প্রবন্ধ রচনা

বাংলা সাহিত্য প্রবন্ধ রচনা সকল পরীক্ষার্থীদের জন্য

What is Bengali literature? What is the history of Bengali literature?

বাংলা সাহিত্য প্রাচীনতম ভাষাসমূহের একটি। এটি নিখুঁতভাবে প্রতিফলিত হয়েছে আধুনিক সভ্যতার পর্যায়ে। বাংলা সাহিত্যের উৎস হল প্রাচীন ভাষা পালি ও প্রাকৃত। বাংলা সাহিত্য বিভিন্ন কালক্ষেত্রে উন্নয়ন পায়।

বাংলা সাহিত্যের আদি উদ্ভাবন হয় প্রাচীন বাংলা লেখক বিষ্ণু দত্ত এবং মধুসূদন দত্তের কাজের সাথে। বিষ্ণু দত্তের কাজের মধ্যে ছিল যথাযথ বল্প্রয়োগ, পরিষ্কার ভাষা এবং অন্যান্য গুণগুলি। মধুসূদন দত্ত বাংলা কবিতা ও গানের জন্য পরিচিত ছিলেন।

বাংলা সাহিত্যের উন্নয়ন বিভিন্ন যুগে ঘটেছে। মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়েছে, যেমন কৃষ্ণদাসের কাজ এবং চৈতন্য মহাপ্রভুর বাণী গ্রন্থ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একজন বিখ্যাত লেখক এবং সাহিত্যিক ছিলেন যিনি বাংলা সাহিত্যের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

প্রাচীন কালে বাংলা সাহিত্য বৌদ্ধ ধর্ম, হিন্দু ধর্ম এবং ইসলাম ধর্মের অন্তর্গত হয়েছিল। এই ধর্মের উপর নিবদ্ধ গ্রন্থ বাংলা সাহিত্যের মূল অংশ গণিত হয়।

মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্য উন্নয়ন পেয়েছে। এই কালে প্রথম গ্রন্থ লেখা হয়েছিল বিষ্ণুদেব রচিত ‘সর্বধর্ম সমবেদন’। আবার এই কালে যজ্ঞের নির্দেশিত গ্রন্থ লেখা হয়েছিল শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর হাটহাজারী গ্রন্থ সমূহ।

প্রস্তুতকালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, সুকুমার রায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বিভুতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যজিৎ রায় এবং মনিরুজ্জামান আলী ইত্যাদি অনেক কবি ও লেখক বাংলা সাহিত্যের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

বাংলা সাহিত্যে প্রবন্ধ

গদ্য সাহিত্যে প্রবন্ধের একটি বিশিষ্ট স্থান রয়েছে। ব্যক্তিগত চিঠিপত্র, সরকারী ও বেসরকারী দলিল-দস্তাবেজ প্রভৃতির পথ বেয়ে উনিশ শতকে প্রকৃতপক্ষে গদ্য সাহিত্যের সৃষ্টি হয়। ফলত এই সময়ে প্রবন্ধ সাহিত্যে পুষ্টি সাধন ত্বরান্বিত হয়। প্রবন্ধকে কেউ work of prose art. কেউ after dinner monologue of an interesting and well informed man প্রভৃতি বলে অভিহিত করতে চেয়েছেন। জ্ঞানের, বুদ্ধির চিন্তার বিচিত্র রকম প্রকাশ প্রবন্ধের মাধ্যমে প্রকাশ করা চলে।

