
অনুচ্ছেদ সমূহ
আম কম বেশি প্রায় সকলের প্রিয়। এই প্রিয় ফলটি নিয়ে এই পোষ্টে আমের নানা রকম খাবারের রেসিপি শেয়ার করাবো। আশা করি আম প্রিয় পাঠকদের কাজে আসবে।
আম (Mango) গ্রীষ্মমণ্ডলীয় উদ্ভিদে জন্মানো এক ধরনের সুস্বাদু ফল। কাঁচা অবস্থায় আমের রং সবুজ এবং পাকা অবস্থায় হলুদ হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খাওয়ার জন্যই এই ফল চাষ করা হয়।পাকা আমের আকার, আকৃতি, রঙ, মিষ্টতা এবং গুণগত মান জাতভেদে বিভিন্নরকম হয়ে থাকে। আমগুলো জাতভেদে হলুদ, কমলা, লাল বা সবুজ বর্ণের হতে পারে।
পুষ্টি গত দিক থেকে সাধারণ আমের প্রতি ১০০গ্রাম(৩.৫ওজ) এ শক্তি মান ২৫০ কিলোজুল (৬০ কিলোক্যালরি)। টাটকা আমে দৈনিক ভ্যালু হিসেবে শুধুমাত্র ভিটামিন সি এবং ফলিক এসিড উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রয়েছে যার পরিমাণ যথাক্রমে ৪৪% এবং ১১% (টেবিল)।
জেনে নিন- আমের নানা রকম খাবারের রেসিপি, জেনে নিন আমের নানা রকম খাবারের রেসিপি, ফ্রী আমের নানা রকম খাবারের রেসিপি, নতুন নতুন আমের নানা রকম খাবারের রেসিপি
আমের নানা রকম খাবারের রেসিপি
কাঁচা আম দিয়ে জেলি তৈরি
উপকরণঃ কাঁচা আম, চিনি ও এসেন্স।
প্রণালীঃ আমের খোসা ছাড়িয়ে ভিতরকার কুষি বের করে আমগুলো মিক্সিতে পিষে নিন পরিষ্কার ন্যাকড়া দিয়ে ভিতরকার রস বের করে এই রস শূন্য আমের পাত্র পরিমাণ মত, চিনি ও জল দিয়ে সিদ্ধ করুন। জল মরলে কয়েকফোটা এসেন্স মিশিয়ে নাড়ুন।
কাঁচা আমের জেলি
উপকরণ : মাঝারি সাইজের কাঁচা আম ১০টি, তেজপাতা ২/৩টি, খেজুর ৮/১০ টি, ছোট এলাচ ৬টি, চিনি ৫০০ গ্রাম, আদা ২৫ গ্রাম, কিসমিস্ ২৫ গ্রাম, কাজুবাদাম ২৫ গ্রাম।
প্রস্তুত প্রণালী : আমগুলি ভালো করে জলে ধুয়ে খোসা ভালোভাবে ছাড়িয়ে নিতে হবে। উনুনে কড়াই চাপিয়ে পরিমাণ মতো জল দিয়ে গরম করতে হবে। আমগুলি ভালো করে মিহি করে কুরিয়ে নিয়ে কড়াইতে দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে, এরপর আম জল ঝরানোর মতো পাত্রে ঢেলে জল ঝরিয়ে নিতে হবে। আবার উনুনে কড়াই বসিয়ে জলে চিনি দিয়ে ফোটাতে হবে। চিনিজল ফুটতে থাকলে আদাকুচি, তেজপাতা, কিসমিস, কাজুবাদাম, খেজুর এবং আম দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে হবে। ফুটতে ফুটতে গাঢ় হয়ে এলে ছোটো এলাচ থেঁতো করে ছড়িয়ে দিয়ে উনুন থেকে নামিয়ে ফেলতে হবে। ঠাণ্ডা হলে কাঁচের বয়ামে জেলি ভরে রাখতে হবে। মাঝে মাঝে জেলির বয়াম রোদে দিতে হবে। এইভাবে প্রস্তুত জেলি ৪/৫ মাস ঘরে সংরক্ষণ করে রাখা যায়।
