রিসেপিরান্নাঘর

পায়েস রান্নার রেসিপি সঠিক পদ্ধতি, Latest

পায়েস রান্নার রেসিপি: কম বেশি সকলেই পায়েশ পছন্দ করি। বিশেষ করে বাড়ীর শিশুরা পায়েস সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে। আর কারো জন্ম দিন হলে তো কোন কথায় নেই, পায়েস থাকবেই। আজ এমনি রান্নার রেসেপি নিয়ে হাজির হলাম পায়েস রান্না নিয়ে।

পায়েস রান্নার রেসিপি

শিশুদের যে কখন কি খেতে ইচ্ছা হয় কে জানে? কখন ও কখনও গতকাল খেলে সারা মাসেও সে হয়তো আর খাবার ইচ্ছা দেখায় না। আবার কখনও গতকাল সে ঐ খাবার খেয়ে আজও বলতে পারে, আমি এটা খাব। শিশুরা কোন খাবার খেতে চাইলে, না বানিয়ে দিতে পারলে মায়ের মন শান্তি পায় না। অন্য সব কিছু  দিয়ে বা অন্য খাবার দিয়ে শিশুর মন ভুলানোর চেষ্টা করলেও তার চাওয়া খাবার না খাওয়ালে মনে একটা কেমন যেন খটকা লেগে থাকে।

এটিও পড়ুন – দই বানানোর সহজ উপায় মিষ্টি/ টক, Latest Tips

চলুন বন্ধুরা, পায়েস রান্না দেখে ফেলি। চমৎকার এই মিষ্টান্ন আপনিও রান্না করে মাঝে মাঝে আপনার শিশুদের, বয়স্ক সহ বাড়ীর সকলের দিতে পারেন। আশা করি সকলের ভাল লাগবে। পায়েস রান্না করা খুব সহজ। আগেই একটি কথা বলে রাখি, এই রান্না শুরু করে, এক মিনিটের জন্যও উনুন ছেড়ে কোথায়ও যেতে পারবেন না, মানে যাওয়া উচিত হবে না!

পায়েস রান্নার প্রয়োজনীয় উপকরনঃ

  • বাসমতী বা পোলাউ চালঃ এক বা দেড় কাপ (ভালো কোন সুগন্ধি চাল হলে বেশি ভাল হয়)
  • দুধঃ এক লিটার (হাফ লিটারের কিছু বেশী হতে পারে, আপনি ইচ্ছা করলে আরো বেশী দুধ নিয়ে জ্বাল দিয়ে কমিয়ে নিতে পারেন)।
  • চিনিঃ আপনার পছন্দ মতো (বেশি না দেয়াই ভালো)।
  • দারুচিনিঃ কয়েক টুকরা (না থাকলে নাই)
  • এলাচঃ কয়েকটা (পরিমাণ মতো)।
  • কিসমিসঃ কয়েকটা (পরিমাণ মতো)।

*** পরিবেশনের সময় আপনি চাইলে কিছু কাজু বাদাম ভেঙ্গে বা কেটে পায়েসের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারেন।

পায়েস রান্নার প্রনালীঃ

একটি পাত্রে দুধ নিয়ে গরম করুন এবং কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে গাঢ় করে নিন। কয়েকটা এলাচ দিয়ে দিতে পারেন। ( দারুচিনি দিতেও পারেন না ও দিতে পারেন) দুধ গাঢ় হয়ে গেলে, জলে ভিজিয়ে রাখা চাল ছেঁকে দিয়ে দিন। চাল নরম হয়ে এলে ঘুটনী দিয়ে আস্তে আস্তে ঘুটে দিন, সব চাল না ভাঙলে চলবে, তবে বেশীর ভাগ চাল ভেঙ্গে এবং গলে যাবেই। মধ্যম আঁচে আগুন জ্বলবে এবং আপনাকে নাড়াতে হবে। চাল নরম হয়ে এলে পরিমান মত চিনি দিন। আগুন চলুক মধ্যম আঁচে। আপনি নাড়াতে থাকুন। ধীরে ধীরে কিছুটা গাঢ় হয়ে যাবে। এবার কিছু কিসমিস দিয়ে দিন। এবং আস্তে আস্তে নাড়ান। এমন একটা বুঁদ বুঁদ অবস্থায় এসে যাবে এবং চাল দুধ মিলে মিশে একাকার হয়ে যাবে। ব্যাস গরম থাকাবস্থায় বাটিতে ঢেলে নিন। হয়ে গেল আপনার পছন্দের পায়েস। পায়েস ঠান্ডা কিংবা হালকা গরম, যে কোন ভাবেই পরিবেশন করতে পারেন। দুই অবস্থার দুই রকম খেতে মজা।

** চিনির বদলে আপনি খেজুরের গুড় বা আঁখের গুড় ব্যবহার করতে পারেন। যেকোন গুড়ের পায়েস ও খেতে খুবই মজাদার। তবে সেক্ষেত্রে পায়েসের রং এবং স্বাদ একটু ভিন্ন হয়ে যাবে।

ট্যাগঃ পায়েস রান্নার রেসিপি, জেনে নিন পায়েস রান্নার রেসিপি, সঠিক নিয়মে পায়েস রান্নার রেসিপি, পায়েস রান্নার রেসিপি টিপস, পায়েস রান্নার রেসিপি বই।

এগুলিও পড়তে পারেন -

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button