রায়মোহন, অক্ষয়কুমার, দেবেন্দ্রনাথ, বিদ্যাসাগর প্রমুখ লেখকদের প্রাবন্ধিক হিসাবে খ্যাতি রয়েছে। বিশেষ করে অক্ষয়কুমার ও বিদ্যাসাগরের। দেবেন্দ্রনাথের ‘ব্রাহ্মধর্ম’, ‘ব্রাহ্মধর্মের ব্যাখ্যান’ ঈশ্বরচন্দ্রের ‘বেতাল পঞ্চবিংশতি’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। ভূদেবচন্দ্ৰ মননশীল প্রবন্ধ রচনার জন্য খ্যাতিমান। তাঁর রচিত আচার বিষয়ক প্রবন্ধ, সামাজিক প্রবন্ধ, পারিবারিক প্রবন্ধ প্রভৃতি প্রখর যুক্তিবাদ ও গভীর মননশীলতার স্বাক্ষর বহন করে। কিন্তু উনিশ শতকের মধ্যভাগে প্রবন্ধ সাহিত্যের বিপুল বিস্তার ঘটে কয়েকজন শক্তিশালী লেখকের হাতে। এঁরা হচ্ছেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, কালীপ্রসন্ন, শিবনাথ, কেশবচন্দ্র, রামগতি ন্যায়রত্ন। সমাজ, ধর্ম, ইতিহাস, ভাষাতত্ত্ব, পুরাতত্ত্ব, জীবনী, সমালোচনা প্রভৃতি নিয়ে এঁরা মননশীল ও সুন্দর সহজসাধ্য প্রবন্ধ পুস্তক রচনা করেন। বঙ্কিমচন্দ্র ‘লোকরহস্য’, ‘কমলাকান্তের দপ্তর’, ‘মুচিরাম গুড়ের জীবনচরিতে’ অসাধারণ শক্তির পরিচয় দিয়েছেন।

এ যুগে মুসলমানদের মধ্যে যারা লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন, তাঁরা মীর মশাররফ হোসেন, আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ ও মোজাম্মেল হক প্রমুখ। মোজাম্মেল হক প্রাবন্ধিক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর ফেরদৌসী চরিত’, মহর্ষি মনসুর’ ও ‘শাহানামার তুলনা বিরল। কিন্তু বাংলা সাহিত্যের সমৃদ্ধির যুগ ‘রবীন্দ্র যুগ’ নামে খ্যাত। সেই সময় শক্তিশালী মুসলিম প্রবন্ধ লেখকদের সাক্ষাৎ পাই যারা তাঁদের সৃষ্টি সাধনায় বাংলা সাহিত্যকে পুষ্ট ও বিকশিত করেন। এঁরা হচ্ছেন এয়াকুব আলী চৌধুরী, আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ, ডাঃ লুৎফর রহমান, শেখ আবদুর রহিম। শেখ আবদুর রহিম ইসলাম ইতিবৃত্ত’, ‘হজরত মোহাম্মদের জীবনচরিত্র ও ধর্মনীতি’ প্রভৃতি পুস্তকে মননশীলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। ‘বাংলাভাষা ও মুসলমান সমাজ’ সম্বন্ধে একটি সুচিন্তিত প্রবন্ধ তিনি মোহাম্মদীতে ধারাবাহিকভাবে লিখতে থাকেন। তাঁর চিন্তা ছিল পরিচ্ছন্ন, ভঙ্গি ছিল সুস্পষ্ট, যুক্তি ছিল জোরালো। পুঁথি নিয়ে বহু বিচিত্র ও পাণ্ডিত্যপূর্ণ প্রবন্ধ লেখেন আবদুল করীম সাহিত্যবিশারদ।

‘উন্নত জীবন’, ‘মানবজীবন’, ‘মহৎ জীবন’ প্রভৃতি গ্রন্থ রচয়িতা ডাঃ লুৎফর রহমান একজন সার্থক ও চিন্তাশীল প্রাবন্ধিক। মননশীলতা, যুক্তি, সহজবোধ্যতার এমন সোনায় সোহাগার মিলন সচরাচর দেখা যায় না। জীবনের বিকাশে জাতীয় চরিত্রের উন্নতি সাধন তাঁর প্রবন্ধ রচনার উদ্দেশ্য ছিল। কাজী এমদাদুল হক ঔপন্যাসিক হয়েও ভাল প্রাবন্ধিক। তাঁর প্রবন্ধমালা কতকগুলো সামাজিক ও ঐতিহাসিক প্রবন্ধের সমষ্টি।