কাঁচা আমের জ্যাম
উপকরণ : কাঁচা আম, চিনি ও গোলাপ জল
পদ্ধতিঃ কচি আঁটি না হওয়া আমের কুসি ফেলে ছোট ছোট করে কেটে নিন। অল্প জলে সিদ্ধ করে কাপড়ে চেপে রস বের করে আমের শাঁস বের করুন। একটি পাত্রে চিনির সাথে ঐ আমের শাঁস মিশিয়ে নিন। অল্প জল দেবেন। সব সময় নাড়বেন। না হলে ভিতরে জমে যেতে পারে। নামাবার আগে গোলাপ এসেন্স মেশাবেন।
কাঁচা আমের জ্যাম
উপকরণ : কাঁচা আম, প্রয়োজনমত চিনি, কিসমিস, লেবু বা ভিনিগার এবং আদা কুচি।
পদ্ধতি : আঁটি শক্ত হবার আগে কাঁচা আমের খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট করে কেটে ১০ ঘন্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন। আড়াই ঘন্টা অন্তর জল পাল্টে দিলে ভালো হয়। এই ক্ষেত্রে আমের টক স্বাদটা অনেকটা নষ্ট হয়। এই আম জলের থেকে তুলে চিনির রসের মধ্যে ফেলে গরম করুন অনবরত নাড়তে থাকবেন। গরম করার ফলে আম জল ঘন ও চটচটে হয়ে উঠবে। এই অবস্থায় ভিনিগার বা লেবুর রস মিশিয়ে নামিয়ে দিন।
জেনে নিন – আমের নানা রকম খাবারের রেসিপি, জেনে নিন আমের নানা রকম খাবারের রেসিপি, ফ্রী আমের নানা রকম খাবারের রেসিপি, নতুন নতুন আমের নানা রকম খাবারের রেসিপি
পাকা আমর জ্যাম
উপকরণঃ ৮-৯টি ভালো পাকা আম, পরিমাণ মত চিনি, পেকটিন, সাইট্রিক অ্যাসিড বা লেবু, পরিমাণ মত অরেঞ্জ রং ও ম্যাঙ্গো এসেন্স।
পদ্ধতিঃ আমের খোসা ছাড়িয়ে নাইলন ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে আঁশ বা ছিবড়ে ছাড়া শুধু শাঁসটা আলাদা| করুন। ছয় কাপ আমের রস, ছয় কাপ চিনির রসের সাথে মেশান। আঁচে চাপিয়ে অল্প সাইট্রিক অ্যাসিড ও রং মেশান। এসেন্স মিশিয়ে নামিয়ে দিন।
আমের মালপোয়া
উপকরণঃ ১৫০ গ্রাম ময়দা, ২÷ কাপ পাকা আমের শাঁস, পরিমাণ মত দুধ, সুজি, চিনি, ঘি ও এলাচ গুঁড়ো।
পদ্ধতিঃ ভাল করে সুজি, ময়দা, আমের ক্কাথ মিশিয়ে গুঁড়োএলাচ ছড়িয়ে আধঘন্টা রাখুন। এরপর কড়াতে ঘি গরম করে ঐ মিশ্রণ ভেজে চিনির রসে ডুবিয়ে দেবেন। রস জমলে পরিবেশন করবেন।
আমের পায়েস তৈরি
উপকরণঃ ৫টি পাকা আম, ই লিটার দুধ, পরিমাণ মত চিনি, কাজু ও কিসমিস।
পদ্ধতিঃ পাকা আমের খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ অল্প আঁচে ফুটিয়ে নিন৷ দুধের পরিমাণ অর্ধেক হলে চিনি মিশিয়ে আরো কিছুক্ষণ রেখে দিন। আধকাপের মত আমের রস মিশিয়ে আরো কিছুক্ষণ নেড়ে দুধ নামিয়ে দিন। গরম অবস্থাতেই আমের টুকরোগুলি দিয়ে দেবেন। ঠান্ডা করে ফ্রিজে রাখুন। কাজু, কিসমিস দিয়ে পরিবেশন করুন।
