভাবে মন্দির তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে তার জন্য প্রয়োজন বিশেষ ধরনের নির্মাণে দক্ষ কারিগর৷ গুজরাত ও রাজস্থানের ২৫০ কারিগরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ তাঁদের হাতেই তৈরি হবে মন্দির ৷

রাম নবমী কেন পালন করা হয়?

রাম নবমী ( राम नवमी;  Rāma navamī) দেবতা রামের জন্মগ্রহণ উদযাপন হিসেবে পালন করা হয়। রাম, বিষ্ণুর সপ্তম অবতার, ভগবান বিষ্ণুর মানবীয় রূপের প্রাচীনতম অবতার। এই পবিত্র দিন শুক্লপক্ষের নবম দিনে পড়ে, হিন্দু পঞ্জিকার চৈত্র মাসের নবম দিন। চৈত্রের নয় দিনে বসন্তের নবরাত্রী পালন করা হয়। রাম নবমী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু উত্সবের মধ্যে একটি।

এটিও পড়ুন – 2021 রাম নবমী সময় নির্ঘণ্ট ও ক্যালেন্ডার – Ram Nabami Date Time

কীভাবে যাবেন অযোধ্যা

অযোধ্যা জংশন শহরের প্রধান রেলওয়ে স্টেশন। লখনৌ – বারাণসী থেকে আগত দ্রুতগামী ট্রেন এখানে দাঁড়ায়।

ফৈজাবাদ এর নিকটতম বিমানবন্দর হ’ল লখনউ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এছাড়া গোরক্ষপুর, এলাহাবাদ, এবং বারাণসী বিমানবন্দর থেকে ও অযোধ্যা যাওয়া যায়।

ফৈজাবাদ এবং অযোধ্যা শহর প্রায় সমস্ত বড় শহরগুলির সাথে সুসংযুক্ত। রেলপথে ফাইজাবাদ 128 কিমি। লখনউ থেকে, 171 কিমি। গোরখপুর থেকে, ১৫7 কিমি। এলাহাবাদ থেকে, এবং বারাণসী থেকে 196 কিলোমিটার দূরে। রেলপথে অযোধ্যা 135 কিলোমিটার। লখনউ থেকে, ১4৪ কিমি। গোরখপুর থেকে, ১4৪ কিমি। এলাহাবাদ থেকে এবং বারাণসী থেকে 189 কিলোমিটার দূরে।

ট্যাগঃ

রাম লক্ষণ, রাম রাবণের যুদ্ধ, রাম রাম, রামের জন্ম কাহিনী, রামের বনবাস, রামের বংশ তালিকা, অযোধ্যা রাম মন্দির ইতিহাস, রাম মন্দির কা সমাচার, রাম মন্দির গান, রাম মন্দির ভজন, রাম মন্দির নির্মাণ, রাম মন্দির ও বাবরি মসজিদ ভোট, রাম মন্দির কা ফটো, রাম মন্দিরের নকশা

এগুলিও পড়তে পারেন -

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button