অন্যান্য প্রবন্ধ লেখকদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ, জগদীশচন্দ্র ও রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী প্রথম শ্রেণীর প্রাবন্ধিক হিসাবে খ্যাত। সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথের সদস্ত পদক্ষেপ, প্রবন্ধের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ‘অব্যক্ত’ জগদীশচন্দ্রের বিখ্যাত রচনা। ‘প্রকৃতি’, ‘জিজ্ঞাসা’, ‘কর্মকথা’ রামেন্দ্রসুন্দরের রচনা। অত্যন্ত সহজ ভাষায় সহজ করে তিনি জটিল তত্ত্ব পরিবেশন করেছেন।

কিন্তু প্রবন্ধ-সৃষ্টির ক্ষেত্র এখানেই সীমাবদ্ধ হয়ে রইল না। স্রোতধারার মতো তা’ এগিয়ে চললো পূর্ণতার পথে। তাই আমরা নজরুল, এস. ওয়াজেদ আলী, মুহম্মদ ওয়াজেদ আলী, গোলাম মোস্তফা, ডঃ মোহাম্মদ এনামুল হক, মহাম্মদ বরকতুল্লাহ, ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রমুখ অসংখ্য প্রাবন্ধিকের সাক্ষাৎ পাই। কম বেশি প্রায় সকলকেই সার্থক বলা চলে। এস. ওয়াজেদ আলী মার্জিত রুচি ও রসবোধের প্রতীক ছিলেন। ‘ভবিষ্যতের বাঙালী’ গ্রন্থে যে মননশীলতা, রুচি, নীতিবিজ্ঞান ও সুস্থ রসবোধের পরিচয় দিয়েছেন তা প্রশংসনীয়। মহম্মদ বরকতুল্লাহর ‘পারস্য প্রতিভা’ বিখ্যাত বই। কিন্তু ‘মানুষের ধর্মে’ বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি ও বুদ্ধিদীপ্ততার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। তাঁর ভাষা মার্জিত ও ওজস্বিনী। মৌলানা মোঃ আকরাম খাঁ ‘সমস্যা ও সমাধান’ গ্রন্থের ধর্মীয় ব্যাপারে বিস্তৃত আলোচনায় মুক্তিবাদ ও মননশীলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তাঁর লেখা ‘মোস্তফা চরিত’ সুবিখ্যাত বই।

মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলীও খ্যাতনামা প্রাবন্ধিক। দুঃখের বিষয়, তাঁর প্রবন্ধ সমষ্টির কোন বই প্রকাশিত হয়নি। ডঃ মুহম্মদ এনামুল হক পণ্ডিত ও মনস্বী ব্যক্তি। তিনি সহজ বাংলা সাহিত্যের বহু দুরূহ বিষয়ের আলোচনা করেছেন। এ ছাড়া বৈজ্ঞানিক ও সাহিত্যের বিশেষ করে বৈজ্ঞানিক বিষয়ের আলোচনায় ডঃ কাজী মোতাহার হোসেনের নাম উল্লেখ করতে হয়। ‘বাংলার কাব্য’ প্রণেতা হুমায়ুন কবির প্রাবন্ধিক হিসাবে মননশীলতা ও পাণ্ডিত্যের পরিচয় দিয়েছেন।

ওপার বাংলায় যারা প্রাবন্ধিক হিসাবে নাম করেছেন তাঁদের মধ্যে ডঃ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, ডঃ শ্রীকুমার বন্দোপাধ্যায়, ডঃ অরবিন্দ পোদ্দার, অচ্যুত গোস্বামী, বিনয় ঘোষ, ভূদেব চৌধুরী, বুদ্ধদেব বসু প্রমুখের নাম করা যায়। এছাড়া, একদল তরুণ প্রাবন্ধিক নবদিগন্তের সূচনা করেছেন।