কাঁচা আমের মিষ্টি আচার
উপকরণ : কাচা আম -১ কেজি, ভিনেগার – ১ কাপ, চিনি -৭০০ গ্রাম, এলাচ,দারুচিনি – ২ টা, পাচ ফোড়ন টালা – ২ চা চামচ, শুকনো মরিচ টালা – ১ চা চামচ, টালা ধনিয়া ও জিরা ফাকি – ১ চা চামচ
প্রণালী :
আম ছিলে নিজের পছন্দমত মাঝারি টুকরো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।চুলাই কড়াই তে আম চিনি এলাচ দারুচিনি দিয়ে জাল দিতে দিতে চিনি থেকে সিরা ছাড়বে।চিনির সিরা শুকিয়ে আসতে আসতে সব উপকরণ দিয়ে মিক্স করে যখন আচার কালার লালচে হয়ে আসবে সাদা ভিনেগার দিয়ে কিছু সময় পড় নামিয়ে ঠান্ডা করে উঠিয়ে রাখুন।
আমসত্বের পায়েস
উপকরণ:৫০০ গ্রাম আমসত্ত্ব, ৭৫০ গ্রাম দুধ, ৩টি মিষ্টি বিস্কুট, পরিমাণ মত কাজুবাদাম, কিসমিস ও এলাচগুঁড়ো।
পদ্ধতিঃ দুধ গরম করতে দিন। গরম হলে অল্প দুধে মিষ্টি বিস্কুটগুলো ভিজতে দিন। আমসত্ত্ব ছোট ছোট টুকরো করুন। দুধ ফুটে অর্ধেক হলে তার সাথে কাজু, কিসমিস, চিনি মিশিয়ে নাড়ুন। বিস্কুটের গোলা ও এলাচ ছড়িয়ে নামান। ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।
আমের ক্ষীর
উপকরণঃ লিটার দুধ, পরিমাণ মত চিনি, ১টি বড় মিষ্টি আম, কলা, সন্দেশ, লেবুর রস ও গোলাপ জল।
পদ্ধতিঃ প্রথমে দুধের থেকে ঘন ক্ষীর বের করে নেবেন। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন সর না বসে যায়। অন্য দিকে আমের শাঁস ছাকনিতে ছেঁকে নেবেন। আঁশ রাখবেন না। এইবার দুধের সঙ্গে আমের রস মিশিয়ে অন্য কোন পাত্রে ঢেলে পাতলা করে সাজিয়ে নেবেন। এর পর বাটিতে সন্দেশ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করবেন।
পাকা আমের রসগোল্লা:
উপকরণঃ ছানা-২ কাপ ময়দা-১ কাপ চিনি-১ কাপ দুধ-১/২ কাপ আমের শাঁস-১ কাপ ম্যাঙ্গো এসেন্স-১/২ চা চামচ এলাচ গুঁড়ো-১/ চা চমচ পেস্তা-৭,৮টা(কুচনো)
প্রণালী: ছানা ও আমের শাঁস একসঙ্গে মেশান। হাতের চাপে গোল গোল বল তৈরি করুন। ২ কাপ জল গরম করুন। ফুটতে থাকলে চিনি ও এলাচ গুঁড়ো দিন। রসের মধ্যে একটা একটা করে ছানার বল ফেলুন। ২-৩ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এবারে আঁচ কমিয়ে চাপা দিয়ে আরও ১০ মিনিট ফোটান। রসগোল্লা নরম হলে আঁচ বন্ধ করে ম্যাঙ্গো এসেন্স মেশান। ঠান্ডা হসে পেস্তা কুচি দিয়ে গার্নিশ করে নিন। তবে আম দেবার কারণ এই মিষ্টি ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করুন আর বেশিদিন রেখে না খাওয়ায় শ্রেয় l