চরিত্রই বল ভাব সম্প্রসারণ 300 শব্দের মধ্যে

চরিত্রই বল একথায় চরিত্র মানুষের অমূল্য সম্পদ। একে অর্থ দিয়ে কেনা যায় না। চরিত্র একবার হারিয়ে গেলে তা আর ফিরে পাওয়া যায় না। মানুষকে চেনা যায় তার ব্যক্তিত্বের গুণে, মনুষ্যত্ব বােধের দীপ্তির জন্য। আর এইসবের যােগফল হইল চরিত্র। নিম্নে চরিত্রই বল ভাব সম্প্রসারণ শেয়ার করা হল। আশা করি বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় “চরিত্রই বল অথবা চরিত্র জীবনের অমূল্য সম্পদ অথবা, চরিত্রই মানুষের পরিচয়।” এই ভাব সম্প্রসারণটি কাজে আসবে।
চরিত্রই বল
মুলভাবঃ চরিত্রই বল অথবা চরিত্র জীবনের অমূল্য সম্পদ অথবা, চরিত্রই মানুষের পরিচয়।
ভাব-সম্প্রসারণঃ চরিত্র মানে কাজে-কর্মে, কথায়-চিন্তায় একটি পবিত্র ভাব। মানুষের যত প্রকার অলংকার আছে তন্মধ্যে চরিত্র প্রধান। চরিত্র’ বলিলে কেবল যে শুধু সচ্চরিত্রকে বুঝায় তা নয়, কোন মানুষের ব্যক্তিত্ব, সততা, নিয়মানুবর্তিতা, নীতিবােধ, ন্যায়পরায়ণতা এসবও বোঝায়। এ-সবের মিলিত উপাদানগুলি থাকলে সমাজে সেই ব্যক্তি আদর্শ চরিত্রের মানুষ বলে পরিচিত হবেন। চরিত্রবান সত্যসন্ধ ও জিতেন্দ্রিয় হবেন।
ছেলেবেলা হতে কঠোর নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে লালিত, হওয়ার কারণে দরিদ্র বালক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর উত্তরকালে মানুষের মত মানুষ হয়েছিলেন। তাহার মূলে ছিল উনার নির্মল চরিত্র। অর্থ নয়, পদমর্যাদা নয়, ক্ষমতা নয় কেবল সুদৃঢ় চরিত্র বলের উপর নির্ভর করে তিনি তৎকালে সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে, শিক্ষা প্রচারে এবং সমাজ-সংস্কারের ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছিলেন। চরিত্রবলের জন্যই তিনি আজ প্রাতঃস্মরণীয় মহাপুরুষ হিসাবে সম্মানিত। বস্তুত, মানুষ হিসাবে তার তুলনা নাই।
এটিও পড়ুন – তােমার এলাকার হাসপাতালের দুরবস্থা কথা জানিয়ে সভাপতিকে পত্র
প্রকৃতপক্ষে মানুষকে চেনা যায় তার ব্যক্তিত্বের গুণে, মনুষ্যত্ববােধের দীপ্তির জন্য। বলা দরকার যে, এইসবের যােগফল হল চরিত্র। আসলে চরিত্র হল ঠিক যেন ইস্পাতের মতাে ধারালাে এক শক্তি। এই চরিত্র কোন একজন মানুষকে মানুষ’ হিসাবে চিনার প্রধান উপায়। এ কথা বলিলে মােটেই অত্যুক্তি হবে না।