ঔপন্যাসিক হয়েও ভাল প্রাবন্ধিক। তাঁর প্রবন্ধমালা কতকগুলো সামাজিক ও ঐতিহাসিক প্রবন্ধের সমষ্টি।

অন্যান্য প্রবন্ধ লেখকদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ, জগদীশচন্দ্র ও রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী প্রথম শ্রেণীর প্রাবন্ধিক হিসাবে খ্যাত। সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথের সদস্ত পদক্ষেপ, প্রবন্ধের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ‘অব্যক্ত’ জগদীশচন্দ্রের বিখ্যাত রচনা। ‘প্রকৃতি’, ‘জিজ্ঞাসা’, ‘কর্মকথা’ রামেন্দ্রসুন্দরের রচনা। অত্যন্ত সহজ ভাষায় সহজ করে তিনি জটিল তত্ত্ব পরিবেশন করেছেন।

কিন্তু প্রবন্ধ-সৃষ্টির ক্ষেত্র এখানেই সীমাবদ্ধ হয়ে রইল না। স্রোতধারার মতো তা’ এগিয়ে চললো পূর্ণতার পথে। তাই আমরা নজরুল, এস. ওয়াজেদ আলী, মুহম্মদ ওয়াজেদ আলী, গোলাম মোস্তফা, ডঃ মোহাম্মদ এনামুল হক, মহাম্মদ বরকতুল্লাহ, ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রমুখ অসংখ্য প্রাবন্ধিকের সাক্ষাৎ পাই। কম বেশি প্রায় সকলকেই সার্থক বলা চলে। এস. ওয়াজেদ আলী মার্জিত রুচি ও রসবোধের প্রতীক ছিলেন। ভবিষ্যতের বাঙালী’ গ্রন্থে যে মননশীলতা, রুচি, নীতিবিজ্ঞান ও সুস্থ রসবোধের পরিচয় দিয়েছেন তা প্রশংসনীয়। মহম্মদ বরকতুল্লাহর ‘পারস্য প্রতিভা’ বিখ্যাত বই। কিন্তু ‘মানুষের ধর্মে’ বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি ও বুদ্ধিদীপ্ততার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। তাঁর ভাষা মার্জিত ও তজস্বিনী। মৌলানা মোঃ আকরাম খাঁ ‘সমস্যা ও সমাধান’ গ্রন্থের ধর্মীয় ব্যাপারে বিস্তৃত আলোচনায় মুক্তিবাদ ও মননশীলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তাঁর লেখা ‘মোস্তফা চরিত’ সুবিখ্যাত বই।

মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলীও খ্যাতনামা প্রাবন্ধিক। দুঃখের বিষয়, তাঁর প্রবন্ধ সমষ্টির কোন বই প্রকাশিত হয়নি। ডঃ মুহম্মদ এনামুল হক পণ্ডিত ও মনস্বী ব্যক্তি। তিনি সহজ বাংলা সাহিত্যের বহু দুরূহ বিষয়ের আলোচনা করেছেন। এ ছাড়া বৈজ্ঞানিক ও সাহিত্যের বিশেষ করে বৈজ্ঞানিক বিষয়ের আলোচনায় ডঃ কাজী মোতাহার হোসেনের নাম উল্লেখ করতে হয়। ‘বাংলার কাব্য’ প্রণেতা হুমায়ুন কবির প্রাবন্ধিক হিসাবে মননশীলতা ও পাণ্ডিত্যের পরিচয় দিয়েছেন।

