
কর্পূর (Camphor) সাধারণত মোমের মতন দেখতে স্বচ্ছ কঠিন পদার্থ। এটি দাহ্য এবং তীব্র সুগন্ধযুক্ত পদার্থ। এটি তার্পিনঘটিত যৌগ যেগুলিকে টার্পিনয়েড (terpenoid) বলে। কর্পূর এর রাসায়নিক সংকেত হলো C10H16O। কর্পূর গাছের বৈজ্ঞানিক নাম – Cinnamomum camphora । কপূর গাছের কাঠ থেকে কর্পূর নিষ্কাশন করা হয়, এটি হলো প্রাকৃতিক উৎস। এছারাও বর্তমানে রাসায়নিক পদ্ধতিতেও কর্পূর তৈরি করা হয়।
কপূর এর চমৎকার গুনাগুণ
- জিভে ঘা হলে জলের সঙ্গে কর্পূর (Camphor) গুলে জিভ বা মুখ ধুয়ে ফেললে জিভের ঘা ভালো হয় ।
- জলের সঙ্গে কর্পূর (Kapoor) মিশিয়ে মাথায় ঘষলে খুসকির হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- খড়িগুড়োর সঙ্গে কর্পূর (Kapoor) মিশিয়ে চমৎকার দাঁতের মাজন হয়।
- সর্দি এবং জ্বরের পক্ষে কর্পূর তেল খুব ভাল। ৫০ গ্রাম সরষের তেলে ২০ গ্রাম কর্পূর মিশিয়ে তেল তৈরী হয়।
- বাগানে কর্পূর (Camphor) মিহি গুঁড়ো করে ছড়িয়ে দিলে অনেক পোকা মাকড়ের হাত থেকে নিশ্চিত উপকার পাওয়া যায়। গাছের কোন ক্ষতি হয় না।
- বর্ষাকালে ঘন্টাখানেক দরজা জানালা বন্ধ থাকলে ঘরে যে দুর্গন্ধ হয় সেই গন্ধের হাত থেকে মুক্তি পেতে হলে ঘরের কোনে কয়েক টুকরো কর্পূর (Kapoor) ছড়িয়ে রাখতে হবে।
- যে আলমারীতে রূপোর বাসন থাকে তাতে একটুকরো কর্পূর (Kapoor) রেখে দিলে রূপোর পালিশ চকচকে থাকে।
- জানালার কাঁচ পরিস্কার করতে কর্পূর (Kapoor) আদর্শ জিনিষ।
কপূর সম্পর্কিত ৫০ টিরও বেশি প্রশ্ন উত্তর এখানে
কপূর কোথা থেকে উৎপন্ন হয়
বনজ উদ্ভিদ কর্পূর গাছ থেকে সাধারণত কর্পূর তৈরি করা হয়। এটি একটি অতি প্রাচীন পদ্ধতি। কর্পূর গাছের কাঠের ছোট ছোট টুকরো করে তাপজারিত করে, যে উদ্বায়ী বাষ্প পাওয়া যায় তাকে ঘনীভবন প্রক্রিয়ায় ঠাণ্ডা করে এবং পরে মিহিগুঁড়ো কাঠে স্টিম চালনা করে যে বাষ্প পাওয়া যায়, তাকে ঠাণ্ডা করে কর্পূর পাওয়া যায়।
এগুলিও পড়তে পারেন -