ওপার বাংলায় যাঁরা প্রাবন্ধিক হিসাবে নাম করেছেন তাঁদের মধ্যে ডঃ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, ডঃ শ্রীকুমার বন্দোপাধ্যায়, ডঃ অরবিন্দ পোদ্দার, অচ্যূত গোস্বামী, বিনয় ঘোষ, ভূদেব চৌধুরী, বুদ্ধদেব বসু প্রমুখের নাম করা যায়। এছাড়া, একদল তরুণ প্রাবন্ধিক নবদিগন্তের সূচনা করেছেন। অতি আধুনিককালে প্রাবন্ধিক হিসাবে বাংলাদেশে আরও অনেকেই এগিয়ে এসেছেন। এঁরা হচ্ছেন মুহম্মদ আবদুল হাই, ডঃ আহমদ শরীফ, ডঃ গোলাম সাকলায়েন, মোতাহের হোসেন চৌধুরী, ডঃ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সৈয়দ মুর্তজা আলী, মোহাম্মদ ইদরিস আলী, আবদুল কাদির, সৈয়দ আলী আহসান, ডঃ আনিসুজ্জামান, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, বদর উদ্দীন উমর এবং আরও অনেকে। সাহিত্য ও সাহিত্যিকদের সম্বন্ধে পাণ্ডিত্যপূর্ণ আলোচনাই এঁদের লক্ষ্য। মোতাহের হোসেন চৌধুরীর ‘সংস্কৃতি কথা’ প্রবন্ধ পুস্তকটি তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছে। বাগবৈদগ্ধ্য, রুচি ও চিন্তাশীলতার স্বাক্ষর তিনি এ গ্রন্থে রেখে গেছেন। কিছুকাল আগে প্রকাশিত আবুল ফজলের ‘সাহিত্য সংস্কৃতি সাধনা’ একখানি মূল্যবান বই। মুহম্মদ আবদুল হাই-এর ‘সাহিত্য ও সংস্কৃতি’, ‘ভাষা ও সাহিত্য’, ‘ধ্বনি বিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব’; ডঃ আহমদ শরীফের ‘বিচিত চিন্তা’, ‘জীবনে-সমাজে-সাহিত্যে’, ‘কালিক ভাবনা’, ‘বাঙালী ও বাংলা সাহিত্য’, ডঃ গোলাম সাকলায়েনের ‘বাংলায় মর্সিয়া সাহিত্য’, ‘মুসলিম সাহিত্য ও সাহিত্যিক’, ‘সাহিত্য পরিচয়’, ‘গদ্য-শিল্পী শরৎচন্দ্র’; ডঃ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ‘অন্বেষণ’, ‘দ্বিতীয় ভুবন’; বঙ্কিম চন্দ্রের ‘জমিদার ও কৃষক’, সৈয়দ আলী আহসানের ‘কবিতার কথা ও অন্যান্য বিবেচনা’, ‘চর্যাগীতিকা’; মুনীর চৌধুরীর ‘ড্রাইডেন ও ডি. এল. রায়’, ‘মীর মানস’, ‘তুলনামূলক সমালোচনা’; কাজী দীনমুহম্মদের ‘সাহিত্য শিল্প’, ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস’ (১ম-৪র্থ খণ্ড); মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীর ‘রবি পরিক্রমা’, ‘সাহিত্যের নব রূপায়ণ’; মুস্তাফা নূর-উল ইসলামের ‘মুসলিম বাংলা সাহিত্য’, বদরুদ্দীন উমরের ‘সংস্কৃতির সঙ্কট’, ‘যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশ’; আতাউর রহমানের ‘নজরুল কাব্য সমীক্ষা’; মোবাশ্বের আলীর ‘বিশ্ব সাহিত্য’, ‘নজরুল প্রতিভা’; সুনীল মুখোপাধ্যায়ের ‘জসীম উদ্দীন’; কবি ফররুখ আহমদের ‘সাহিত্য সমীক্ষা’; আতোয়ার রহমানের ‘বাংলাদেশের শিশু পত্রিকা’; মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহর ‘নজরুল ইসলাম ও আধুনিক বাংলা কবিতা’, ‘সাহিত্য সংস্কৃতি জাতীয়তা’; আনোয়ার পাশার ‘রবীন্দ্র ছোট গল্প সমীক্ষা’ ‘সাহিত্য শিল্পী আবুল ফজল’; আলাউদ্দীন আল আজাদের ‘শিল্পীর সাধনা’; আহমদ রফিকের ‘শিল্প সংস্কৃতি জীবন, ‘বুদ্ধিজীবীর সংস্কৃতি’; আনিসুজ্জামানের ‘মুসলিম মানস ও বাংলা সাহিত্য’, ‘মুনীর চৌধুরী, ওয়াকিল আহমদের ‘বাংলা রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান’, ‘বাংলার লোক পতি রফিকুল ইসলামের ‘নজরুল্প ইসলাম ও জীবন ও সাহিত্য’; আবু হেনা সে কামালের ‘কথা ও কবিতা’, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের ‘আধুনিক বাংলা সাহিত্য’ ‘আধুনিক বাংলা কাব্যে হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক’ এবং আরো কতিপয় প্রাবন্ধিকের প্রবন্ধ গ্রন্থ উল্লেখের দাবি রাখে।

আমাদের উপরোক্ত আলোচনায় এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, বাংলা সাহিত্যের অন্যান্য শাখার ন্যায় প্রবন্ধ সাহিত্যেও মুসলমানদের দান রয়েছে। এ দান মোটেই উপেক্ষণীয় নয়।

বাংলা সাহিত্য সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্নঃ বাংলা সাহিত্য কি?
উত্তর: বাংলা সাহিত্য বলতে বাংলা ভাষায় সৃষ্ট সকল লিখিত রচনাকে বোঝায়।

প্রশ্নঃ  বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস কী?
উত্তর: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বেশ বিস্তৃত। এটি প্রাচীন সংস্কৃতি থেকে বিকশিত হয়েছে এবং প্রাচীন সভ্যতার বিকাশের সাথে সম্পর্কিত।

প্রশ্নঃ  বাংলা সাহিত্যের প্রধান সুবিধাভোগী কারা?
উত্তর: বাংলা সাহিত্যের প্রধান সুবিধাভোগী সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়।

প্রশ্নঃ কয়েকজন বিখ্যাত বাঙালি লেখক কারা?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মানিক বন্দোপাধ্যায়, সুকুমার রায়, হুমায়ূন আহমেদ সহ অনেক বিখ্যাত বাঙালি লেখক আছেন।

প্রশ্নঃ  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কখন জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 1861 সালের 7 মে জন্মগ্রহণ করেন।

প্রশ্নঃ  শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কবে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।

প্রশ্নঃ  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “গীতাঞ্জলি” কি?
উত্তর: “গীতাঞ্জলি” হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি কবিতার সংকলন যা তাকে 1913 সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতেছিল।

প্রশ্নঃ  শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দেবদাস’ কী?
উত্তর: “দেবদাস” শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি উপন্যাস যা একজন যুবকের গল্প বলে যে একজন মহিলার প্রেমে পড়ে কিন্তু সামাজিক সীমাবদ্ধতার কারণে তাকে বিয়ে করতে পারে না।

প্রশ্নঃ  প্রথম নারী বাঙালি লেখক কে?
উত্তর: প্রথম নারী বাঙালি লেখক ছিলেন রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, যিনি তার রচনা “সুলতানার স্বপ্ন” এর জন্য পরিচিত।

প্রশ্নঃ  বাংলা সাহিত্যের তাৎপর্য কী?
উত্তর: বাংলা সাহিত্য তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এতে বাঙালির সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ইতিহাস প্রতিফলিত হয়। সামগ্রিকভাবে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশেও এর অবদান রয়েছে।

এগুলিও পড়তে পারেন -

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button